coxsbazarshop.com
Home
Shop
Wishlist0

Call us: 09613-660510

গরম ভাতের সাথে দারুণ সুস্বাদু শুটকি ভুনা রেসিপি

গরম ভাতের সাথে দারুণ সুস্বাদু শুটকি ভুনা রেসিপি

শুঁটকি খেতে কেউ ভালোবাসেন, আবার অনেকেই বাসেন না। তবে যারা ভালোবাসেন, তারা কিন্তু ভালোই জানেন এই শীতের দিনে গরম ভাতের সাথে সুস্বাদু শুঁটকি ভুনার মজা। একবার চেখেই দেখুন আপনার ভালো লাগে কিনা।

উপকরণ
আপনার পছন্দে শুটকি মাছ ২ কাপ (ছুরি বা রূপচাঁদা হলে ভালো)
পিঁয়াজ মোটা কুচি ১ কাপ
পিঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ
রসুন মোটা কুচি ২ টেবিল চামচ
রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
টমেটো বাটা ১/২ কাপ
আদা বাটা ১/২ চা চামচ
মরিচ গুঁড়ো ১ চা চাম
হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
কাঁচা মরিচ ফালি ১০/১২ টা ( ইচ্ছা -যে যেমন ঝাল পছন্দ করেন )
ধনে-জিরা গুঁড়ো ১ চা চামচ
লবণ স্বাদ মত
চিনি ১ চা চামচ
তেল ১/২ কাপ বা প্রয়োজন মত

প্রণালি

-শুটকি মাছগুলোকে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে একটু তাওয়ায় টেলে নিয়ে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ভালো করে ধুয়ে কাটা বেছে নিন ।

-এবার প্যানে তেল গরম করে পিঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি দিয়ে হালকা ভেজে পিঁয়াজ, আদা, রসুন, টমেটো বাটা দিয়ে একটু কষিয়ে শুটকি মাছ, হলুদ-মরিচ-ধনে-জিরা গুঁড়ো, লবণ দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢেকে দিতে হবে। প্রয়োজনে একটু পানি দিতে হবে।

-রান্না শেষর দিকে বাকি রসুন কুচি, কাঁচা মরিচ ফালি, চিনি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করে নামিয়ে ফেলতে হবে।

ব্রকলি দিয়ে চিংড়ি শুটকির রেসিপি

ব্রকলি দিয়ে চিংড়ি শুটকির রেসিপি

ব্রকলি দিয়ে চিংড়ি মাছের শুটকির রেসিপি।

উপকরণ:
চিংড়ি শুটকি ১ কাপ
ব্রকলি ২ কাপ
পিঁয়াজ কুচি বড় আকারের ১ টি
রসুন কুচি ৩ টেবিল-চামচ
কাঁচামরিচ ৫-৬টি
হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ
মরিচের গুঁড়া এক চা চামচ
লবণ স্বাদ মত
তেল পরিমাণ মত

প্রণালী:
প্রথমে চিংড়ি শুটকি পানি দিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। তারপর ব্রকলি ছোট ছোট করে কেটে নিন। এবার কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল গরম করে পিঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। পিঁয়াজ হালকা বাদামি হলে চিংড়ি শুটকি, হলুদ গুঁড়া,মরিচ গুঁড়া, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে ভাজতে থাকুন।

পানি ছাড়া রান্না করলে সাধ হবে বেশি। তাই খুব হাল্কা আঁচে রান্না করবেন। চিংড়ি ভাজা ভাজা হয়ে আসলে ব্রকলি দিয়ে দিন। মাঝারি তাপে ব্রকলি সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। ব্রকলির রং সবুজ রাখতে হলে ঢাকনা ব্যবহার করা যাবে না। ব্রকলি সিদ্ধ হলেই চুলা বন্ধ করে দিন। নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

লইট্যা শুঁটকির ভর্তা রেসিপি

লইট্যা শুঁটকির ভর্তা রেসিপি

চট্টগ্রামে শুঁটকির ঐতিহ্য আর আদর আপনাকে চোখে দেখতে হবে।
তাও আবার দূর হতে দেখলে হবে না, কোন পরিবারে থেকে কিংবা চট্টগ্রামে থেকে তা উপলব্ধি করতে হবে। অসাধারণ -এক কথায়। কত রকম করে যে শুটকির ব্যবহার হয় প্রতিদিনের তরকারীতে, এর সাথে আমরা যারা বাহিরে থেকে চট্টগ্রামের এই ঐতিহ্য ধারন করছি তারা এতে নতুন মাত্রা যোগ করেছি কোন সন্দেহ নেই।লইট্যা শুঁটকি খুবই সহজ লভ্য এখানে। তাই এর ভর্তা নিয়ে একটা রেসিপি এখানে দেওয়া হলো। লইট্যা মাছও খুবই জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু, মাছটি দেখে হয়ত আপনাদের ভাল নাও লাগতে পারে। তবে একবার ভাল রান্নায় লইট্যা মাছের কোন তরকারী খেয়ে আপনি আবার এর টানে এখানে আসতে চাইবেন।
উপকরণঃ
লইট্যা শুঁটকি ১২ টুকরা (১ ইঞ্চি করে কাটা) পেঁয়াজ কুচি মাঝারী ১ টি পেঁয়াজ রসুন ২ কোয়া (বড় সাইজের) নারিকেল (কুরানো) ১ টেবিল চামচ শুকনা মরিচ ৫/৬ টা (টালা অথবা ভাজা) ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ কুচানো লবন পরিমানমতো
প্রস্তুত প্রণালীঃ
লইট্যা শুঁটকির টুকরা গুলো ভালকরে ধুয়ে টেলে নিন। এবার পাটায় (শিলে) টালা শুকনো মরিচ ও লবণ বেটে নিন। শুঁটকি ভাল করে বেটে নিন পাটায়। তারপর পেঁয়াজ কুচি, রসুন, কুরানো নারকেল, ধনেপাতা কুচি একসঙ্গে বেটে নিন। বাটা উপকরণ গুলো এবার একসঙ্গে মেশান। মেশানো উপকরণ গুলো এবার একসঙ্গে আবার পাটায় বেটে নিন- আরো মিহি হবে। এবার পাটা থেকে তুলে আরেকবার মাখান। ভর্তার গোল গোল বল করে প্লেটে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। শুঁটকির ভর্তা করার জন্য অন্য কোন শুঁটকি হলেও একই রেসিপিতে করা যেতে পারে। শুধু রেসিপিতে লইট্যা শুঁটকির পরিমানে অন্য শুঁটকি নিলেই হবে। এখানে লইট্যা শুঁটকি ব্যাবহার করা হয়েছে, কারণ লইট্যা মাছ এবং এর শুঁটকি চাটগাঁর মানষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। অন্য একটা রেসিপিতে লইট্যা মাছের রেসিপি দেয়ার ইচ্ছে রইল, লইট্যা মাছতো আরো মজার, যারা খেয়েছেন তারা এর স্বাদ ভুলবেন না কোনদিন।

লাউ পাতা অথবা কুমড়া পাতা দিয়ে শুটকি পাতুরি

লাউ পাতা অথবা কুমড়া পাতা দিয়ে শুটকি পাতুরি

যারা শুটকি খেতে পছন্দ করেন তাদের কাছে শুটকি পাতুড়ি একটি অমৃত খাবার গরম ভাত আর লেবুর সাথে ৷ পাতা দিয়ে পেঁচিয়ে করার হয় বলে এই নামকরণ শুটকির পাতুড়ি ৷ জামালপুর, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণাকে পৃথক …. ময়মনসিংহ বিভাগ যথা বাংলাদেশের জেলাসমূহ মানুষদের কাছে এই খাবারটি বেশি জনপ্রিয় ৷ এটা চ্যাঁপা শুটকি বা সিঁদল শুটকি দিয়ে তৈরি করা হয় ৷ লাউ পাতা অথবা কুমড়া পাতা দিয়ে সাধারনত এই পাতড়ি তৈরি করা হয় ৷

মা ,নানী ,দাদীদের হাতের রান্না শুটকি পাতুড়ি প্রবাসে অনেকের কাছেই একটি মধুর মুখরোচক স্মৃতি ৷

আমি কখনো নিজেই রান্না করিনি শুটকি পাতুড়ি তবে খেয়েছি বহু বার ৷

যেহেতু আজ আমি নিজেই রান্না করেছি ভাবলাম রেসিপি লিখি সেই ভাবনা থেকেই রেসিপি লিখা ৷ যারা আমার মতো প্রবাসে এই শুটকি পাতুড়ি খেয়েছেন বহুবার কিন্তু নিজের রান্না করেন নাই তাদের জন্য আমার রেসিপি ৷ মা ,খালাদের মতো হয়তো হবে না স্বাদ তবে আপনি আপনার মেয়ের মন জয় করতে পারবেন এটা নিশ্চিত বলছি ৷

গ্রাম বাংলায় এই রান্না রেসিপি ক্ষেত্র বিশেষ একেক জন ,একেক ভাবে করে থাকেন ৷ কেঊ শুটকি ,মরিচ ,রসুন টেলে হাতে কচলিয়ে পরে পেয়াজ মেখে ভর্তা করে পাতার পেঁচিয়ে ভেজে নেন ৷ আবার কেউ শুটকি ,মরিচ ,রসুন কাঁচা অবস্থায় পাটাতে বেটে তারপর কড়াইতে বাগার দিয়ে নেন ,তারপর পেয়াজ দিয়ে ভর্তা টা তৈরি করে এরপর লাউ পাতাতে পেঁচিয়ে ভাজেন ৷
আমি যেভাবে করিছি তার বিররন নিচে ৷
উপকরন :
চ্যাঁপা শুঁটকি ১১ টা ,
রসুন কোয়া ৮ টা ,
শুকনা অথবা কাঁচামরিচ স্বাদ মতো ,
পেয়াজ কুচি এককাপ ,
লবন স্বাদমতো ৷
এবং লাউ পাতা ৷

প্রস্তুত প্রণালি :শুঁটকি গুলো ভালো করে ধুয়ে নিন ৷ শুকনো কড়াই গরম করে তাতে ,রসুন ,মরিচ দিয়ে টেলে নিন এবং তার সাথে শুঁটকি গুলো দিয়ে ভালো করে টেলে নিন ৷

এবার টেলে নেওয়া শুটকি ,মরিচ এবং রসুন লবন দিয়ে ব্লেন্ডারে অথবা পাটাতে বেটে ভর্তা তৈরি করে নিন ৷ তৈরি করা ভর্তা সাথে মিহি পেয়াজ দিয়ে ভালো করে মেখে নিন ৷

লাউ পাতা গুলো হালকা লবন দিয়ে মেখে নরম হলে পানিতে ধুঁয়ে হালকা ভাবে চিপে পানি ঝরিয়ে রাখুন ৷

এবার একটি করে পাতা নিন এবং পাতা মাঝ খানে বানিয়ে রাখা ভর্তা দিয়ে পাতা চারপাশ ভাজ করে থলের মতো বানিয়ে নিন ৷ একই ভাবে সব গুলো পাতার মাঝ খানে ভর্তা দিয়ে সব গুলো বানিয়ে প্লেটে রাখুন ৷

চুলায় কড়াই গরম করে একদম হালকা তেল ব্রাশ করে কড়াইতে বানিয়ে রাখা শুটকি পাতুড়ি গুলো দিয়ে হালকা চুলার আঁচে এপিঠ ওপিঠ করে ভেজে নিন পাতা গুলো সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ৷

তৈরি শুটকি পাতুড়ি গরম ভাত ,পান্তা ভাত পোলাও সাথেও পরিবেশন করতে পারেন ৷

মজাদার ছুড়ি শুঁটকি ভর্তার রেসিপি

মজাদার ছুড়ি শুঁটকি ভর্তার রেসিপি

মজাদার ছুড়ি শুঁটকি ভর্তার রেসিপি

উপকরণঃ

– ছুড়ি শুঁটকি ছোট করে কাটা আধা কাপ
– পেঁয়াজ কুঁচি দুই কাপ
– শুকনা মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ
– লবণ পরিমাণমতো
– চিনি আধা চা চামচ
– লেবুর রস ১ চা চামচ
– তেল আধা কাপ
– আদা বাটা আধা চা চামচ
– রসুন বাটা ১ চা চামচ
– ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ
– হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
– তেজপাতা ১ টি
– কাঁচামরিচ চার টুকরা করে কাটা ৬ টি

প্রনালীঃ

শুঁটকি ভাল করে ধুয়ে সিদ্ধ করে বেঁটে নিতে হবে। তেল গরম করে আদা-রসুন দিয়ে ভাল করে ভুনে শুঁটকি দিয়ে ভুনতে হবে। হলুদ, ধনে, মরিচের গুঁড়া, তেজপাতা, লবণ দিয়ে মাঝারি আঁচে ৮-১০ মিনিট ভুনে পেঁয়াজ দিয়ে ভুনতে হবে। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে চিনি, লেবুর রস, কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামাতে হবে।

চ্যাপা শুটকি দিয়ে কাঁঠালের বিচি ভর্তা

চ্যাপা শুটকি দিয়ে কাঁঠালের বিচি ভর্তা

চ্যাপা শুটকি দিয়ে কাঁঠালের বিচি ভর্তা
রেসিপিঃ
চ্যাঁপা শুটকি ৫,৬ টা
কাঁঠালের বিচি ১ কাপ ( কষা ফেলে সিদ্ধ করে নেয়া)
পেয়াজ কুচি ২ টা মাঝারি 
রসুন কুচি ১০ কোয়া
শুকনা মরিচ ৬,৭
ভেজিটেবল ওয়েল ২ টেবিল চামচ
লবন স্বাদ মত
সরিষা তেল ১ টেবিল চামচ / ইচ্ছে

প্রনালী ঃ
শুটকি ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখুন। এবার একটা কড়াইয়ে তেল দিন। গরম হলে শুকনা মরিচ ভেজে তুলুন। এরপর পেয়াজ রসুন ভেজে নিন। ভাজা হলে সেই তেলে বিচি গুলো ২ মিনিট ভেজে নিন। বিচি ভাজা হলে তুলে নিয়ে শুটকি গুলা ভেজে নিন। সব কিছু ভাজা হলে শিল নোড়ায় সব কিচু পিসে নিন। সব শেষে লবন ও সরিষা তেল দিয়ে মাখিয়ে নিন। গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন দারুন মজার ভর্তা টি

একসাথে ২০ পদের ভর্তা তৈরীর রেসিপি

একসাথে ২০ পদের ভর্তা তৈরীর রেসিপি

০১। আলু ভর্তা:
আলু আধা কেজি সিদ্ধ করে চটকে নিন। এবার পাত্রে ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে শুকনা মরিচ ভেজে পেঁয়াজ কুঁচি দিন। পেঁয়াজ বাদামী রং হলে পেঁয়াজ মরিচ লবণ দিয়ে চটকে আলু দিন এবার ধনেপাতা কুঁচি দিয়ে মেখে ভর্তা বানিয়ে নিন।

০২। বেগুন ভর্তা:
উপকরণ: বড় গোলবেগুন ১টি, সরিষা বাটা ১ চা চামচ, নারকেল মিহি বাটা ২ চা চামচ, টমেটো কুঁচি১ কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি আধা কাপ, মেথি আধা কাপ, রাধুনী সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুঁচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালী: বেগুনের গায়ে তেল মাখিয়ে পুড়িয়ে নিন। এবার পানিতে রেখে খোসা ছাড়িয়ে মেখে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে মেথি ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি দিন। পেঁয়াজ একটু নরম হলে টমেটো সরিষা, নারকেল, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে বেগুন দিন। কড়াইয়ের তলা ছেড়ে এলে এবং একটু আঠালো হলে নামিয়ে নিতে হবে।

০৩। মসুর ডালের ভর্তা:
উপকরণ: মসুর ডাল ১ কাপ, পানি ৩ থেকে সাড়ে ৩ কাপ, রসুন কুঁচি আধা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ চা চামচ, লবণ আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ ফালি ২টি, তেল ১ চা চামচ।
প্রণালী: সব উপকরণ দিয়ে ডাল সিদ্ধ করতে হবে। ঘন থকথকে হলে নামাতে হবে।

০৪। টমেটো ভর্তা:
উপকরণ: ছোট টমেটো ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ মিহি কুঁচি ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ ২টা, ধনেপাতা কুঁচি ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি ১ চা চামচ, সরষের তেল ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।
প্রণালী: শুকনা মরিচ তাওয়ায় টেলে বিচিসহ গুঁড়ো করে নিতে হবে। টমেটোর গায়ে তেল লাগিয়ে তাওয়ার ওপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে চুলায় তুলে সব দিক সমানভাবে পুড়িয়ে নিতে হবে। ঠাণ্ডা হলে খোসা ছাড়িয়ে চটকে পেঁয়াজ, মরিচ, লবণ, তেল, চিনি, লেবুর রস, ধনেপাতা দিয়ে মেখে ভর্তা করতে হবে।

০৫। টাকি মাছের ভর্তা:
উপকরন: টাকিমাছ ১ কাপ,পেঁয়াজ,স্লাইস ৩ টে.চা ,আদা,রসুন,বাটা ১ চা. চা,পেঁয়াজ পাতা ২ টে. চা ,জিরা,বাটা ১ চা. চা,রসুন,ছেঁচা ২ টে. চা,ধনে,বাটা ১ চা. চা ,লবণ,স্বাদ অনুযায়ী,হলুদ,বাটা ১/২ চা. চা ,মরিচ,বাটা ১ /২ চা. চা
প্রনালী: মাছ সিদ্ধ করে কাটা বেছে ১ কাপ মেপে নাও।,তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা বাদামী রং করে ভেজে বাটা মসলা ও সামান্য পানি এবং রসুন দিয়ে কষাও। কষানো হলে পেয়াজপাতাসহ কচি পেঁয়াজ দিয়ে নাড়। মাছ দিয়ে নেড়ে নেড়ে ভাজ। লবণ দাও। মাছ হালুয়ার মতো তাল বাঁধলে নামাও। মাছ যেন ঝুরি এবং শুকনা না হয়।এর পর আপনি চাইলে হাত দিয়ে গোল গোল বল বানিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার টাকি মাছের ভাজা ভর্তা।

০৬। কালিজিরা ভর্তা:
উপকরণ: কালিজিরার আধা কাপ, রসুনের কোয়া ২ টেবিল-চামচ, কাঁচামরিচ ৮টি, পেঁয়াজ কুঁচি ৪ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল ২ টেবিল-চামচ।
প্রণালী: রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কাঠখোলায় টেলে নিতে হবে। তেল বাদে সব উপকরণ পাটায় বেটে তেল দিয়ে মেখে ভর্তা করুন।

০৭। আলু ডিম ভর্তার রেসিপি :
উপকরণ: ডিম ২টি, আলু ১টি (মাঝারি সাইজের), কাঁচামরিচ কুঁচি ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুঁচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুঁচি ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালী: আলু এবং ডিম সেদ্ধ করে নিন। খোসা ছাড়িয়ে আলু এবং ডিম আলাদাভাবে চটকে নিন। এবার পেঁয়াজ কুচি, লবণ এবং আধা চা চামচ সরিষার তেল দিয়ে ডিম ও আলু ভালোভাবে মেখে ভর্তা তৈরি করুন।

০৮। পালংশাক ভর্তা:
উপকরনঃ পালংশাক ২০০ গ্রাম , কাঁচা মরিচ/ শুকনা মরিচ ভাজা ৫ থেকে ৬ টি পেয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ। লবণ ও সরিষার তেল -নিজের পছন্দ মত।
প্রনালীঃ প্রথমে পালংশাক ভাল করে ধুয়ে বড় করে কেটে যে কোন পাত্রে সিদ্ধ করে নিন। শাক সিদ্ধ হয়ে গেলে পেয়াজ কুচি, মরিচ ও লবণ হাত দিয়ে চেটকিয়ে মিহি করুন। তারপর সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে পরিবেশন করুন। শীতের দিনে গরম গরম ভাতের সাথে শাক ভর্তা অনেক সুস্বাদু লাগে।

০৯। লাউশাক ভর্তা:

উপকরণ: লাউয়ের পাতা ৬-৭টা, নারকেল কুড়ানো ৪ চা চামচ, সরিষা ২ চা চামচ, সেদ্ধ কাঁচামরিচ ২টা, প্রয়োজনমতো লবণ।

প্রণালী: লাউশাক ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করুন। শাকের সাথে কাঁচামরিচও সেদ্ধ করুন। শাক সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার নারকেল কুড়ানো, সরিষা, লবণ, সেদ্ধ করা শাক ও কাঁচামরিচসহ পাটায় পানি ছাড়া বেটে ভর্তা তৈরি করুন।

১০। কাচকি মাছ ভর্তা

উপকরণ: কাচকি মাছ এক কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ২ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৪টি, ধনেপাতা কুঁচি ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালী: কাচকি মাছ ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। কাচকি মাছ, পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি, কাঁচামরিচ অল্প তেলে কড়াইতে হালকাভাবে ভাজুন। ভাজা হলে লবণ ও ধনেপাতা দিয়ে পাটায় বেটে ভর্তা তৈরি করুন।

১১। করল্লার ভর্তা
করল্লা ধুয়ে খুব মিহি করে কুঁচি করে নিন। এবার করল্লা কুচি চটকে নিয়ে পেঁয়াজ, কাচা মরিচ, লবন এবং তেল দিয়ে ভর্তা তৈরি করুন।

১২। ছুরি শুঁটকি ভর্তার রেসিপি :
উপকরণ: ছুরি শুঁটকি ছোট করে কাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি ২ কাপ, শুকনা মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি আধা চা চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, তেল আধা কাপ, আদা বাটা আধা চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, তেজপাতা ১টি, কাঁচামরিচ চার টুকরা করে কাটা ৬টি।
প্রণালী: শুঁটকি ভালো করে ধুয়ে সিদ্ধ করে বেটে নিতে হবে। তেল গরম করে আদা-রসুন দিয়ে ভালো করে ভুনে শুঁটকি দিয়ে ভুনতে হবে। হলুদ, ধনে, মরিচের গুঁড়া, তেজপাতা, লবণ দিয়ে মাঝারি আঁচে ৮-১০ মিনিট ভুনে পেঁয়াজ দিয়ে ভুনতে হবে। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে চিনি, লেবুর রস, কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামাতে হবে।

১৩। ধনেপাতার চাটনি:
উপকরণ: টাটকা ধনেপাতা বড় ২ আঁটি, রসুন ২ কোয়া, তেঁতুল ১ টেবিল চামচ। কাঁচামরিচ ১টি, চিনি, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালী: ধনেপাতার কচি ডগা ও পাতা বেছে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। ধনেপাতা, রসুন, কাঁচামরিচ, তেঁতুল, লবণ ও চিনি সব একসঙ্গে মিশিয়ে মিহি করে কেটে নিন। সামান্য ঝাল, মিষ্টি ও টকটক স্বাদ হবে।

১৪। সরিষা ভর্তা:
উপরকণ: লাল সরিষা ৪ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ১টি, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালী: সরিষা ভালো করে বেছে ধুয়ে কাঁচামরিচ এবং লবণ দিয়ে শিলপাটায় বেটে নিন।

১৫। কাঁচকলা ও ইলিশ মাছের ভর্তা:
উপকরণ : কাঁচকলা ২টি (মাঝারি), ভাজা ইলিশ মাছ ২ টুকরা (কাঁটা ছাড়ানো), শুকনো মরিচ ভাজা ২টি, কাঁচামরিচ কুচি ২টি, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ২ চা চামচ, লবণ স্বাদ মতো।
প্রণালি : কাঁচকলা ডুবো পানিতে সেদ্ধ করুন। কলার খোসা ছাড়িয়ে চটকে রাখুন। এবার ইলিশ মাছ, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, লবণ ও তেল একসঙ্গে মাখুন। মাখা হলে কাঁচকলা দিয়ে ভালো করে মেখে গরম গরম পরিবেশন করুন।

১৬। কচু নারকেল ভর্তা:
উপকরণ : কচু কিমা ১ কাপ, নারকেল বাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ ভাজা ৩-৪টি, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি অল্প পরিমাণ, লবণ স্বাদ মতো।
প্রণালি : প্রথমে এক টুকরো কচুকে পুড়িয়ে বা সেদ্ধ করে ভালো করে মাখিয়ে কিমা তৈরি করুন। একটি ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচি, শুকনা মরিচ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে তাতে কচু কিমা ও নারকেল বাটা দিয়ে নামিয়ে নিন। এবার পুদিনাপাতা কুচি ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে গরম ভাতে পরিবেশন করুন মুখরোচক কচু নারকেল ভর্তা।

১৭। থানকুনি পাতার ভর্তা:
উপকরণ : থানকুনি পাতা ১ কাপ, কাঁচামরিচ ২টি, রসুনের কোয়া ২টি, লবণ স্বাদ মতো, তিল ২ টেবিল চামচ, কালিজিরা ১ চা চামচ।
প্রণালি : সব একসঙ্গে বেটে (সব পাতা ধুয়ে পানি মুছে নিতে হবে) ভর্তা তৈরি করতে হবে। এরপর গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

১৮। পেঁয়াজ পাতা ভর্তা:
উপকরণ: ১ ইঞ্চি লম্বা করে কাটা পেঁয়াজ পাতা ২ কাপ,সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ,পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ,শুকনামরিচ ২টি,কাশুন্দি ১ চা চামচ,লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালী: ফ্রাই প্যান অথবা কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ পাতা ছেড়ে দিয়ে অল্প আঁচে ২-৩ মিনিট নাড়ুন। পেঁয়াজপাতা নরম হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার শুকনামরিচ, পেঁয়াজ কুচি ও লবণ ভালোভাবে ডলে পেঁয়াজ পাতা ও কাশুন্দি দিয়ে হালকাভাবে মেখে ভর্তা তৈরি করুন। গরম ভাতের সাথে এই ভর্তা খেতে মজা ।

১৯। লাউ এর সিলকা ভর্তা :
উপকরণ: লাউ এর সিলকা-৩ কাপ, শুকনা মরিচ পোড়ানো-৪/৫টি, লবণ-পরিমাণ মতো, ধনে পাতা-সিকি কাপ, পিঁয়াজ কুচি-সিকি কাপ, সরিষার তেল-২ টেঃ চামচ।

প্রণালী: লাউ-এর সিলকা ধুয়ে পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এবার তেলের মধ্যে লাউ এর সিলকা ভেজে নিন। শুকনা মরিচ ভেজে নিন, পিঁয়াজ ভেজে নিন। ধনে পাতা কুচি করে নিন। এবার লাউ এর সিলকা, শুকনা মরিচ, পিঁয়াজ কুচি, ধনে পাতা কুচি সব এক সাথে পাটায় মিহি করে বেটে নিন। হয়ে গেল লাউ এর সিলকা ভর্তা।

২০। চিনাবাদাম ভর্তার রেসিপি :
উপকরণ: চিনাবাদাম ভাজা (খোসা ছাড়া) ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ ৪-৫টি, ধনেপাতা কুচি ১ আঁটি, সরিষার তেল ১ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: কাঁচামরিচ কাঠখোলায় টেলে নিতে হবে। বাদামের লাল খোসা ঘষে তুলে ফেলে, পাটায় বেটে নিতে হবে। কাঁচামরিচ বেটে নিতে হবে। এবার তেলের সঙ্গে পেঁয়াজ, লবণ, ধনেপাতা কুচি চটকে বাদাম ও কাঁচামরিচ বাটা দিয়ে মাখাতে হবে।গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

ছোট চিংড়িমাছের শুটকি দিয়ে বরবটি ভাজি

ছোট চিংড়িমাছের শুটকি দিয়ে বরবটি ভাজি

ছোট চিংড়ি মাছের শুটকি দিয়ে বরবটি ভাজি

রেসিপি:
উপকরণ :
*১ কাপ ছোট চিংড়ি শুটকি
*২ কাপ বরবটি
*একটি মাঝারি আকারের পেয়াজ কুচি
*৩ টেবিল চামচ রসুন কুচি
*৫-৬টি কাচামরিচ
*১ চা চামচ হলুদ গুরো
*পরিমান মত লবণ
*১ চা চামচ আস্ত জিরা
*তেল

পদ্ধতি :
চিংড়ি শুটকি গরম পানি দিয়ে খুব ভালো মত ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার বরবটি ছোট ছোট করে কেটে নিন। করাইয়ে পরিমাণ মত তেল গরম করুন। জিরা দিয়ে কয়েক সেকেন্ড ভাজুন। এবার পেয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। রসুন কুচির অর্ধেকটা দিয়ে দিন। পেয়াজ হালকা বাদামী হলে চিংড়ি শুটকি ,হলুদ গুরো,কাচামরিচ ও লবন দিয়ে ভাজতে থাকুন।
কোনো পানি দিবেন না। চিংড়ি ভাজা ভাজা হয়ে আসলে বরবটি দিয়ে দিন। মাঝারি তাপে বরবটি সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এবার বাকি রসুন কুচি ছিটিয়ে দিয়ে আরো কিছুক্ষন ভাজুন। বরবটির রং সবুজ রাখতে হলে ঢাকনা ব্যবহার করা যাবে না। বরবটি সেদ্ধ হলেই চুলা বন্ধ করে দিন।

লইট্টা শুটকি ভর্তা

লইট্টা শুটকি ভর্তা

লইট্টা শুটকি ৫০ গ্রাম । রসুন ২ টা বড়, শুকনা মরিচ ৫ টা,
পেয়াজ কুচি ১/২ কাপ, লবন পরিমান মত,
তেল ২ টেবিল চামচ।
প্রনালীঃ লইট্টা ভালো করে পরিষ্কার
করে নিয়ে ১কাপ পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এবার প্যান এ
তেল দিয়ে মরিচ ভেজে একে একে রসুন,
পেয়াজ, দিয়ে নাড়তে হবে। হালকা ভাজা
ভাজা হলে শুটকি দিয়ে ভালো করে টেলে
নিতে হবে। এরপর শিল নোড়াই ভালো করে
বেটে নিতে হবে। ভাত খিচুড়ি, পোলাও বা
চিতোই পিঠার সাথে খুব মজা লাগে।

লইট্টা শুটকির ভর্তা

লইট্টা শুটকির ভর্তা

লইট্টা শুটকির ভর্তা
লইট্টা শুঁটকি
রসুন
পেঁয়াজ কুচি
সরিষার তেল 
লবন
ধনেপাতা
শুকনা মরিচ

শুঁটকি ছোট টুকরা করে ধুয়ে নিন। শুঁটকি অল্প হলুদ আর মরিচ গুঁড়া দিয়ে মেখে ভেজে নিন , রসুন কুচি ও ভেজে নিন ,ভাজা শুঁটকি , ভাজা রসুন , পেঁয়াজ কুচি , ধনেপাতা কুচি , সরিষার তেল , লবন , শুকনা মরিচ সব ভালো করে কচলে কচলে মেখে নিন। গরম ভাত, পান্তা , খিচুড়ির সাথে খেতে পারেন।

Back to Top
//
আমাদের কাষ্টোমার কেয়ার সব সময় আপনার সেবায়!
👋 অর্ডার কিংবা যেকোন তথ্য পান!
Product has been added to your cart