হাইস্যা/ ছুরিতে রাজমা :-
“হাইস্যা” নামকরণ টা কিভাবে হয়েছে জানিনা। আর কেনই বা এমন নামকরণ হলো বলতে পারবো না।এটা বলতে পারি “হাইস্যা” চট্রগ্রামের একটি জনপ্রিয় খাবারের নাম। অনান্য এলাকায় এটাকে কি নাম বলে কেউ জানলে বলতে পারেন।
সুস্বাদু এই রেসিপিটি অনেক নামিদামি খাবারকেও হার মানাবে এটা নিশ্চিত। ছুরি শুঁটকি প্রেমিরা এই হাইস্যা খাই নি এমন রেকর্ড দুস্কর। মূলত সীমের বীচি বা রাজমা ও ছুরি শুঁটকি দিয়ে রান্না করা হয় এই হাইস্যা।
যদিও এটা খুব কমন একটা রেসিপি তারপরও যারা খেয়েছেন কিন্ত রেসিপি জানেন না তাদের জন্য রেসিপিটি দেওয়া হলো।
যা যা লাগবে:-
সীমের বীচি বা রাজমা – ১ কেজি
ভালোমানের লবন ছাড়া ছুরি শুঁটকি – ১ কেজি
পেঁয়াজ কুচি পরিমাণমত
রসুন চেচা পরিমাণ মত
মরিচের গুড়া ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুড়া ১.৫ চা চামচ
লবন ও তেল পরিমাণ মত
যা যা করতে হবে:-
সীমের বীচি বা রাজমা ভালোমত ধুয়ে পানি সহ চুলায় বসিয়ে দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। তবে সেদ্ধটা এমন হবে যেন গলে না যায়। যখন ডালের ফ্যান আসবে তখন ফ্যান কেটে ফেলে দিয়ে তাত মরিচের গুড়া হলুদের গুড়া ও আগে থেকে কেটে ধুয়ে রাখা শুঁটকি দিয়ে দিতে হবে। এবং লবনও ।শুঁটকি সেদ্ধ হয়ে আসলে আরেকটি পাত্র চুলায় বসিয়ে তাতে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও রসুন বেগুনি করে ভেজে নিয়ে শুঁটকির তরকারিতে ভাগার দিতে হবে। ভাগার দেওয়া অবস্হায় চুলায় রেখে আরেকটু নেড়েচেড়ে নিতে হবে। ইচ্ছে হলে সময়ে দুএকটি কাঁচামরিচ ফালি করে দিতে পারেন। একমিনিট পর দেখবেন তরকারির সুগন্ধে পুরো ঘর ভরে গেছে তখনই চুলা অফ করে দিবেন। তারপর আর কি সুন্দর করে সাজিয়ে গরম গরম ভাতের সাথে খেয়ে নিন সুস্বাদু হাইস্যা।
✍ খুবই সহজ রান্না পদ্ধতি তবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যেন বেশী সিদ্ধ হয়ে বীচি গলে না যায়। আবার কমসিদ্ধ হলেও কিন্ত শক্ত থাকবে খেতে মজা লাগবে না।
Add comment