কচুর লতি দিয়ে শীদল শুঁটকি রান্না

কচুর লতি দিয়ে শীদল শুঁটকি রান্না

কচুর লতি দিয়ে শীদল শুঁটকি আমাদের গ্রামাঞ্চলে খুবই পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি খাবার। আমার খুব মনে আছে একটা সময় ছিল, ছোটবেলায় গৃষ্ম বা বর্ষাকালে হাওর থেকে ছোট মাছ ধরে আনলে দেখতাম মা চিংড়ি মাছগুলোকে আলাদা করে নিতেন। আমাকে ফরমায়েশ দিয়ে বলতেন দেখতো, বাড়ির আশেপাশে কচুর লতি পাওয়া যায় কি না? আমিও কথামত একদম দুহাত ভরে নিয়ে আসতাম। মা তখন চিংড়িমাছ, লতি, কাঁঠালবিচি আর কচুরমুখি দিয়ে কী যে স্বাদের রান্না করতো! সেই স্বাদটা এখনো খুব মিসস করি। কারণ সবকিছু ছিল একদম ফ্রেশ তরতাজা।
আজ আমি ফ্রজেন সব উপকরণ দিয়ে রান্নার চেষ্টা করেছি কারণ, বিলেতে এইসব ফ্রেশ জিনিশ পাওয়া সম্ভব না। তাই ফ্রজেন ছাড়া আমাদের উপায় নাই।

প্রবাসে ব্যাচেলর যারা শীদল শুঁটকি পছন্দ করেন অথবা যারা জানেন না তারা একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।

উপকরণঃ
৫০গ্রাম শীদল শুটকি
১কেজি কচুর লতি
৩০০গ্রাম চিংড়িমাছ
৩০০গ্রাম কাঁঠাল বিচি (ফালি করে নিবেন)
৮-১০টি কচুর মুখি (থাকলে দিতে পারেন স্বাদ বাড়ানোর জন্যে না দিলেও চলবে)
২টি নাগামরিচ বা বোম্বাই মরিচ, না থাকলে কাঁচামরিচ ১৫-১৬টি ফালি করে দিলে চলবে
আধাটেবিল চামচ হলদির গুড়া
একটেবিল চামচ মরিচের গুড়া
এবং লবন পরিমানমত।

কচুর লতি দিয়ে শীদল শুঁটকি রান্না
কচুর লতি দিয়ে শীদল শুঁটকি রান্না

প্রণালীঃ
উপরে বর্ণিত উপকরণগুলো শুটকি, কচুরলতি, চিংড়ি, কাঁঠালবিচি এবং কচুর মুখি ধুয়ে পরিষ্কার করে একসাথে পাতিলে ঢেলে দিন। এবার হলদি, মরিচের গুড়া, লবন এবং নাগামরিচ দিয়ে পাতিল চুলার উপর বসিয়ে দিন। আগুন মিডিয়াম ফ্লেইমে রেখে ভাল করে নেড়ে ৮-১০মিনিটের জন্য ঢেকে কষতে দিন। এবার ১ থেকে দেড় লিটার পানি দিয়ে আগুন ফুল ফ্লেইম দিয়ে ২০ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন। ২০ মিনিট পর যদি দেখেন পানি কমে শিরা ঘনো হয়ে আসছে তাহলে আগুন বন্ধ করে দিন। এবার নাক দিয়ে লম্বা করে একটা টান দিয়ে বলুন আহ! কি সুগন্ধি। ব্যাস হয়ে গেল কচুরলতি দিয়ে শীদল শুঁটকি। মোটা চালের বা সিদ্ধ চালের ভাতের সাথে শুঁটকি খুব যায়।

বিঃদ্রঃ অনেক সময় উপকরণগুলো একেবারে সটিক মাপে না হয়ে চোখের আন্দাজটাই আসল হয়। অতএব,পরিমাপের ক্ষেত্রে একটু কমবেশ হলে খাবার বেলা বুঝতে পারবেন। পরেরবার রাঁধলে ঠিক হয়ে যাবে।

Leave a comment