স্পেশাল বার্মিজ চন্দন কাঠ
ব্রণ, র্যাশ, জ্বালাপোড়া—গরমে ত্বকের নিত্যসঙ্গী। তৈলাক্ত ত্বক যাঁদের, তাঁরা হাড়ে হাড়ে টের পান এ সময়ের যন্ত্রণা। গরমের এ সময়টাতে একটু বাড়তি রূপচর্চা দরকার হয়ে থাকে। রূপচর্চা করার উপাদানগুলোতে শীতল ভাব থাকলে তা যেন বাড়তি পাওনা। চন্দন ওপরের সব বিষয়েই আপনাকে সহায়তা করবে। ত্বকের অতিরিক্ত তেলও শুষে নেবে। অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করবে। একসময় তো বিয়ের কনেকেও সাজানো হতো চন্দন দিয়ে। বিয়ের আসরে কনের কপালে ফুটে থাকত চন্দনের ফোঁটা। ত্বকে চন্দনের স্পর্শকে শুভ হিসেবেই বিচার করা হতো। রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার করা হলে পরবর্তীকালে ত্বক ঠান্ডা পরশও পায়। রূপবিশেষজ্ঞরা এটিকে সব গুণে গুণান্বিত একটি উপাদান হিসেবেই দেখে থাকেন।
চন্দনগাছের কাঠ শুকিয়ে গুঁড়া করে পাওয়া যায় চন্দনগুঁড়া বা স্যান্ডেলউড পাউডার। ত্বক পরিষ্কার করা, উজ্জ্বল করা, রোদে পোড়া ভাব দূর করা, ত্বককে সজীব করে তোলা ছাড়াও অসংখ্য গুণ আছে এই উপকরণটির। জেনে নেওয়া যাক একঝলকে:
* ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
* ত্বকের ক্লান্তিভাব দূর করে।
* ব্রণ বা ত্বকের দাগ দূর করে।
* ত্বকের ব্ল্যাকহেডস দূর করতে সাহায্য করে।
* চন্দনের সঠিক ব্যবহার ত্বকে কোমলতা এনে দেয়।
* যাদের ত্বক বয়সের কারণে ঝুলে গেছে, তাদের জন্য চন্দন বেশ উপকারী। কারণ, এটি ত্বককে টানটান রাখে।
তবে রূপচর্চা থেকে সঠিক ফল পেতে হলে অবশ্যই সঠিক উপায়ে কাজটি করা প্রয়োজন। এমন বক্তব্য হারমনি স্পার আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানার। তিনি বলেন, ‘সাধারণত ত্বকের কয়েকটি শ্রেণি থাকে। শুষ্ক ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক ও সংবেদনশীল ত্বক—এই তিন ধরনের ত্বকের জন্য চন্দনকে ভিন্নভাবে ব্যবহার করতে হবে।’
শুষ্ক ত্বকে চন্দনের ব্যবহার
শুষ্ক ত্বকের জন্য বাড়তি ময়েশ্চারাইজার দরকার হয়। চন্দন ত্বককে হালকা টানটান করে দেয়। তাই শুষ্ক ত্বকের জন্য চন্দনের সঙ্গে মধু ও দুধ ব্যবহার করা ভালো। দুধে আছে ল্যাকটোজেন ও মধুতে অ্যান্টিবায়োটিক। চন্দনের সঙ্গে এই দুটি উপাদান মিশিয়ে মুখ, হাত ও পায়ের ত্বকে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
তৈলাক্ত ত্বকে চন্দনের ব্যবহার
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য চন্দনের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে হাতে, পায়ে, মুখে ব্যবহার করা যায়। চন্দনের মধ্যে এমন আয়ুর্বেদিক গুণ আছে, যেটি ত্বককে আরও গভীরে গিয়ে পরিষ্কার করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
সংবেদনশীল ত্বকে চন্দনের ব্যবহার
যাদের ত্বক সংবেদনশীল, তাদের রূপচর্চায় অনেক বেশি সচেতন থাকা প্রয়োজন। সংবেদনশীল ত্বকে চন্দনের সঙ্গে হালকা টক দই ব্যবহার করা যায়।
মুখ, হাত বা পায়ের ত্বকের পাশাপাশি চন্দন সারা শরীরে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া বডি টনিং ও পলিশের জন্যও এটি বেশ কার্যকর। চন্দনের সঙ্গে মধু মিশিয়ে সারা শরীরে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারের ১০-১২ মিনিট পর চন্দনটা তোলার জন্য জলপাই তেল দিয়ে মালিশ করে নিন। চন্দনের মিশ্রণ ধুয়ে ফেলার পর হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো। এ ক্ষেত্রে গোলাপজল, গ্লিসারিন ও জলপাই তেল সমপরিমাণ মিশিয়ে ময়েশ্চারাইজার ঘরেই তৈরি করতে পারেন। প্রতি সপ্তাহে এক থেকে দুবার চন্দনের প্যাক ব্যবহার করলে ত্বককে আরও প্রাণবন্ত ও সতেজ করে তোলা যায়।
Reviews
There are no reviews yet.