coxsbazarshop.com
Home
Shop
Wishlist0

Call us: 09613-660510

লটিয়া শুঁটকি ভর্তা

লটিয়া শুঁটকি ভর্তা

সরিষার তেল দিয়ে করা ঝাল ঝাল শুঁটকি ভর্তা সাদা ভাতের সঙ্গে খেতে কার না ভাল লাগে, ভর্তা মানে খাবার আগে জিবে জল আসা। তাই আজকে লটিয়া শুঁটকি ভর্তা রেসিপি নিয়ে আবারও হাজির হয়ে গেলাম।

উপকরণঃ-

শুঁটকি- ৮টি
লবণ- স্বাদ মতো
সরিষার তেল- ৪ টেবিল চামচ
শুকনা মরিচ- ২টি
কাঁচামরিচ- ৭/৮টি
রসুন- ১০ কোয়া
পেঁয়াজ- ২টি
ধনেপাতা- ২ চা চামচ

প্রস্তুত প্রণালিঃ-

পেঁয়াজ ও রসুন ছোট করে কাটুন। ধনেপাতা কুচি করে নিন। শুঁটকি পরিষ্কার করে ছোট ছোট করে টুকরা করে কাটুন। ভালো করে ধুয়ে ১০ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন শুঁটকির টুকরা।
চুলায় প্যান বসিয়ে ২ টেবিল চামচ সরিষার তেল গরম করে সামান্য লবণ দিয়ে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি বাদামি করে ভাজুন।
ভাজা পেঁয়াজ ও রসুন একটি বাটিতে উঠিয়ে একই প্যানে আরও ২ টেবিল চামচ সরিষার তেল দিন। মিডিয়াম আঁচে শুঁটকির টুকরা বাদামি করে ভাজুন। হালকা বাদামি থাকতে থাকতে তুলে নিন। অতিরিক্ত ভাজলে শক্ত হয়ে যাবে। এবার শুকনা মরিচ টেলে সামান্য লবণ দিয়ে মেখে নিন। এরপর একে একে ভেজে রাখা সব উপকরণগুলো হাত দিয়ে ভর্তা করুন। একদম ভেঙে ফেলবেন না শুঁটকি। ধনেপাতা কুচি দিয়ে মেখে বাটিতে সাজিয়ে পরিবেশন করুন শুঁটকি ভর্তা।

রূপচাঁদা শুঁটকি ভুনা রেসিপি

রূপচাঁদা শুঁটকি ভুনা রেসিপি

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

রূপচাঁদা শুঁটকি ১টি
পেঁয়াজকুচি ২ কাপ
তেল পরিমাণ মতো
আদাবাটা পরিমাণ মতো
আপনার ঝাল সহ্য করার ক্ষমতার উপর মূলত নির্ভর করবে কতটুকু কাঁচামরিচ ব্যবহার করবেন এই রান্নায়, তবুও ৫ থেকে ৬টা কাঁচামরিচ দেওয়া উচিত, রান্নাটাকে সুস্বাদু করার জন্য
রসুনকুচি আধা কাপ
টমেটোকুচি আধা কাপ
ধনেগুঁড়া ১/২ চা-চামচ
মরিচগুঁড়া ৩ চা-চামচ
হলুদগুঁড়া দেড় চা-চামচ
লবণ স্বাদ মতো

পদ্ধতিঃ
রূপচাঁদা শুঁটকি প্রথমে পরিষ্কার করে ধুয়ে, অন্তত ২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে শুঁটকির সাথে থাকা বালি ও ময়লাগুলো ঝরে যাবে। ভিজিয়ে রাখার পর শুঁটকি নরম হয়ে এলে ছোট ছোট করে কেটে নিন। এবার প্যানে পরিমাণ মত তেল দিন। তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজকুচি, রসুনকুচি, সামান্য আদাবাটা, ধনেগুঁড়া, মরিচ, হলুদ, তেল, লবণ, কাঁচামরিচ আর টমেটো কুচি সহ সব মসলা ভালো করে আস্তে আস্তে ভেজে নিন। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে এবং হালকা বাদামী বর্ণ ধারণ করলে তাতে রূপচাঁদা শুঁটকি দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজতে থাকুন। এবার অল্প পানি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে ঢেকে দিন। কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে দেখুন, যদি পানি কমে তরকারিটা মাখা মাখা হয়, তাহলে তাতে কাঁচামরিচ দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

সবশেষে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। উপভোগ করুন মজাদার রূপচাঁদা শুঁটকি মাছের ভুনা!

মলা শুটকি ভর্তা রেসিপি

মলা শুটকি ভর্তা রেসিপি

প্রথমে চুলায় একটি প্যান বসিয়ে নিতে হবে ।

এরপর এর ভিতর পরিমাণ মত সরিষার তেল দিয়ে দিতে হবে।
তেলটা হালকা গরম হয়ে আসলে এর ভিতর এক কাপ পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিতে হবে।
এবার পেয়াজ গুলো হালকা নরম করে ভেজে নিতে হবে।

পেয়াজগুলো হালকা করে ভেজে এর ভিতর কয়েক টুকরো রসুন কুচি দিয়ে দিতে হবে।
এখন এই দুটি উপকরণ ভালোভাবে নেড়ে দিতে হবে।
পেয়াজ ও রসুন গুলো নরম করে ভেজে তুলে নিতে হবে।

এরপর আবার এর ভিতর হালকা তেল দিতে হবে।
এবার এর ভিতর কয়েকটি শুকনো ঝাল দিয়ে দিতে হবে।
এখন তেলের সাথে মরিচগুলো নেড়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে।

এরপর প্যানের ভিতর কয়েকটি ধনে পাতা দিয়ে নেড়ে ভেজে নিতে হবে।
এখন এটাকে প্যান থেকে তুলে নিতে হবে।
তারপর এর ভিতর হালকা তেল দিয়ে গরম করে নিতে হবে।

এখন শুটকি মাছ গুলো হালকা ধুয়ে নিয়ে প্যান এর ভিতর দিয়ে দিতে হবে।
এবার শুটকি মাছগুলো ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে।
এখন ব্লেন্ডারে প্রথমে শুটকি মাছগুলো দিয়ে দিতে হবে।

এরপর পেয়াঁজ ও রসুন এর ভাজি গুলো দিয়ে দিতে হবে।
তারপর শুকনো ঝাল ও ধনিয়া পাতা ভাজি করা গুলো ব্লেন্ডারে দিয়ে দিতে হবে।

এরপর ব্লেন্ডারের ভিতর স্বাদমত লবণ দিয়ে দিতে হবে।
এখন ব্লেন্ডারের উপরের ঢাকনা দিয়ে দিতে হবে।
এরপর এটিকে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
এটাকে কয়েকবার ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
এটা ভর্তা করার জন্য ভালোভাবে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।

এই ব্লিন্ড যত মিহি হবে তত এটা খেতে ভালো লাগবে।
এবার এটিকে তুলে একটা প্লেটে পরিবেশন করতে হবে।

এটাকে সাজানোর জন্য এর পাশে কয়েকটা শুকনো ঝাল দেওয়া যেতে পারে।
এর পাশে আর ও কয়েকটি পেয়াজ ও রসুন এর টুকরো দিয়ে দিতে হবে।

এর উপর দিয়ে কয়েকটি ধনিয়া পাতা দিয়ে সাজিয়ে নিতে হবে।
এটা খেতে কিন্তু সত্যই অসাধারন। আপনার চাইলে খুব সহজে এই রেসিপিটি বাসায় স্বল্প সময়ে করে নিতে পারবেন।

লইট্টা শুটকি বেগুন ভুনা

লইট্টা শুটকি বেগুন ভুনা

লইট্টা শুটকি বেগুন ভুনা

অনেক সময় মাছ, মাংশ খেতে খেতে আর ভাল লাগে না। মুখ বদ্লানর জন্য শুটকি হলে কেমন হয়? যারা শুটকি খেতে ভালবাসেন, তাদের জন্য রয়েছে কয়েকটি শুটকি রেসিপি। আজ শেয়ার করছি আমাদের খুব পরিচিত লইট্টা শুটকি বেগুন ভুনা।
উপকরণঃ
৬ টা লইট্টা শুটকি
দেড় কাপ মোটা কিউব করে কাটা পিয়াজ
১০-১২ টার মত বড় বড় রসুনের কোয়া , মোটা কিউব করে কাটা
১ চা চামচ আদা বাটা
১ চা চামচ রশুন বাটা
১ তা তেজপাতা
৮/১০ টা গোল মরিচ
১/২ চা চামচ হলুদ গুড়া
১ চা চামচ মরিচ গুড়া (স্বাদ অনুযায়ী)
১/২ চা চামচ ভাজা জিরার গুড়া
৭/৮ টা আস্ত কাচা মরিচ
১/২ কাপ বেগুন
তেল
লবন , স্বাদ মত

প্রনালীঃ
১। হাল্কা গরম পানি দিয়ে শুটকি ভাল করে ধুয়ে নিন। মোটামুটি গরম (এক্দম ফুটন্ত নয়) পানি তে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
২। শুটকি কিউব করে কেটে নিন।
৩। তেল গরম হলে তেজপাতা আর গোল মরিচ দিয়ে পিয়াজ, কাটা রসুন দিয়ে ভাল করে ভাজুন।
৪। পিয়াজ, রশুন নরম হয়ে গেলে এক্তু পানি দিন। আদা, রশুন বাটা, হলুদ, মরিচ গুড়ো দিয়ে ভাল করে কষান। শুটকি দিন। আরেকটু কষিয়ে ১ কাপ এর মত পানি দিয়ে দিন।
৫। পানি একটু শুকিয়ে আসলে বেগুন,কাচা মরিচ
, আর লবন দিয়ে দিন।
৬।পানি শুকিয়ে , বেগুন সিধ্ধ হয়ে তেল উপরে উঠে আসলে ভাজা জিরার গুড়ো ছড়িয়ে দিন। মজাদার লইট্টা শুটকি বেগুন দিয়ে তৈরি।
টিপ্সঃ
১।শুটকি তে লবন একটু কম দেবেন।এক্বারে অনেক লবন দিবেন না, কারন শুটকি তে এম্নিতেই বেশ লবন থাকে…লাগলে পরে দেবেন।
২। শুটকি তে তেল, পিয়াজ, রশুন একটু বেশি লাগে।

চ্যাপা-বাসপাতি শুটকির বড়ার রেসিপি

চ্যাপা-বাসপাতি শুটকির বড়ার রেসিপি

চ্যাপা/বাসপাতি শুটকির বড়ার রেসিপি
আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার সাথে খুদভাত।

উপাদান ঃ১/ চ্যাপার শুটকি ৬-৭টি
বাসপাতি শুটকি হলে ৪ দিলেই হবে।
২/মাঝারি সাইজের আলু একটা (বড়া মচমচে করতে সাহায্য করে)
৩/রসুন ৫-৬ টা মাঝারি সাইজের
৪/পিয়াজ ৫টা মাঝারি সাইজের
৫/শুকনা মরিচ ১৫টা।(যে যেমন ঝাল খাবে তার উপর ডিপেন্ড করে)
৬/হলুদ গুড়া ১ চা চামচ
৭/ লবন ও তেল পরিমান মতো।
৮/লাউ,কচু,মিষ্টি কুমড়া যেকোন পাতা ৮টা

রান্না প্রণালীঃ
শুটকি,আলু, রসুন, পিঁয়াজ, শুকনা মরিচ পাটায় আধা বাটা করে বাটতে হবে।
তারপর কড়াইতে কম তেলে সব উপাদান গুলো দিয়ে ভাজতে হবে যেন পানি শুকিয়ে যায়।
ঠান্ডা হলে পাতার সাইজ অনুযায়ী ভর্তা গুলো পাতায় মুড়ে নিয়ে নিতে হবে।
তারপর ফ্রাইপেনে তেল গরম করে অল্প তাপে ভাজতে হবে যেন পুড়ে না যায়। একটু সময় নিয়ই ভাজা উচিত।
পাতার কালার যখন কালো আর হাত দিয়ে ধরলে বুঝতে পারবেন মচমচে ভাব এসেছে তখনই বুঝতে পারবেন মজাদার বড়া তৈরি আপনার জন্য ।

আমি সুবিধার জন্য ধাপে ধাপে ছবি দিয়ে দিচ্ছি।

ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি

ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি

ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি

আমরা কাঁচা চিংড়ি বা চিংড়ি শুটকি অনেকেই অনেক পছন্দ করি। যে যান মতো করে ভুনা, ভাজি, ভর্তা, চচ্চড়ি খেতে পছন্দ করি। তবে আজ আপনাদের চিংড়ি শুটকি নিয়ে একটি নতুন রেসিপি জানাবো। ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি। যার স্বাদ আপনার চিরচেনা রান্নাগুলো থেকে একটু ভিন্ন। আসুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে তৈরি করবেন ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি।

চিংড়ি শুটকি- পরিমাণ মতো

চিংড়ি শুটকি ভুনা করার জন্য যা যা উপকরণ লাগবে পেঁয়াজ, মরিচ, ধনিয়া, জিরা, আদা-রসুন বাটা, তেল, লবণ, – পরিমাণ মতো

ভিন্নতার জন্য- কাচামরিচ/শুকনা মরিচ(দেশি) ধনেপাতা, পেঁয়াজ পরিমাণ মতো। (ধনেপাতার পরিমাণ একটু বেশি লাগবে)

প্রণালি :

প্রথমে চিংড়ি শুটকি নিজের মতো করে সাইজ করে এবং পরিষ্কার করে নিন।

তারপর শুটকি খুব ভালো মতো গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন ধুয়ে নিন। (যেনো বালি না থাকে)

তারপর কুসুম গরম পানিতে, অথবা স্বাভাবিক পানিতে শুটকি ভিজিয়ে রাখুন। ১-৩ ঘণ্টা।(যত বেশি ভিজিয়ে রাখা যায় তত ভালো) (হালকা কুশুম গরম পানিতে ভিজালে তাড়াতাড়ি ভেজানো হয়)

তারপর পানি থেকে ছেকে তুলে রেখে দিন।

তারপর আপনি যেভাবে চিংড়ি শুটকি ভুনা করেন ঠিক একই নিয়মে ভুনা করে নিন। যদি ঝাল কম খান তাহলে কাঁচা মরিচ একেবারে কম দিন (কারণ পরে আরো মরিচ মিশাতে হবে)

পানি শুকিয়ে তেল উপরে উঠে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন।

ভিন্নতার জন্য-১

আলাদা পাত্রে খুব মিহি কুঁচি করে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা কেটে নিন। তারপর এই তিনটি উপকরণ অল্প সরিষার তেল দিয়ে হাতে কচলে নিন (খুব বেশি নরম করা যাবেনা) কচলানো মসলা রান্না করা চিংড়ি শুটকির সাথে মিশিয়ে দিন।

ভিন্নতার জন্য-২

আলাদা পাত্রে খুব মিহি কুঁচি করে পেঁয়াজ এবং ধনেপাতা কেটে নিন। তারপর মিষ্টি জাতীয় শুকনা মরিচ তেলে ভেজে নিন(বগুড়ার মরিচ হলে চলবে না কারণ বগুড়ার মরিচে শুধু ঝাল থাকে। কিন্তু স্বাদ, ঘ্রাণ কিছুই থাকে না)(শুকনা মরিচ মেশানোর কারণ হচ্ছে শুকনা মরিচ ভেজে গুঁড়ো করে দিলে স্বাদ ও ঘ্রাণ বেশি ভালো হয়) তারপর এই তিনটি উপকরণ অল্প সরিষার তেল দিয়ে হাতে কচলে (খুব বেশি নরম করা যাবেনা) কচলানো মসলা রান্না করা চিংড়ি শুটকির সাথে মিশিয়ে দিন।

এরপর গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন, ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি।

কীভাবে রান্না করবো মজাদার লইট্টা শুটকি

কীভাবে রান্না করবো মজাদার লইট্টা শুটকি

শুটকিপ্রেমীদের অনেক পছন্দের একটি খাবার হচ্ছে লইট্টা শুটকি ভুনা। ঝাল কম দিয়ে অথবা বেশি দিয়ে রান্না করা যায় মজাদার এ খাবারটি। আসুন দেখি কীভাবে রান্না করবো মজাদার এই খাবারটি।

রান্নাতে যা লাগবে
লইট্টা শুঁটকি- ২০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি- ৪ কাপ, রসুন- দেড় কাপ (মোটা করে কাটা), টমেটো বাটা- ১ কাপ, হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ, লাল মরিচ গুঁড়া- স্বাদ মতো, আদা বাটা- ১ চা চামচ, রসুন বাটা- ১ চা চামচ, লবণ- স্বাদ মতো, তেল- ১ কাপ

রান্না করবেন কীভাবে
শুঁটকি মাছ গরম পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে মাছগুলো তিন থেকে চার টুকরো করে নিন ৷ আবারও গরম পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরিয়ে মাছগুলো সামান্য থেতলে নিন। মাছের মোটা কাঁটা ফেলে দিয়ে মাছ আলাদা করে রাখুন।প্যানে সামান্য তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি ও সামান্য লবণ দিয়ে ভাজতে থাকুন। কিছুক্ষণ ভেজে টমেটো বাটা, রসুন বাটা এবং লাল মরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। তেল বেরিয়ে এলে সামান্য পানি ও লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন।

এবার মরিচ ও রসুন কুচি বাদে অন্যান্য মসলা দিয়ে শুঁটকি মাছগুলো কষিয়ে নিন। মসলা শুকিয়ে এলে একটু একটু করে পানি দিন যেন নিচে লেগে না যায়। কিছুক্ষণ নেড়ে রসুন কুচি দিয়ে ভালো করে নেড়ে খানিকটা পানি দিয়ে ঢেকে দিন প্যান। ফুটে উঠলে পাঁচ-সাত মিনিট পর ঢাকনা খুলে আঁচ কমিয়ে দিন। মাখা মাখা হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে পাঁচ মিনিট ঢেকে রাখুন। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন লইট্টা শুঁটকি ভুনা।

কিভাবে রান্না করবেন জিভে জল আনা শুঁটকি মাছের ঝাল

কিভাবে রান্না করবেন জিভে জল আনা শুঁটকি মাছের ঝাল

সাদা ভাতের সঙ্গে ঝাল ঝাল শুঁটকির ঝাল কথা শুনলেই জিভে আসে জল। স্বাদের একঘেমেয়ি দূর করতে মজাদার শুঁটকির ঝাল রান্না করে ফেলতে পারেন। জেনে নিন রেসিপি।

উপকরণ
লটে শুঁটকি- ২০০ গ্রাম
পেঁয়াজ বাটা- 3 কাপ
রসুন- দেড় কাপ (মোটা করে কুচানো)
টমেটো – 4টে
হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
লাল মরিচ গুঁড়া- স্বাদ মতো
রসুন বাটা- 2 চা চামচ
লবণ- স্বাদ মতো
তেল- ১ কাপ

প্রস্তুত প্রণালি
শুঁটকি মাছ তিন থেকে চার টুকরো গরম জলে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর আবারও গরম পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরিয়ে মাছগুলো সামান্য থেঁতো করে নিন। মাছের মোটা কাঁটা ফেলে দিয়ে মাছ আলাদা করে রাখুন।
প্যানে সামান্য তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি ও সামান্য লবণ দিয়ে ভাজতে থাকুন । কিছুক্ষণ ভেজে  টমেটো টুকরো, রসুন বাটা এবং লাল মরিচ গুঁরো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। তেল বেরিয়ে এলে সামান্য জল ও লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন।
এবার মরিচ ও রসুন কুচি বাদে অন্যান্য মসলা দিয়ে শুঁটকি মাছগুলো কষিয়ে নিন। মসলা শুকিয়ে এলে একটু একটু করে পানি দিন যেন নিচে লেগে না যায়। কিছুক্ষণ নেড়ে রসুন কুচি দিয়ে ভালো করে নেড়ে খানিকটা পানি দিয়ে ঢেকে দিন প্যান। ফুটে উঠলে পাঁচ-সাত মিনিট পর ঢাকনা খুলে আঁচ কমিয়ে দিন। মাখা মাখা হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে পাঁচ মিনিট ঢেকে রাখুন। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন লটে শুঁটকির ঝাল ।

কচুর লতি দিয়ে শীদল শুঁটকি রান্না

কচুর লতি দিয়ে শীদল শুঁটকি রান্না

কচুর লতি দিয়ে শীদল শুঁটকি আমাদের গ্রামাঞ্চলে খুবই পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি খাবার। আমার খুব মনে আছে একটা সময় ছিল, ছোটবেলায় গৃষ্ম বা বর্ষাকালে হাওর থেকে ছোট মাছ ধরে আনলে দেখতাম মা চিংড়ি মাছগুলোকে আলাদা করে নিতেন। আমাকে ফরমায়েশ দিয়ে বলতেন দেখতো, বাড়ির আশেপাশে কচুর লতি পাওয়া যায় কি না? আমিও কথামত একদম দুহাত ভরে নিয়ে আসতাম। মা তখন চিংড়িমাছ, লতি, কাঁঠালবিচি আর কচুরমুখি দিয়ে কী যে স্বাদের রান্না করতো! সেই স্বাদটা এখনো খুব মিসস করি। কারণ সবকিছু ছিল একদম ফ্রেশ তরতাজা।
আজ আমি ফ্রজেন সব উপকরণ দিয়ে রান্নার চেষ্টা করেছি কারণ, বিলেতে এইসব ফ্রেশ জিনিশ পাওয়া সম্ভব না। তাই ফ্রজেন ছাড়া আমাদের উপায় নাই।

প্রবাসে ব্যাচেলর যারা শীদল শুঁটকি পছন্দ করেন অথবা যারা জানেন না তারা একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।

উপকরণঃ
৫০গ্রাম শীদল শুটকি
১কেজি কচুর লতি
৩০০গ্রাম চিংড়িমাছ
৩০০গ্রাম কাঁঠাল বিচি (ফালি করে নিবেন)
৮-১০টি কচুর মুখি (থাকলে দিতে পারেন স্বাদ বাড়ানোর জন্যে না দিলেও চলবে)
২টি নাগামরিচ বা বোম্বাই মরিচ, না থাকলে কাঁচামরিচ ১৫-১৬টি ফালি করে দিলে চলবে
আধাটেবিল চামচ হলদির গুড়া
একটেবিল চামচ মরিচের গুড়া
এবং লবন পরিমানমত।

কচুর লতি দিয়ে শীদল শুঁটকি রান্না
কচুর লতি দিয়ে শীদল শুঁটকি রান্না

প্রণালীঃ
উপরে বর্ণিত উপকরণগুলো শুটকি, কচুরলতি, চিংড়ি, কাঁঠালবিচি এবং কচুর মুখি ধুয়ে পরিষ্কার করে একসাথে পাতিলে ঢেলে দিন। এবার হলদি, মরিচের গুড়া, লবন এবং নাগামরিচ দিয়ে পাতিল চুলার উপর বসিয়ে দিন। আগুন মিডিয়াম ফ্লেইমে রেখে ভাল করে নেড়ে ৮-১০মিনিটের জন্য ঢেকে কষতে দিন। এবার ১ থেকে দেড় লিটার পানি দিয়ে আগুন ফুল ফ্লেইম দিয়ে ২০ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন। ২০ মিনিট পর যদি দেখেন পানি কমে শিরা ঘনো হয়ে আসছে তাহলে আগুন বন্ধ করে দিন। এবার নাক দিয়ে লম্বা করে একটা টান দিয়ে বলুন আহ! কি সুগন্ধি। ব্যাস হয়ে গেল কচুরলতি দিয়ে শীদল শুঁটকি। মোটা চালের বা সিদ্ধ চালের ভাতের সাথে শুঁটকি খুব যায়।

বিঃদ্রঃ অনেক সময় উপকরণগুলো একেবারে সটিক মাপে না হয়ে চোখের আন্দাজটাই আসল হয়। অতএব,পরিমাপের ক্ষেত্রে একটু কমবেশ হলে খাবার বেলা বুঝতে পারবেন। পরেরবার রাঁধলে ঠিক হয়ে যাবে।

বেগুন, আলু দিয়ে শুঁটকি

বেগুন, আলু দিয়ে শুঁটকি

উপকরণ 

শুঁটকি মাছ ২০ টুকরো, বেগুন অর্ধেক ডুমো ডুমো করে কাটা, আলু ১ টা ডুমো ডুমো করে কাটা, রসুন ৭-৮ টা কুচি করা , কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ বড় ১ টা কুচি করা, ধনে গুঁড়ো ১/২ চামচ, হলুদ গুঁড়ো, নুন, তেল।

পদ্ধতি

একটু বেশী করে তেল নিন কড়াইয়ে, গরম হলে তাতে পেঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা এগুলো দিয়ে দিন। একইভাবে একটু লালচে রঙ এলে তাতে নুন দিয়ে নিন পরিমাণ মত। এরপর জল দিন। ধনে গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো এগুলো দেওয়ার পর শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে মশলাটাকে ভালো মতো কষিয়ে নিন। কষানো হয়ে গেলে বেগুন আর আলু দিয়ে দিন কড়াইয়ে। এবারে ভালো করে হাতা দিয়ে নেড়ে নিন। তারপরে শুঁটকিটা দিয়ে দিন এর মধ্যে। তারপরে আঁচ হালকা করে দিয়ে ঢেকে রাখুন ও সেদ্ধ হতে দিন। মাঝে কয়েকবার ঢাকনা সরিয়ে দেখে নিন বেগুন, আলু এগুলো সেদ্ধ হল কিনা। হয়ে গিয়ে থাকলে নামিয়ে নিন। আপনার খাবার তৈরি।

বুঝতেই পারছেন খুব যে পরিশ্রম এতে করতে হবে তাও নয়। অনেক কম পরিশ্রমে যে কোনও দিন আপনি এই ট্র্যাডিশনাল রান্নাগুলো ঘরে বসে চেখে দেখতেই পারেন। তাই যান আজই বাজার থেকে কিনে আনুন শুঁটকি। আর সপরিবারে এর বিভিন্ন রেসিপি উপভোগ করুন।

Back to Top
//
আমাদের কাষ্টোমার কেয়ার সব সময় আপনার সেবায়!
👋 অর্ডার কিংবা যেকোন তথ্য পান!
Product has been added to your cart