coxsbazarshop.com
Home
Shop
Wishlist0

Call us: 09613-660510

লইট্যা মাছ- কোনটা খাবো!! তাজা নাকি শুটকি।

তাজা লইট্টা মাছ দিয়ে ঝুরি চাপ, ভুনা পাতুরি, ঝাল ইত্যাদি বিভিন্ন সুস্বাদু সব রেসিপি বানানাে হয় যা একবার খেল ভুলবেন না আপনি।  তবে উপকারিতার দিক থেকে বিচার করলে অবশ্য তাজা লইট্টা মাছের তুলনায় শুটকি মাছের গুণাগুণ অনেক বেশি। আসুন জেনে নেই লইটা তাজা ও শুটকি মাছের কিছু উপকারীতাঃ

★কড়া রােদে শুকানাের ফলে এই মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি তৈরি হয়ে যায় যা দাঁত হাড় ও নখের গঠন মজবুত করার জন্য অপরিহার্য।

★লইটা মাছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়ক এবং রক্তাল্পতার মােকাবিলা করে।

★লইট্যা মাছে প্রোটিনে ভরপুর, যখন মাছকে শুকানো হয় তখন এই প্রোটিনের পরিমান বেড়ে যায়, আর এই প্রোটিন আমাদের শরীরের টিস্যু গঠনে অনেক বড় ভুমিকা রাখে। (তবে কিছু রোগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করতে হয়, সেক্ষেত্রে পরিমিত পরিমাণ লইট্যা খাওয়া ভালো)

★এই মাছে উপকারী ওমেগা-৩ফ্যাটি এসিড আছে যা মানুষের শরীরের রক্তনালী কে পরিষ্কার রেখে হার্ট স্ট্রোকের ঝুকি কমায়

★লইট্যা শরীরের হরমোন, এনজাইম এবং বিভিন্ন ক্যামিকেলের ভারসাম্য রক্ষা করে

★ ক্লান্তি দুর্বলতা মাথাব্যথা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ,চোখের নিচে কালচে ভাব, চুল পড়ে যাওয়া, রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই তাজা মাছটি।

★মাংসপেশীর স্বাভাবিক সংকোচন-প্রসারণের সাহায্য করে এটি।

★তাছাড়া আয়োডিন সমৃদ্ধ হওয়ায় থাইরয়েড রোগীর জন্য এই মাছ খাওয়া উচিত।

★তাজা ও শুটকি দুই ধরনের মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি অত্যাবশ্যক মৌল উপাদান থাকায় অস্টিওপোরোসিস ও আর্থারাইটিস ইত্যাদি সমস্যা দূর করে
তাহলে এবার বলুন আপনি কেনো আর কিভাবে খাবেন লইট্যা বা Duck Fish.

চ্যাপা-বাসপাতি শুটকির বড়ার রেসিপি

চ্যাপা-বাসপাতি শুটকির বড়ার রেসিপি

চ্যাপা/বাসপাতি শুটকির বড়ার রেসিপি
আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার সাথে খুদভাত।

উপাদান ঃ১/ চ্যাপার শুটকি ৬-৭টি
বাসপাতি শুটকি হলে ৪ দিলেই হবে।
২/মাঝারি সাইজের আলু একটা (বড়া মচমচে করতে সাহায্য করে)
৩/রসুন ৫-৬ টা মাঝারি সাইজের
৪/পিয়াজ ৫টা মাঝারি সাইজের
৫/শুকনা মরিচ ১৫টা।(যে যেমন ঝাল খাবে তার উপর ডিপেন্ড করে)
৬/হলুদ গুড়া ১ চা চামচ
৭/ লবন ও তেল পরিমান মতো।
৮/লাউ,কচু,মিষ্টি কুমড়া যেকোন পাতা ৮টা

রান্না প্রণালীঃ
শুটকি,আলু, রসুন, পিঁয়াজ, শুকনা মরিচ পাটায় আধা বাটা করে বাটতে হবে।
তারপর কড়াইতে কম তেলে সব উপাদান গুলো দিয়ে ভাজতে হবে যেন পানি শুকিয়ে যায়।
ঠান্ডা হলে পাতার সাইজ অনুযায়ী ভর্তা গুলো পাতায় মুড়ে নিয়ে নিতে হবে।
তারপর ফ্রাইপেনে তেল গরম করে অল্প তাপে ভাজতে হবে যেন পুড়ে না যায়। একটু সময় নিয়ই ভাজা উচিত।
পাতার কালার যখন কালো আর হাত দিয়ে ধরলে বুঝতে পারবেন মচমচে ভাব এসেছে তখনই বুঝতে পারবেন মজাদার বড়া তৈরি আপনার জন্য ।

আমি সুবিধার জন্য ধাপে ধাপে ছবি দিয়ে দিচ্ছি।

ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি

ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি

ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি

আমরা কাঁচা চিংড়ি বা চিংড়ি শুটকি অনেকেই অনেক পছন্দ করি। যে যান মতো করে ভুনা, ভাজি, ভর্তা, চচ্চড়ি খেতে পছন্দ করি। তবে আজ আপনাদের চিংড়ি শুটকি নিয়ে একটি নতুন রেসিপি জানাবো। ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি। যার স্বাদ আপনার চিরচেনা রান্নাগুলো থেকে একটু ভিন্ন। আসুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে তৈরি করবেন ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি।

চিংড়ি শুটকি- পরিমাণ মতো

চিংড়ি শুটকি ভুনা করার জন্য যা যা উপকরণ লাগবে পেঁয়াজ, মরিচ, ধনিয়া, জিরা, আদা-রসুন বাটা, তেল, লবণ, – পরিমাণ মতো

ভিন্নতার জন্য- কাচামরিচ/শুকনা মরিচ(দেশি) ধনেপাতা, পেঁয়াজ পরিমাণ মতো। (ধনেপাতার পরিমাণ একটু বেশি লাগবে)

প্রণালি :

প্রথমে চিংড়ি শুটকি নিজের মতো করে সাইজ করে এবং পরিষ্কার করে নিন।

তারপর শুটকি খুব ভালো মতো গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন ধুয়ে নিন। (যেনো বালি না থাকে)

তারপর কুসুম গরম পানিতে, অথবা স্বাভাবিক পানিতে শুটকি ভিজিয়ে রাখুন। ১-৩ ঘণ্টা।(যত বেশি ভিজিয়ে রাখা যায় তত ভালো) (হালকা কুশুম গরম পানিতে ভিজালে তাড়াতাড়ি ভেজানো হয়)

তারপর পানি থেকে ছেকে তুলে রেখে দিন।

তারপর আপনি যেভাবে চিংড়ি শুটকি ভুনা করেন ঠিক একই নিয়মে ভুনা করে নিন। যদি ঝাল কম খান তাহলে কাঁচা মরিচ একেবারে কম দিন (কারণ পরে আরো মরিচ মিশাতে হবে)

পানি শুকিয়ে তেল উপরে উঠে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন।

ভিন্নতার জন্য-১

আলাদা পাত্রে খুব মিহি কুঁচি করে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা কেটে নিন। তারপর এই তিনটি উপকরণ অল্প সরিষার তেল দিয়ে হাতে কচলে নিন (খুব বেশি নরম করা যাবেনা) কচলানো মসলা রান্না করা চিংড়ি শুটকির সাথে মিশিয়ে দিন।

ভিন্নতার জন্য-২

আলাদা পাত্রে খুব মিহি কুঁচি করে পেঁয়াজ এবং ধনেপাতা কেটে নিন। তারপর মিষ্টি জাতীয় শুকনা মরিচ তেলে ভেজে নিন(বগুড়ার মরিচ হলে চলবে না কারণ বগুড়ার মরিচে শুধু ঝাল থাকে। কিন্তু স্বাদ, ঘ্রাণ কিছুই থাকে না)(শুকনা মরিচ মেশানোর কারণ হচ্ছে শুকনা মরিচ ভেজে গুঁড়ো করে দিলে স্বাদ ও ঘ্রাণ বেশি ভালো হয়) তারপর এই তিনটি উপকরণ অল্প সরিষার তেল দিয়ে হাতে কচলে (খুব বেশি নরম করা যাবেনা) কচলানো মসলা রান্না করা চিংড়ি শুটকির সাথে মিশিয়ে দিন।

এরপর গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন, ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি।

কীভাবে রান্না করবো মজাদার লইট্টা শুটকি

কীভাবে রান্না করবো মজাদার লইট্টা শুটকি

শুটকিপ্রেমীদের অনেক পছন্দের একটি খাবার হচ্ছে লইট্টা শুটকি ভুনা। ঝাল কম দিয়ে অথবা বেশি দিয়ে রান্না করা যায় মজাদার এ খাবারটি। আসুন দেখি কীভাবে রান্না করবো মজাদার এই খাবারটি।

রান্নাতে যা লাগবে
লইট্টা শুঁটকি- ২০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি- ৪ কাপ, রসুন- দেড় কাপ (মোটা করে কাটা), টমেটো বাটা- ১ কাপ, হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ, লাল মরিচ গুঁড়া- স্বাদ মতো, আদা বাটা- ১ চা চামচ, রসুন বাটা- ১ চা চামচ, লবণ- স্বাদ মতো, তেল- ১ কাপ

রান্না করবেন কীভাবে
শুঁটকি মাছ গরম পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে মাছগুলো তিন থেকে চার টুকরো করে নিন ৷ আবারও গরম পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরিয়ে মাছগুলো সামান্য থেতলে নিন। মাছের মোটা কাঁটা ফেলে দিয়ে মাছ আলাদা করে রাখুন।প্যানে সামান্য তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি ও সামান্য লবণ দিয়ে ভাজতে থাকুন। কিছুক্ষণ ভেজে টমেটো বাটা, রসুন বাটা এবং লাল মরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। তেল বেরিয়ে এলে সামান্য পানি ও লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন।

এবার মরিচ ও রসুন কুচি বাদে অন্যান্য মসলা দিয়ে শুঁটকি মাছগুলো কষিয়ে নিন। মসলা শুকিয়ে এলে একটু একটু করে পানি দিন যেন নিচে লেগে না যায়। কিছুক্ষণ নেড়ে রসুন কুচি দিয়ে ভালো করে নেড়ে খানিকটা পানি দিয়ে ঢেকে দিন প্যান। ফুটে উঠলে পাঁচ-সাত মিনিট পর ঢাকনা খুলে আঁচ কমিয়ে দিন। মাখা মাখা হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে পাঁচ মিনিট ঢেকে রাখুন। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন লইট্টা শুঁটকি ভুনা।

কিভাবে রান্না করবেন জিভে জল আনা শুঁটকি মাছের ঝাল

কিভাবে রান্না করবেন জিভে জল আনা শুঁটকি মাছের ঝাল

সাদা ভাতের সঙ্গে ঝাল ঝাল শুঁটকির ঝাল কথা শুনলেই জিভে আসে জল। স্বাদের একঘেমেয়ি দূর করতে মজাদার শুঁটকির ঝাল রান্না করে ফেলতে পারেন। জেনে নিন রেসিপি।

উপকরণ
লটে শুঁটকি- ২০০ গ্রাম
পেঁয়াজ বাটা- 3 কাপ
রসুন- দেড় কাপ (মোটা করে কুচানো)
টমেটো – 4টে
হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ
লাল মরিচ গুঁড়া- স্বাদ মতো
রসুন বাটা- 2 চা চামচ
লবণ- স্বাদ মতো
তেল- ১ কাপ

প্রস্তুত প্রণালি
শুঁটকি মাছ তিন থেকে চার টুকরো গরম জলে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর আবারও গরম পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরিয়ে মাছগুলো সামান্য থেঁতো করে নিন। মাছের মোটা কাঁটা ফেলে দিয়ে মাছ আলাদা করে রাখুন।
প্যানে সামান্য তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি ও সামান্য লবণ দিয়ে ভাজতে থাকুন । কিছুক্ষণ ভেজে  টমেটো টুকরো, রসুন বাটা এবং লাল মরিচ গুঁরো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। তেল বেরিয়ে এলে সামান্য জল ও লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন।
এবার মরিচ ও রসুন কুচি বাদে অন্যান্য মসলা দিয়ে শুঁটকি মাছগুলো কষিয়ে নিন। মসলা শুকিয়ে এলে একটু একটু করে পানি দিন যেন নিচে লেগে না যায়। কিছুক্ষণ নেড়ে রসুন কুচি দিয়ে ভালো করে নেড়ে খানিকটা পানি দিয়ে ঢেকে দিন প্যান। ফুটে উঠলে পাঁচ-সাত মিনিট পর ঢাকনা খুলে আঁচ কমিয়ে দিন। মাখা মাখা হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে পাঁচ মিনিট ঢেকে রাখুন। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন লটে শুঁটকির ঝাল ।

কচুর লতি দিয়ে শীদল শুঁটকি রান্না

কচুর লতি দিয়ে শীদল শুঁটকি রান্না

কচুর লতি দিয়ে শীদল শুঁটকি আমাদের গ্রামাঞ্চলে খুবই পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি খাবার। আমার খুব মনে আছে একটা সময় ছিল, ছোটবেলায় গৃষ্ম বা বর্ষাকালে হাওর থেকে ছোট মাছ ধরে আনলে দেখতাম মা চিংড়ি মাছগুলোকে আলাদা করে নিতেন। আমাকে ফরমায়েশ দিয়ে বলতেন দেখতো, বাড়ির আশেপাশে কচুর লতি পাওয়া যায় কি না? আমিও কথামত একদম দুহাত ভরে নিয়ে আসতাম। মা তখন চিংড়িমাছ, লতি, কাঁঠালবিচি আর কচুরমুখি দিয়ে কী যে স্বাদের রান্না করতো! সেই স্বাদটা এখনো খুব মিসস করি। কারণ সবকিছু ছিল একদম ফ্রেশ তরতাজা।
আজ আমি ফ্রজেন সব উপকরণ দিয়ে রান্নার চেষ্টা করেছি কারণ, বিলেতে এইসব ফ্রেশ জিনিশ পাওয়া সম্ভব না। তাই ফ্রজেন ছাড়া আমাদের উপায় নাই।

প্রবাসে ব্যাচেলর যারা শীদল শুঁটকি পছন্দ করেন অথবা যারা জানেন না তারা একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।

উপকরণঃ
৫০গ্রাম শীদল শুটকি
১কেজি কচুর লতি
৩০০গ্রাম চিংড়িমাছ
৩০০গ্রাম কাঁঠাল বিচি (ফালি করে নিবেন)
৮-১০টি কচুর মুখি (থাকলে দিতে পারেন স্বাদ বাড়ানোর জন্যে না দিলেও চলবে)
২টি নাগামরিচ বা বোম্বাই মরিচ, না থাকলে কাঁচামরিচ ১৫-১৬টি ফালি করে দিলে চলবে
আধাটেবিল চামচ হলদির গুড়া
একটেবিল চামচ মরিচের গুড়া
এবং লবন পরিমানমত।

কচুর লতি দিয়ে শীদল শুঁটকি রান্না
কচুর লতি দিয়ে শীদল শুঁটকি রান্না

প্রণালীঃ
উপরে বর্ণিত উপকরণগুলো শুটকি, কচুরলতি, চিংড়ি, কাঁঠালবিচি এবং কচুর মুখি ধুয়ে পরিষ্কার করে একসাথে পাতিলে ঢেলে দিন। এবার হলদি, মরিচের গুড়া, লবন এবং নাগামরিচ দিয়ে পাতিল চুলার উপর বসিয়ে দিন। আগুন মিডিয়াম ফ্লেইমে রেখে ভাল করে নেড়ে ৮-১০মিনিটের জন্য ঢেকে কষতে দিন। এবার ১ থেকে দেড় লিটার পানি দিয়ে আগুন ফুল ফ্লেইম দিয়ে ২০ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন। ২০ মিনিট পর যদি দেখেন পানি কমে শিরা ঘনো হয়ে আসছে তাহলে আগুন বন্ধ করে দিন। এবার নাক দিয়ে লম্বা করে একটা টান দিয়ে বলুন আহ! কি সুগন্ধি। ব্যাস হয়ে গেল কচুরলতি দিয়ে শীদল শুঁটকি। মোটা চালের বা সিদ্ধ চালের ভাতের সাথে শুঁটকি খুব যায়।

বিঃদ্রঃ অনেক সময় উপকরণগুলো একেবারে সটিক মাপে না হয়ে চোখের আন্দাজটাই আসল হয়। অতএব,পরিমাপের ক্ষেত্রে একটু কমবেশ হলে খাবার বেলা বুঝতে পারবেন। পরেরবার রাঁধলে ঠিক হয়ে যাবে।

বেগুন, আলু দিয়ে শুঁটকি

বেগুন, আলু দিয়ে শুঁটকি

উপকরণ 

শুঁটকি মাছ ২০ টুকরো, বেগুন অর্ধেক ডুমো ডুমো করে কাটা, আলু ১ টা ডুমো ডুমো করে কাটা, রসুন ৭-৮ টা কুচি করা , কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ বড় ১ টা কুচি করা, ধনে গুঁড়ো ১/২ চামচ, হলুদ গুঁড়ো, নুন, তেল।

পদ্ধতি

একটু বেশী করে তেল নিন কড়াইয়ে, গরম হলে তাতে পেঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা এগুলো দিয়ে দিন। একইভাবে একটু লালচে রঙ এলে তাতে নুন দিয়ে নিন পরিমাণ মত। এরপর জল দিন। ধনে গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো এগুলো দেওয়ার পর শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে মশলাটাকে ভালো মতো কষিয়ে নিন। কষানো হয়ে গেলে বেগুন আর আলু দিয়ে দিন কড়াইয়ে। এবারে ভালো করে হাতা দিয়ে নেড়ে নিন। তারপরে শুঁটকিটা দিয়ে দিন এর মধ্যে। তারপরে আঁচ হালকা করে দিয়ে ঢেকে রাখুন ও সেদ্ধ হতে দিন। মাঝে কয়েকবার ঢাকনা সরিয়ে দেখে নিন বেগুন, আলু এগুলো সেদ্ধ হল কিনা। হয়ে গিয়ে থাকলে নামিয়ে নিন। আপনার খাবার তৈরি।

বুঝতেই পারছেন খুব যে পরিশ্রম এতে করতে হবে তাও নয়। অনেক কম পরিশ্রমে যে কোনও দিন আপনি এই ট্র্যাডিশনাল রান্নাগুলো ঘরে বসে চেখে দেখতেই পারেন। তাই যান আজই বাজার থেকে কিনে আনুন শুঁটকি। আর সপরিবারে এর বিভিন্ন রেসিপি উপভোগ করুন।

লইট্ট্যা শুঁটকি বাটা

লইট্ট্যা শুঁটকি বাটা

উপকরণ

শুঁটকি মাছ ১৫-২০ টা, পেঁয়াজ ২ টো, রসুন ৭-৮ কোয়া, পরিমাণ মতো নুন, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, গুঁড়ো হলুদ।

পদ্ধতি

প্রথমে শুঁটকি মাছ কেটে নিয়ে গরম জলে সেদ্ধ করার পর ঠান্ডা জলে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবারে কাঁটা বেছে ফেলুন। মাছগুলোকে ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিন। এরপর আগে থেকে কেটে রাখা পেঁয়াজ, কাটা রসুন এগুলোকেও ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিন। মাছের পেস্টের সাথে এই পেস্টটিকে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবারে কড়াইয়ে বেশ খানিকটা তেল নিন। তেলটি গরম হওয়ার পরে তার মধ্যে এই মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এবারে বেশ কিছুক্ষণ হাতা দিয়ে নেড়ে নেওয়ার পরে পরিমাণ মতো নুন দিন।

আরও কিছুক্ষণ হাতা দিয়ে ঘেঁটে নেওয়ার পরে স্বাদ বুঝে পরিমাণ মতো শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো দিন। তবে এ ক্ষেত্রে ঝাল একটু বেশী হলে বরং খেতে ভালোই লাগে। এরপর খানিকটা গুঁড়ো হলুদ দিন। এবারে পুরো জিনিসটা বেশ কিছুক্ষণ হাতা দিয়ে ঘাঁটতে থাকুন। বাড়তি তেল যেন না থাকে দেখবেন। আর কড়াইয়ের সাথে যাতে না আটকে ধরে, তাই শেষ পর্যন্ত আপনাকে হাতা দিয়ে ঘেঁটে যেতে হবে। ব্যাস, হয়ে গেলে নামিয়ে নিন আর চেখে দেখুন। আপনার শুঁটকি বাটা প্রস্তুত।

লইট্যা শুঁটকি ভর্তা

লইট্যা শুঁটকি ভর্তা

এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। লইট্যা শুঁটকি ভর্তা নামেও এটি পরিচিত। আসুন, দেখে নিই এটি বানানোর পদ্ধতি।

উপকরণ

শুঁটকির কাটা টুকরো ১৫-২০ টা, পেঁয়াজ কুচি ২ টো, প্রয়োজন মতো ধনে পাতা, রসুন কুচি ৭-৮ কোয়া, কতটা ঝাল খাবেন সেই অনুযায়ী কাঁচা লঙ্কা ও শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, সর্ষের তেল বেশী পরিমাণে, স্বাদ মতো নুন, হলুদ গুঁড়ো, প্রয়োজন মতো তেল।

পদ্ধতি

সবার প্রথমে আপনাকে শুঁটকি মাছ টুকরো করে কাটার পরে গরম জলে বেশ কিছুক্ষণ গরম করে নেবেন। তারপর ঠান্ডা জলে বেশ কয়েকবার ধুয়ে নেবেন। আসলে এই মাছের গায়ে প্রচুর ধুলো জমে থাকে। তাই যতক্ষণ না ধুলো পরিষ্কার হয়, ধুতে থাকুন। ভালো করে পরিষ্কার করে নেওয়ার পরে এবারে আসল রান্না শুরু করুন।

প্রথমে কড়াইয়ে পরিমাণ মত তেল নিন, এরপর ওই তেলে একে একে পেঁয়াজ, রসুন কুচি, কাঁচা লঙ্কা, প্রয়োজন মতো নুন, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিন। তবে শুঁটকি মাছ শুকোনোর সময় নুন ব্যবহার করা হয়। এই জন্য নুনের পরিমাণ নিয়ে সচেতন থাকুন। যতক্ষন না লালচে রঙ আসে, ভাজতে থাকুন। এরপর কড়াইয়ে শুঁটকিগুলো ছেড়ে দিন। এবারে হাতা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন। খানিক জল দিন কড়াইয়ে। তারপর আঁচ কমিয়ে কড়াইটি দশ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন। এরপর আবার ভালো করে হাতা দিয়ে নাড়াতে থাকুন। বাড়তি জলটা শুকিয়ে ফেলুন। তারপর ওপরে ধনে পাতা ছড়িয়ে দিয়ে আরো কিছুক্ষণ হাতা দিয়ে ঘেঁটে নিন। ব্যাস, আপনার শুঁটকির ভর্তা তৈরি। সাধারণত শুঁটকি ভর্তায় পেঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা এগুলো বেশি ব্যবহার করা হয়, তবে আপনি আপনার স্বাদ অনুযায়ী পরিমাণ স্থির করে নিন।

টমেটো দিয়ে রুপচাদা শুটকি রান্না

টমেটো দিয়ে রুপচাদা শুটকি রান্না

রুপচাদা মাছ একটি সামদ্রিক ও সুস্বাদু মাছ। এ মাছের শুটকিও খুবই টেস্টি। আসুন টমেটো দিয়ে কিভাবে রুপচাদা শুটকি সহজে রান্না করা যায় সেটা জেনে নেই।

উপকরন:

রুপচাদা শুটকি ২০০ গ্রাম
টমেটো: ২- ৩ টা
পেয়াজকুচি: ১ কাপ
আদা বাটা: ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা: ১ চামচ
ধনে গুড়া: ১ চা চামচ
জিরা গুড়া: ১.৫ চা চামচ
হলুদ ও মরিচ গুড়া: পরিমাণমতো
ফালিকরা কাচা মরিচ: ৪-৫ টা
ধনেপাতা কুচি: পরিমানমতো
তেল: ৩ টেবিল চামচ
লবণ: স্বাদ মতো
চিনি: ১ চিমটি
পানি: পরিমান মতো

রান্নার নিয়মাবলী:
প্রথমে শুটকি পছন্দ মতো সাইজ করে কেটে নিন। তারপর ঞালকা গরম পানিতে ২-৩ ঘন্টা ভিয়ে রাখুন। তারপর ভাকরে ধুয়ে একটা বাটিতে তুলে রাখুন।
এবার একটি প্যানে তেল দিয়ে গরম করে নিন। তারপর পেয়াজ কুচি ঢেলে দিন ভালো করে ভেজে নিন হালকা বাদামী কালার হয়ে আসলে সব মশলা ঢেলে দিয়ে ৮-১০ মিনিট কষিয়ে নিন। কষানোর পর শুটকি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। কষানো হয়ে আসলে পানি দিয়ে ঢেলে ঢেকে দিন। ৮-১০ মিনিট রান্না করুন পানি ফুটে আসলে টমেটেকুচি ও কাচা মরিচ দিয়ে নেড়ে দিয়ে আবার ঢেকে দিন । মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে নেড়ে নিবেন যাতে নিচে লেগে না যায়। ভুনা হয়ে আসলে ঞালকা চিনি ও ধওন পাতা দিয়ে ঢাকানা ছাড়া ২ মিনিট রান্না করেন । সব শেষে উপড়ে জিরা গুড়া দিয়ে নামিয়ে ফেলুন। আর গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন টমোটে দিয়ে রুপচাদার শুটকি।

Back to Top
//
আমাদের কাষ্টোমার কেয়ার সব সময় আপনার সেবায়!
👋 অর্ডার কিংবা যেকোন তথ্য পান!
Product has been added to your cart