গরম ভাতে কোরাল শুঁটকি: এক মসলার মায়াবী যাত্রা
একবারের কথা, শীতের এক ঝলমলে সকালে রান্নাঘরে বসে ভাবছিলেন, “আজকের খাবারে একটু ভিন্ন কিছু থাকলে কেমন হয়?” ঠিক সেই মুহূর্তে চোখে পড়ল কোরাল শুঁটকির এক ছোট্ট প্যাকেট। মনে হলো, “এই শুঁটকি দিয়েই আজ রান্নার মঞ্চে কিছু জাদু দেখাতে হবে!”
উপকরণগুলো যেন এক গল্পের চরিত্র
প্রথমেই টেবিলে সাজিয়ে রাখা হলো কোরাল শুঁটকি (দেড় কাপ), পেঁয়াজ কুচি (১ কাপ), আস্ত রসুনের চারটি কোয়া, আর ফালি করা ৬-৭টি কাঁচা মরিচ। ঠিক তার পাশে অপেক্ষা করছিল গুঁড়া মসলা: হলুদ (১ চা চামচ), মরিচ আর ধনে গুঁড়া (দেড় চা চামচ করে), জিরা গুঁড়া (আধা চা চামচ), আর আদা বাটা (১ চা চামচ)। রান্নার শুরুটা জমকালো করার জন্য প্রস্তুত ছিল তেজপাতা (১টি), আস্ত জিরা (১ চা চামচ), কাঁচা মরিচ (৫-৬টি), সিকি কাপ তেল, আর স্বাদের জন্য লবণ।
শুঁটকির যাত্রা শুরু
শুঁটকিকে যেন নতুন প্রাণ দিতে প্রথমে শুকনো তাওয়ায় হালকা ভেজে নেওয়া হলো। তারপর তাকে আধা ঘণ্টা পানিতে ডুবিয়ে রাখা হলো, যেন তার পুরনো গন্ধটা মৃদু হয়ে যায়। সময় শেষে শুঁটকিকে ধুয়ে একদম সতেজ করা হলো।
রান্নার প্রথম ধাপ: মসলার ঘ্রাণ
প্যানে সিকি কাপ তেল গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জিরা আর তেজপাতা ফোড়নের সেই চিরচেনা আওয়াজ উঠল। তখনই ঢেলে দেওয়া হলো অল্প পেঁয়াজ কুচি, রসুন আর ফালি করা কাঁচা মরিচ। একটু পর রান্নাঘর মসলার ঘ্রাণে ভরে উঠল। গুঁড়া মসলা আর আদা বাটা যোগ করে পানির ছিটে দিয়ে মসলাগুলোকে ভালোভাবে কষিয়ে নেওয়া হলো। মসলা যেন তার নিজস্ব জাদু ছড়ায়।
মধ্যমঞ্চে শুঁটকি
মসলার সঙ্গে এবার যোগ হলো সেই কোরাল শুঁটকি। পুরোটা যেন একটা সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো মনে হলো, যেখানে শুঁটকি আর মসলার মেলবন্ধন ঘটল। কিছুক্ষণ নেড়ে কষানোর পর অল্প পানি দিয়ে রান্নাটা আরও গভীর করা হলো।
শেষের ছোঁয়া
পানি কিছুটা শুকিয়ে এলে বাকি পেঁয়াজ আর রসুন যোগ করা হলো। মিশ্রণটা যেন আরও সমৃদ্ধ হলো। যখন তেল ছেড়ে এলো, তখন ফালি করা কাঁচা মরিচ যোগ করে কয়েক মিনিট দমে রাখা হলো। শেষমেশ নামিয়ে নেওয়া হলো সেই মোহনীয় রান্না।
পরিবেশন: গরম ভাতে শুঁটকির স্বাদ
এক বাটি গরম ভাতে এই কোরাল শুঁটকির তরকারি পরিবেশন করা হলো। মসলার মিশ্রণ আর শুঁটকির স্বাদ যেন একে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেল। সবাই মুগ্ধ হয়ে বলল, “এই রান্নাটা যেন শুধু খাবার নয়, একটা গল্পের মতো!”
Add comment