coxsbazarshop.com
Home
Shop
Wishlist0

Call us: 09613-660510

লইট্ট্যা শুঁটকি বাটা

লইট্ট্যা শুঁটকি বাটা

উপকরণ

শুঁটকি মাছ ১৫-২০ টা, পেঁয়াজ ২ টো, রসুন ৭-৮ কোয়া, পরিমাণ মতো নুন, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, গুঁড়ো হলুদ।

পদ্ধতি

প্রথমে শুঁটকি মাছ কেটে নিয়ে গরম জলে সেদ্ধ করার পর ঠান্ডা জলে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবারে কাঁটা বেছে ফেলুন। মাছগুলোকে ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিন। এরপর আগে থেকে কেটে রাখা পেঁয়াজ, কাটা রসুন এগুলোকেও ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিন। মাছের পেস্টের সাথে এই পেস্টটিকে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবারে কড়াইয়ে বেশ খানিকটা তেল নিন। তেলটি গরম হওয়ার পরে তার মধ্যে এই মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এবারে বেশ কিছুক্ষণ হাতা দিয়ে নেড়ে নেওয়ার পরে পরিমাণ মতো নুন দিন।

আরও কিছুক্ষণ হাতা দিয়ে ঘেঁটে নেওয়ার পরে স্বাদ বুঝে পরিমাণ মতো শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো দিন। তবে এ ক্ষেত্রে ঝাল একটু বেশী হলে বরং খেতে ভালোই লাগে। এরপর খানিকটা গুঁড়ো হলুদ দিন। এবারে পুরো জিনিসটা বেশ কিছুক্ষণ হাতা দিয়ে ঘাঁটতে থাকুন। বাড়তি তেল যেন না থাকে দেখবেন। আর কড়াইয়ের সাথে যাতে না আটকে ধরে, তাই শেষ পর্যন্ত আপনাকে হাতা দিয়ে ঘেঁটে যেতে হবে। ব্যাস, হয়ে গেলে নামিয়ে নিন আর চেখে দেখুন। আপনার শুঁটকি বাটা প্রস্তুত।

লইট্যা শুঁটকি ভর্তা

লইট্যা শুঁটকি ভর্তা

এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। লইট্যা শুঁটকি ভর্তা নামেও এটি পরিচিত। আসুন, দেখে নিই এটি বানানোর পদ্ধতি।

উপকরণ

শুঁটকির কাটা টুকরো ১৫-২০ টা, পেঁয়াজ কুচি ২ টো, প্রয়োজন মতো ধনে পাতা, রসুন কুচি ৭-৮ কোয়া, কতটা ঝাল খাবেন সেই অনুযায়ী কাঁচা লঙ্কা ও শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, সর্ষের তেল বেশী পরিমাণে, স্বাদ মতো নুন, হলুদ গুঁড়ো, প্রয়োজন মতো তেল।

পদ্ধতি

সবার প্রথমে আপনাকে শুঁটকি মাছ টুকরো করে কাটার পরে গরম জলে বেশ কিছুক্ষণ গরম করে নেবেন। তারপর ঠান্ডা জলে বেশ কয়েকবার ধুয়ে নেবেন। আসলে এই মাছের গায়ে প্রচুর ধুলো জমে থাকে। তাই যতক্ষণ না ধুলো পরিষ্কার হয়, ধুতে থাকুন। ভালো করে পরিষ্কার করে নেওয়ার পরে এবারে আসল রান্না শুরু করুন।

প্রথমে কড়াইয়ে পরিমাণ মত তেল নিন, এরপর ওই তেলে একে একে পেঁয়াজ, রসুন কুচি, কাঁচা লঙ্কা, প্রয়োজন মতো নুন, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিন। তবে শুঁটকি মাছ শুকোনোর সময় নুন ব্যবহার করা হয়। এই জন্য নুনের পরিমাণ নিয়ে সচেতন থাকুন। যতক্ষন না লালচে রঙ আসে, ভাজতে থাকুন। এরপর কড়াইয়ে শুঁটকিগুলো ছেড়ে দিন। এবারে হাতা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন। খানিক জল দিন কড়াইয়ে। তারপর আঁচ কমিয়ে কড়াইটি দশ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন। এরপর আবার ভালো করে হাতা দিয়ে নাড়াতে থাকুন। বাড়তি জলটা শুকিয়ে ফেলুন। তারপর ওপরে ধনে পাতা ছড়িয়ে দিয়ে আরো কিছুক্ষণ হাতা দিয়ে ঘেঁটে নিন। ব্যাস, আপনার শুঁটকির ভর্তা তৈরি। সাধারণত শুঁটকি ভর্তায় পেঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা এগুলো বেশি ব্যবহার করা হয়, তবে আপনি আপনার স্বাদ অনুযায়ী পরিমাণ স্থির করে নিন।

টমেটো দিয়ে রুপচাদা শুটকি রান্না

টমেটো দিয়ে রুপচাদা শুটকি রান্না

রুপচাদা মাছ একটি সামদ্রিক ও সুস্বাদু মাছ। এ মাছের শুটকিও খুবই টেস্টি। আসুন টমেটো দিয়ে কিভাবে রুপচাদা শুটকি সহজে রান্না করা যায় সেটা জেনে নেই।

উপকরন:

রুপচাদা শুটকি ২০০ গ্রাম
টমেটো: ২- ৩ টা
পেয়াজকুচি: ১ কাপ
আদা বাটা: ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা: ১ চামচ
ধনে গুড়া: ১ চা চামচ
জিরা গুড়া: ১.৫ চা চামচ
হলুদ ও মরিচ গুড়া: পরিমাণমতো
ফালিকরা কাচা মরিচ: ৪-৫ টা
ধনেপাতা কুচি: পরিমানমতো
তেল: ৩ টেবিল চামচ
লবণ: স্বাদ মতো
চিনি: ১ চিমটি
পানি: পরিমান মতো

রান্নার নিয়মাবলী:
প্রথমে শুটকি পছন্দ মতো সাইজ করে কেটে নিন। তারপর ঞালকা গরম পানিতে ২-৩ ঘন্টা ভিয়ে রাখুন। তারপর ভাকরে ধুয়ে একটা বাটিতে তুলে রাখুন।
এবার একটি প্যানে তেল দিয়ে গরম করে নিন। তারপর পেয়াজ কুচি ঢেলে দিন ভালো করে ভেজে নিন হালকা বাদামী কালার হয়ে আসলে সব মশলা ঢেলে দিয়ে ৮-১০ মিনিট কষিয়ে নিন। কষানোর পর শুটকি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। কষানো হয়ে আসলে পানি দিয়ে ঢেলে ঢেকে দিন। ৮-১০ মিনিট রান্না করুন পানি ফুটে আসলে টমেটেকুচি ও কাচা মরিচ দিয়ে নেড়ে দিয়ে আবার ঢেকে দিন । মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে নেড়ে নিবেন যাতে নিচে লেগে না যায়। ভুনা হয়ে আসলে ঞালকা চিনি ও ধওন পাতা দিয়ে ঢাকানা ছাড়া ২ মিনিট রান্না করেন । সব শেষে উপড়ে জিরা গুড়া দিয়ে নামিয়ে ফেলুন। আর গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন টমোটে দিয়ে রুপচাদার শুটকি।

শুটকি শিরা রেসিপি

শুটকি শিরা রেসিপি

শুটকি শিরা রেসিপি
__________________
উপকরন
_______________
লাউ পাতা ৬/৭ টা
চাপা সুটকি ২পিছ
আলু ২টা
ঢেড়স ৫/৬ টা
নাগা মরিচ ১টা
কাচা মরিচ ৬/৭ টা
পেয়াজ ২টা ব্লাইন্ড
মুখি ৩/৪ টা
বেগুন ১টা
বড় মাছে মাথা পরিমানমতো বিরান করা. লবন পরিমান মতো.
১/২চা চামচ হলুদ গুড়া
১/২ চা চামচ মরিচ গুড়া
১/২ চা চামচ বাখর গুড়া

প্রনালী
________________
সব ভেজিটেবিল কে কেটে দুয়ে নেবেন.
মাছের মাথা বিরান করে নেবেন.
এবার একটা হাড়ীতে সব ভেজিটেবিল সুটকি পিয়াজ মরিচ
গুড়া মসলা লবন ও পরিমানমতো
পানি দিয়ে জাল দিবেন.নামাবার কিছুককন আগে মাছের মাথা দিয়ে
আর ৫মিনিট জাল দিয়ে নামাবেন.
কোন তেল লাগবে না .

শুটকি চিংড়ী বাটায় মিষ্টি কুমড়ো-চিংড়ী ভুনা রেসিপি

শুটকি চিংড়ী বাটায় মিষ্টি কুমড়ো-চিংড়ী ভুনা রেসিপি

দেশী রান্না “চিংড়ি দিয়ে মিষ্টি কুমড়া” নতুন রূপে একটা থাই টুইস্ট দিয়ে। থাই রান্নার একটা কমন উপাদান ড্রাইড স্রীম্প পেস্ট, তার সাথে মিল রেখে চিংড়ী শুটকি ব্যবহার করা হয়েছে।

শুটকি চিংড়ী বাটায় মিষ্টি কুমড়ো-চিংড়ী ভুনা রেসিপি

রেসিপি: প্রসন্ন রাই

উপকরন
মিস্টি কুমড়ো ১ ফালি (খোসা কাচা/সবুজ)
চিংড়ী শুটকি ১ টেবিল চামচ
পেয়াজ কুচি ৬ টা
রসুন কোয়া – আস্ত ১টি রসুন (ছোট)
রসুন বাটা ১টা ছোট
হলুদ গুড়া ১/৪ চা চামচ
ধনেপাতার মুল শিকড় ১ টেবিল চামচ
শুকনো মরিচ ৬-৮টা
কাঁচামরিচ ৪/৫টা
চিনি/লবন স্বাদমতো
তেল পরিমানমতো

>> চিংড়ী শুঁটকি শুকনো খোলায় টেলে ১০-১৫ মিনিট হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
>> শুকনো মরিচ ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
>> পেয়াজ, রসুন ও ধনেপাতার মুল ধুয়ে পরিস্কার করে, শুকনো মরিচ ও চিংড়ী শুটকি দিয়ে একত্রে পেস্ট করে নিন।
>> মিষ্টি কুমড়ো খোসাসহ মাঝ বরাবর দুভাগ করে কেটে, লম্বা করে ১/৪ ইঞ্চি পুরু ও ৬-৮ ইঞ্চি লম্বা করে পিস করে নিন।
>> চিংড়ী মাছ পরিস্কার করে ধুয়ে লবন ও হলুদ মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখুন।
>> প্যানে তেল গরম করে মসলা-চিংড়ী পেস্ট ও হলুদ দিয়ে অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানো হলে মিস্টি কুমড়া দিন। খুব ভালোভাবে মিস্টি কুমড়া কষিয়ে পরিমান মতো পানি দিন, লবন দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন।
>> কুমড়া প্রায় সেদ্ধ হয়ে আসলে ভাজা চিংড়ী মাছ ও কাঁচামরিচ ফালি দিন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। সবকিছু সেদ্ধ হয়ে তেল ছেড়ে আসলে নামিয়ে নিন।
>> নামানোর আগে একটু চিনি দেবেন (অপশানাল)।

লইট্টা শুঁটকিতে বেগুনের আলু ঝোল

উপকরণ: লইট্টা মাছের শুঁটকি ১০–১২টি, বেগুন ২টি, আলু ২টি (লম্বা করে কাটা), পেঁয়াজ ২টি (কুঁচি), রসুন অর্ধেকটা (কিছু কুঁচি, কিছু আস্ত), তেল ১ টেবিল চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনিয়া ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরাবাটা ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো ও ঝোলের জন্য পানি পরিমাণমতো।



প্রণালি: লইট্টা মাছের শুঁটকি ভালো করে পরিষ্কার করে কেটে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর চুলায় পাত্র বসিয়ে দিয়ে ওপরের উপকরণ দিয়ে মশলা কষিয়ে নিন। এর মধ্যে শুঁটকি ঢেলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ২-৩ মিনিট রান্না করে নিতে হবে। ঢাকনা খুলে এতে আলু দিন, কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। কষানো হলে বেগুন দিয়ে আবার ১-২ মিনিট রান্না করেন। পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে লবণ চেখে নামিয়ে নিন।

বিউলির ডালে টমেটো লইট্টা শুঁটকি

উপকরণ: লইট্টা শুঁটকি ১০টি, সারা রাত ধরে ভেজানো বিউলির ডাল সিকি কাপ, টমেটো ২টি, তেল সিকি কাপ, মরিচ ১ চা-চামচ, মিষ্টি মরিচ ৩ টেবিল চামচ, ধনিয়াগুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদ ১ চা-চামচ, রসুন ১টা বড় আস্ত (কিছু কুঁচি করা), পেঁয়াজকুচি ২টি, লবণ স্বাদমতো ও কাঁচা মরিচ ৫–৬টি।

প্রণালি: প্রথমে শুঁটকি ভলো করে পরিষ্কার করে কেটে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ ও রসুন ২–৩ মিনিট হালকা রান্না করে নিতে হবে। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে এর সঙ্গে শুঁটকিসহ ওপরের সব উপকরণ কষিয়ে নিতে হবে ৫–৬ মিনিট। কষানো হয়ে গেলে ঝোলের পানি দিয়ে ঢেকে দিন। আরও ৭–৮ মিনিট রান্না করুন। লবণ চেখে নামিয়ে নিন।

নোনা ইলিশের পাতুরি

নোনা ইলিশের পাতুরি

আজ বাংলাদেশের একটা রান্না নিয়ে হাজির হলাম।যারা পছন্দ করেন না দয়া করে এড়িয়ে যাবেন। আমার খুবই পছন্দের খাবার গুলোর মধ্যে একটি। নোনা ইলিশ আমার ভীষন প্রিয়।যদিও মা বিভিন্নভাবেই রান্না করেন এই নোনা ইলিশ।তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে এর পাতুরি।খুবই সহজ রান্না আর স্বাদে অতুলনীয়। যাই হোক যারা খেয়েছেন তারা নিশ্চই জানেন এর স্বাদ।

* নোনা ইলিশ, পেয়াজ মিহি কুচি,শুকনো লংকাবাটা, হলুদ গুঁড়ো,কুমড়ো পাতা।

* নোনা ইলিশ ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।এতে প্রচুর পরিমানে নুন থাকে তাই ভাল করে ধুয়ে নিতে হয়।ধুয়ে নিয়ে ছোট ছোট করে টুকরো করে নিতে হবে। বড় টুকরো দিয়েও করি তবে সেক্ষেত্রে পেয়াজ বাটা দিই।

কুমড়ো পাতা ভাল করে ধুয়ে নুন মাখিয়ে রাখতে হবে।

কড়াতে খুব অল্প তেল দিয়ে তাতে মিহি করে কুচানো পেয়াজ দিয়ে পেয়াজের অতিরিক্ত জলটা টানিয়ে নিতে হবে।কিন্তু ভাজা ভাজা করা যাবেনা। কম আচে,কম তেলে একটু নরম হলে নামিয়ে নিতে হবে। নামিয়ে নিয়ে এর সাথে লংকাবাটা, হলুদ,টুকরো করা ইলিশ মেখে নিতে হবে।আমি আলাদা করে কোন নুন দিই নি।ইলিশের নুনেই হয়ে যায়।

তারপর নুন মাখানো কুমড়ো পাতার জল চেপে বের করে নিতে হবে। সেই পাতায় ইলিশ মাখানো দিয়ে ভালো করে মুড়িয়ে ভাজ করে নিতে হবে।প্যানে তেল গরম করে অল্প আচে পাতায় মোড়ানো নোনা ইলিশ কড়া করে ভেজে নিতে হবে দুপিঠ।
গরম ভাতের সাথে আর কিছুই লাগবেনা।

সবজিতে ছুরি শুটকি ভুনা

সবজিতে ছুরি শুটকি ভুনা

রেসিপি
উপকরন:
ছুরি শুটকি ছোট করে কাটা ১ কাপ
পেয়াজ কুচি ১ কাপ
রসুন কুচি ১/২ কাপ
আদা বাটা ১/২ চা চামচ
শুকনা মরিচ ২/৩ টা
টমেটো কুচি ১ কাপ
মটরশুটি ১/২ কাপ
গাজর কিউব করে কাটা ১/২ কাপ
জিরা গুড়া ১/২ চা চামচ
শুকনা মরিচ গুড়া ১ চামচ
হলুদ গুড়া ১/২ চা চামচ
লবন পরিমানমত
তেল ২/৩ চা চামচ
প্রনালি:
শুটকি ভালো করে গরম পানিতে ধুয়ে নিন।এবার প্যানে তেল দিয়ে পেয়াজ ও রসুন কুচি কিছুটা ভেজে বাকি সব মশলা দিয়ে কসিয়ে নিন,গাজর, মটরশুটি ও টমেটো দিয়ে আরো কিছুখন কসিয়ে নিন,প্রয়োজনে সামান্য পানি দিন,এবার মাছ দিয়ে দিন,১/২ কাপের মত পানি দিয়ে ঢেকে দিন সবজি মাছ সেদ্ধ হতে। মাছ ও সবজি সেদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে আসলে নামিয়ে নিন।

শুঁটকির গন্ধ দূর করার উপায়

শুঁটকির গন্ধ দূর করার উপায় কী কী?

শুঁটকির গন্ধ অনেকেরই ঠিক সহ্য হয় না। তাই খাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও ঠিক সুবিধা করে উঠতে পারেন না। কিন্তু শুঁটকি মাছের এই বিকট গন্ধ দূর করারও বেশ কিছু উপায় আছে, যা রান্নার সময়ে একেবারেই গন্ধ বের হতে দেয় না।

উপায় ১ : একটা কড়াইয়ে জল নিয়ে শুঁটকি গুলো ভিজিয়ে রেখে ৫/৬ মিনিট আগুনে সেদ্ধ করে নিন। এতে শুঁটকির সাথে থাকা বালি ও ময়লাগুলো দূর হয়ে যাবে, সাথে গন্ধও; তারপর জল ঝরিয়ে ফেলুন। (সর্তকতাঃ এই সময়ে নাক অবশ্যই বন্ধ রাখবেন) এরপর চাইলে আপনি ঠান্ডা জলে পুনরায় মাছগুলো ধুয়ে ফেলতে পারেন।

উপায় ২: গ্যাসের একটি চুলায় শুঁটকি চড়িয়ে অন্য চুলায় একটি পাত্রে জল নিয়ে, তাতে কিছু ভিনেগার ঢেলে জ্বাল দিতে থাকলে আর কোন গন্ধ ছড়াবে না।

উপায় ৩: শুঁটকি মাছ রান্নার সময়ে সয়াবিন তেল ব্যবহার না করে সরিষার তেল ব্যবহার করার পরামর্শ দেব। সরিষার তেল ব্যবহারে শুঁটকি মাছের গন্ধ অনেকটা দূর হয়ে যায়।

উপায় ৪: রান্নার সময় একটি পাকা টমেটোকে ভালো করে হাত দিয়ে চটকে অথবা কুচি করে কড়াইয়ে দিয়ে দিন। তারপর কাটা শুঁটকিগুলো দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন। তারপর আপনি রসুন কুচি দিন (এই রসুন কুচি চাইলে আপনি কিছুটা আগেও দিতে পারেন)। তারপর অর্ধেক বা সিকি কাপ লেবুর রস দিয়ে দিন। এতে শুঁটকির অযাচিত গন্ধ কিছুটা হলেও কমে আসবে। স্বাদটা বেশি ভালো লাগবে।

উপায় ৫: রান্নানামানোর আগে একটু আগে ধনে পাতা কুচি দিয়ে ঢাকনি বন্ধ করে কিছুক্ষণ রেখে দিলে ভালো হয়। তাহলে শুঁটকি মাছের খারাপ গন্ধ অনেকটাই চলে যাবে।

মজাদার ও লোভনীয় শুটকি মাছের ১০ পদের রেসিপি

আজ আমরা এমন একটা খাবার নিয়ে কথা বলবো যেটা আমাদের অনেক তীব্র অপছন্দ এবং অনেকের এতই পছন্দ যে নাম শুনলেই জিভে জল আসে। পাঠক বোধহয় আন্দাজ করে ফেলেছেন খানিকটা। হ্যাঁ , আমি শুটকির কথাই বলছি। শুটকির তীব্র গন্ধে কারো কারো নাড়িভুঁড়ি উপড়ে আসার উপক্রম হয়, কেউবা শুঁটকির কথা শুনলে শুটকির নানা পদের কথা বলতে থাকেন আর জিভ বেচারাকে লালার সাগরে ভাসিয়ে দেন। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে এটা স্বীকৃত যে, শুঁটকি মাছে জীবিত মাছের চেয়ে বেশি পরিমাণ পুষ্টি থাকে। আজ আমরা শুঁটকির কয়েকটি রেসিপি নিয়ে কথা বলবো।

প্রথমেই জেনে নেই শুটকি কিভাবে তৈরি করা হয়। শুঁটকি মাছকে দুইটা ভিন্ন সংরক্ষণ প্রকিয়ায় তৈরি হয়, একটা রোদে শুকিয়ে অপরটি হল মাটির নিচে পুঁতে রেখে ব্যাকটেরিয়া ব্রিড করে। চ্যাপা শুঁটকি দ্বিতীয় ভাবে তৈরি হয়। তাই এটা পুরোপুরি শুঁটকি না হয়ে খানিকটা মাংসল থাকে যা বিকট দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে।

এক এক শুটকির এক এক স্বাদ। আজকে আপনাদের জন্য রয়েছে শুটকি মাছের ১২ পদের রেসিপি। দেখে নিন-

১। চ্যাপা শুটকি ভর্তা

উপকরণ :
১. চ্যাপা শুঁটকি ৫০ গ্রাম,
২. রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ,

৩. রসুন স্লাইস আধা কাপ,
৪. পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ,

৫. মরিচ বাটা ২ টেবিল চামচ,
৬. হলুদ ভাটা ১ চা চামচ,

৭. ফিশসস ১ চা চামচ,
৮. লবণ স্বাদমতো,

৯. তেল ১/৩ কাপ,
১০. কাঁচা মরিচ ৪টি।

প্রণালি :শুঁটকি ভালো করে ধুয়ে বেটে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে গরম হলে পেঁয়াজ ও রসুন স্লাইস দিন। পেঁয়াজ ও রসুন নরম হলে হলুদ, মরিচ ও রসুন বাটা দিয়ে ভুনে নিন কোয়ার্টার কাপ পানি দিয়ে। মসলা ভুনাভুনা হলে শুঁটকি, লবণ ও ফিশসস দিয়ে ভুনতে থাকুন। স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিন। বেশি ঝাল খেতে চাইলে কাঁচা মরিচ চিরে দিন। ঝাল কম খেতে চাইলে আস্ত মরিচ দিন। তেল চকচকে হয়ে কড়াই থেকে আলগা হলে নামিয়ে নিন।

২।দোমাছা

উপকরণ :
১. ছুরি মাছের শুঁটকি ১ কাপ,
২. কোরাল চিংড়ি মাছ ১ কাপ,

৩. পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ,
৪. রসুনবাটা ১ চা-চামচ,

৫. গোটা রসুন কোয়া ৭-৮টি,
৬. পেঁয়াজবাটা ১ চা-চামচ,

৭. টমেটোকুচি ১ টেবিল চামচ,
৮. তেল ২ টেবিল চামচ,

৯. হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ,
১০. মরিচগুঁড়া দেড় চা-চামচ,

১১. লবণ পরিমাণমতো,
১২. কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টা,
১৩. ধনিয়াপাতাকুচি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি :ছুরি মাছের শুঁটকি টুকরা করে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। নরম হলে ভেতরের কাটা বেছে নিন। চিংড়ি মাছের মাথা ফেলে ধুয়ে রাখুন। অথবা কোরাল মাছ নিলে ছোট ছোট করে কেটে তেলে পেঁয়াজ অল্প ভেজে হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, রসুনবাটা, পেঁয়াজবাটা, লবণ ও টমেটোকুচি দিয়ে কষান। এবার শুঁটকি দিয়ে নাড়ুন। চিংড়ি অথবা কোরাল মাছের টুকরা ঢেলে কষান। অল্প পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পর কাঁচা মরিচ ও ধনিয়াপাতাকুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।.

৩।লইট্টা ভুনা

উপকরণ :
১. লইট্টা শুঁটকি ২০০ গ্রাম,
২. পেঁয়াজ কুচি ২৫০ গ্রাম,

৩. রসুন কুচি ১০০ গ্রাম,
৪. রসুন বাটা ১ চা চামচ,

৫. আদা বাটা আধা চা চামচ,
৬. হলুদ বাটা আধা চা চামচ,

৭. মরিচ বাটা আধা চা চামচ,
৮. কাঁচা মরিচ ফালি ৫টি,

৯. লবণ ১ চা চামচ,
১০. আস্ত জিরা আধা চা চামচ,

১১. পানি আধা কাপ,
১২. তেল আধা কাপ।

প্রণালি :আস্ত শুঁটকি আগুনে পুরপুর শব্দ হওয়া পর্যন্ত ছেঁকে নিন। এবার শুঁটকি ছোট ছোট টুকরা করে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। চুলায় কড়াইয়ে তেল দিয়ে গরম হলে অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ বেরেস্তা হলে আস্ত জিরা দিন। জিরা ফুটে উঠলে শুঁটকি দিন। ভালো করে নেড়ে সব বাটা মসলা দিন। রেখে দেওয়া পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি ও লবণ দিয়ে কষিয়ে পানি দিয়ে ঢেকে আঁচ কমিয়ে দিন। ঢেকে দেওয়া শুঁটকি সিদ্ধ হয়ে মাখামাখা হলে কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে নেড়ে আবারও ঢেকে দিন। ভুনাভুনা হলে নামিয়ে ফেলুন।

৪।শুঁটকি পাতুরি

উপকরণ :
১. চ্যাপা শুঁটকি ৫০ গ্রাম,
২. আলু কুচি ২ কাপ,

৩. পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ,
৪. রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ,

৫. মরিচ বাটা ৩ টেবিল চামচ,
৬. হলুদ বাটা ১ চা চামচ,

৭. আদা বাটা আধা টেবিল চামচ,
৮. ধনিয়াপাতা কুচি আধা কাপ,

৯. ফিশসস ১ টেবিল চামচ,
১০. তেল আধা কাপ,

১১. লবণ ১ চা চামচ,
১২. লাউ বা কুমড়াপাতা ১৫টি।

প্রণালি :শুঁটকি ধুয়ে বেটে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি নরম করে ভেজে ধনিয়াপাতা ও লাউপাতা ছাড়া সব উপকরণ দিয়ে ভুনে নিন। এবার ধনেপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। ঠাণ্ডা করুন। পাতার মধ্যে পরিমাণমতো শুঁটকির পুর দিয়ে মুড়ে টুথপিক দিয়ে আটকে দিন। ফ্রাইপ্যানে অল্প তেল দিয়ে গরম হলে ভেজে নিন। ২ পিঠ ভালোভাবে ভাজুন।.

৫।চ্যাপা ভর্তা

উপকরণ :
১. চ্যাপাশুটকি ২০ গ্রাম,

২. শুকনা মরিচ ১৫টি,
৩. পেঁয়াজ টুকর ১ কাপ,

৪. রসুন কোয়া আধা কাপ,
৫. লবণ স্বাদমত,
৬. লাউপাতা ২টি।

প্রণালি :শুটকি পরিষ্কার করে ধুয়ে পাতা দিয়ে মুড়ে ফ্রাইপ্যানে সামান্য তেল দিয়ে ভেজে নিন সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত। ভাজার পর উপরের পাতাটি ফেলে দিন। রসুন কোয়া ভালভাবে টেলে নিন। পেঁয়াজও টেলে নিন যেন কচকচে ভাব থাকে। শিলপাটা শুকনা মরিচ বেটে নিন। এবার শুটকি, লবণ ও রসুন দিয়ে বাটুন। সবশেষে পেঁয়াজ দিয়ে আধাবাটা করে এক সঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।

৬।চিংড়ি শুঁটকি দিয়ে লতি

উপকরণ :
১. মাথা ছাড়ানো চিংড়ির শুঁটকি আধা কাপ,
২. কচুরলতি ৫০০ গ্রাম,

৩. রসুনবাটা দেড় চা-চামচ,
৪. পেঁয়াজকুচি ৯ টেবিল চামচ,

৫. তেল ১ টেবিল চামচ,
৬. লবণ স্বাদমতো,

৭. হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ,
৮. মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ,
৯. ধনিয়াপাতাকুচি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি :চিংড়ি শুঁটকির মাথা ফেলে ধুয়ে রাখুন। কচুরলতির আঁশ ফেলে টুকরা করে নিন। তেলে পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, মরিচগুঁড়া ও চিংড়ি শুঁটকি দিয়ে দিন। লতি সেদ্ধ হলে ধনিয়াপাতা, মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিন।.

৭।নোনা ইলিশে বেগুন

উপকরণ :
১. নোনা ইলিশ ৪ টুকরা,

২. বেগুন ৫০০ গ্রাম,
৩. হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ,

৪. মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ,
৫. তেল ১ চা-চামচ,

৬. জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ,
৭. কাঁচামরিচ ৪-৫টি,

৮. পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ,
৯. রসুনবাটা ১ চা-চামচ।

প্রণালি :নোনা ইলিশ পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। বেগুন টুকরা করে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তেলে পেঁয়াজ অল্প ভেজে হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া ও রসুনবাটা দিয়ে কষান। ইলিশ ও বেগুন ঢেলে দিয়ে নাড়তে থাকুন। অল্প পানি দিয়ে ঢেকে দিন। বেগুন সেদ্ধ হলে জিরাগুঁড়া ও কাঁচা মরিচ দিন। নোনা ইলিশে পর্যাপ্ত লবণ থাকায় তরকারিতে লবণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

৮।রূপচাঁদা শুটকির দোপেঁয়াজা

উপকরণ :
১. রূপচাঁদা শুটকি ১টি,
২. তেল পরিমাণ মতো,

৩. পেঁয়াজকুচি ২ কাপ,
৪. রসুনকুচি আধা কাপ,
৫. টমেটোকুচি আধা কাপ,

৬. সামান্য আদাবাটা,
৭. ধনিয়াগুঁড়া আধা চা-চামচ,

৮. মরিচগুঁড়া ৩ চা-চামচ,
৯. হলুদগুঁড়া দেড় চা-চামচ,

১০. কাঁচামরিচ ৬টি,
১১. লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি :রূপচাঁদা শুটকি দুই ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। নরম হলে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে, ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার প্যানে তেল দিন। তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজকুচি, রসুনকুচি, সামান্য আদাবাটা, ধনিয়াগুঁড়া, মরিচ, হলুদ, তেল, লবণ, কাঁচামরিচ আর টমেটো-কুচি সব মসলা ভালো করে ভেজে নিন। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে তাতে মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন। এবার অল্প পানি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে ঢেকে দিন। পানি কমে মাখা মাখা হলে তাতে কাঁচামরিচ দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

৯।মসুরের ডাল ও কাঁচকি শুঁটকি চচ্চড়ি

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ মসুর ডাল ১ কাপ, কাঁচকি শুঁটকি ১০০ গ্রাম, মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, রসুন কুচি এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, তেল এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, ফিস সস ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৬টি, পানি ২ কাপ, লবণ স্বাদমতো।

প্রস্তুত প্রণালীঃ শুঁটকি পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। ডাল বাদামি বাদামি করে ধুয়ে ভেজে রাখুন। কড়াইয়ে তেল গরম হয়ে এলে পেঁয়াজ-রসুন কুচি ভেজে গুঁড়া ও বাটা মসলা দিন। সামান্য লবণ দিন। সামান্য পানি দিয়ে মসলা কষিয়ে নিন। মসলা ভালোমতো কষানো হলে কাঁচকি শুঁটকি দিন। শুঁটকি কষিয়ে এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ পানি দিয়ে ঢেকে দিন। পানি শুকিয়ে গেলে ভাজা ডালগুলো দিয়ে দিন। নেড়েচেড়ে দেড় কাপ পানি দিয়ে ঢেকে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। মাখামাখা হলে চেড়া কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে দিন। ডাল সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিন। পরিবেশন করুন গরম ভাতের সঙ্গে অথবা খিচুড়ির সাথে। খেতে পারেন বর্ষণক্লান্ত কোন একদিনে।

১০। কাঠালের বিচি শুঁটকি

প্রয়োজনীয় উপকরণ: কাঁঠালের বিচি আধা কাপ, শুঁটকি মাছ ১/২ কাপ, রসুন কাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, রসুন বাটা এক চা চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ সামান্য, কাঁচামরিচ ফালি ৪-৫টি, তেল আধা কাপ, লবণ স্বাদ অনুসারে, জিরার গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ।

প্রণালী: শুঁটকি মাছ কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। কাঁঠালের বিচি ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে রসুন কুচি দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একে একে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে শুঁটকি ও বিচি দিয়ে কষাতে হবে। খুব ভালো করে দুবার কষিয়ে তেলের ওপর উঠলে নামিয়ে নিন। গরম ভাতে এবং লাউএর শাকের সাথে পরিবেশন করতে পারেন।

Back to Top
//
আমাদের কাষ্টোমার কেয়ার সব সময় আপনার সেবায়!
👋 অর্ডার কিংবা যেকোন তথ্য পান!
Product has been added to your cart