লইট্যা মাছ- কোনটা খাবো!! তাজা নাকি শুটকি।

তাজা লইট্টা মাছ দিয়ে ঝুরি চাপ, ভুনা পাতুরি, ঝাল ইত্যাদি বিভিন্ন সুস্বাদু সব রেসিপি বানানাে হয় যা একবার খেল ভুলবেন না আপনি।  তবে উপকারিতার দিক থেকে বিচার করলে অবশ্য তাজা লইট্টা মাছের তুলনায় শুটকি মাছের গুণাগুণ অনেক বেশি। আসুন জেনে নেই লইটা তাজা ও শুটকি মাছের কিছু উপকারীতাঃ

★কড়া রােদে শুকানাের ফলে এই মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি তৈরি হয়ে যায় যা দাঁত হাড় ও নখের গঠন মজবুত করার জন্য অপরিহার্য।

★লইটা মাছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়ক এবং রক্তাল্পতার মােকাবিলা করে।

★লইট্যা মাছে প্রোটিনে ভরপুর, যখন মাছকে শুকানো হয় তখন এই প্রোটিনের পরিমান বেড়ে যায়, আর এই প্রোটিন আমাদের শরীরের টিস্যু গঠনে অনেক বড় ভুমিকা রাখে। (তবে কিছু রোগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করতে হয়, সেক্ষেত্রে পরিমিত পরিমাণ লইট্যা খাওয়া ভালো)

★এই মাছে উপকারী ওমেগা-৩ফ্যাটি এসিড আছে যা মানুষের শরীরের রক্তনালী কে পরিষ্কার রেখে হার্ট স্ট্রোকের ঝুকি কমায়

★লইট্যা শরীরের হরমোন, এনজাইম এবং বিভিন্ন ক্যামিকেলের ভারসাম্য রক্ষা করে

★ ক্লান্তি দুর্বলতা মাথাব্যথা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ,চোখের নিচে কালচে ভাব, চুল পড়ে যাওয়া, রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই তাজা মাছটি।

★মাংসপেশীর স্বাভাবিক সংকোচন-প্রসারণের সাহায্য করে এটি।

★তাছাড়া আয়োডিন সমৃদ্ধ হওয়ায় থাইরয়েড রোগীর জন্য এই মাছ খাওয়া উচিত।

★তাজা ও শুটকি দুই ধরনের মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি অত্যাবশ্যক মৌল উপাদান থাকায় অস্টিওপোরোসিস ও আর্থারাইটিস ইত্যাদি সমস্যা দূর করে
তাহলে এবার বলুন আপনি কেনো আর কিভাবে খাবেন লইট্যা বা Duck Fish.

Leave a comment