একটা বিকেলের গল্পের শুরু হলো লইট্টা শুটকি ভুনা দিয়ে। বাইরে ঝিরঝির বৃষ্টি, আর রান্নাঘরে মায়ের ডাকে আমি হাজির। মা বললেন, “আজ তোকে শিখিয়ে দেব লইট্টা শুটকি ভুনার আসল কৌশল। সব ঠিকঠাক করলে এই রান্নার স্বাদ অতুলনীয় হয়।”
উপকরণ:
- লইট্টা শুটকি: ১০০ গ্রাম
- পেঁয়াজ কুচি: ১ কাপ
- রসুন কুচি: ৪-৫ কোয়া
- কাঁচা মরিচ: ৪-৫ টি
- হলুদ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
- লবণ: স্বাদমতো
- সরিষার তেল: ১/২ কাপ
- ধনেপাতা কুচি: ২ টেবিল চামচ (সাজানোর জন্য)
শুটকি পরিষ্কারের পদ্ধতি:
মা প্রথমেই শুটকি মাছগুলো একটি বাটিতে রাখলেন।
১. পরিষ্কার পানিতে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলেন, যাতে ময়লা ও অতিরিক্ত লবণ বেরিয়ে আসে।
২. তারপর মাছের মাথা ও লেজ কেটে ফেললেন। পেটের ভিতরের অংশ একদম পরিষ্কার করলেন।
৩. পরিশেষে মাছগুলো পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে একপাশে রেখে দিলেন।
মা বললেন, “শুটকি ঠিকঠাক পরিষ্কার না করলে রান্নার স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে।”
রান্নার পদ্ধতি:
১. মায়ের কথামতো প্রথমে একটি প্যানে ১/২ কাপ সরিষার তেল গরম করলাম।
২. তেলে ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি আর ৪-৫ কোয়া রসুন কুচি দিয়ে সোনালি রং আসা পর্যন্ত ভাজলাম। রান্নাঘরে এক মনমুগ্ধকর ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ল।
৩. এরপর মসলা যোগ করার পালা। ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো আর লবণ দিয়ে মসলা মিশিয়ে নিলাম।
৪. পরিষ্কার করা শুটকি মাছগুলো প্যানে দিয়ে মসলার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিলাম। মা বললেন, “মশলা আর শুটকির মিশ্রণটা খুব ভালো হতে হবে। তাতে খাবারের স্বাদ বাড়বে।”
৫. এরপর ৪-৫ টি কাঁচা মরিচ যোগ করে কড়াই ঢেকে দিলাম। কম আঁচে ১০-১৫ মিনিট রান্না চলল।
৬. রান্না শেষে মা বললেন, “এবার একটু ধনেপাতা ছড়িয়ে দে। এই ধনেপাতা খাবারের স্বাদকে আরও বাড়িয়ে তোলে।”
পরিবেশনের সময়:
মা প্লেটে তুলে বললেন, “এটা শুধু রান্না নয়, এটা ভালোবাসার গল্প।” আমি প্রথম চামচ মুখে দিলাম আর বুঝলাম, মায়ের হাতের রান্না যেন এক জাদু!
লইট্টা শুটকি ভুনা শুধু একটা পদ নয়, বরং এর প্রতিটি ধাপে থাকে যত্ন, গল্প আর ভালোবাসার ছোঁয়া। এবার তোমরাও বানিয়ে দেখো!
Add comment