অর্গানিক পাঁচমিশালী শুটকি ২৫০ গ্রাম / Organic Mixed Shutki 250gm
বাজারের শুটকির তুলনায় আমাদের শুটকির বৈশিষ্ট্য:-
- আমাদের শুটকি প্রচলিত বাজারের শুটকির চেয়ে অপেক্ষাকৃত উজ্জ্বল ও বেশী চকচকে।
- বাজারের শুটকিতে প্রকট শুঁটকির গন্ধ থাকে অনেকক্ষেত্রে সেটা পচাঁ ও বিষের গন্ধ। আর আমাদের শুটকিতে ফ্যাটি এসিড ভাঙ্গালে গ্রিসারিন হয় এবং গ্লিসারিন স্বাদ ও গন্ধ মিষ্টি হওয়ায় পচাঁ মাছের গন্ধ থাকে না।
- বাজারের শুটকি অপেক্ষাকৃত কম শুকানো হয় বেশী লাভের আশায় যাতে করে শুটকির পরিমাণ ওজনে কম হয়। আর আমাদের শুটকি অপেক্ষাকৃত বেশী শুকানো হয় বলে ওজনে হালকা হয় বলে বাজারের শুটকির ৩ গুন বেশী শুটকি ধরে।
- বাজারের শুটকিতে সাধারণত প্রসেসিংএর সময় নাড়িঁভুড়ি ও আইশ ফেলা হয় না। কিন্তু আমরা শুটকির করার আগেই কাচাঁ মাছের থেকে নাড়িঁভুড়ি ও আইশ নিয়ে ফেলি।
- বাজারের শুটকি প্রসেসিংএর সময় ভাল ভাবে ধুয়া হয়না। যার কারণে রান্নার সময় অনেক সময় গরম পানিতে ধুয়ার পরও ধুলাবাল থাকে যা শুটকির তৈল বা চর্বির উপর ধুলাবালি পড়লে সাবান ও ডিটারজেন্ট ছাড়া যায় না। কিন্তু আমাদের শুটকির তৈরী করি তাজা মাছ দিয়ে। যাতে করে শুটকির চামরা মসৃন থাকে। এবং গরম পানিতে ধোয়ার প্রয়োজন নেই কারণ আমরা প্রসেসিং এমন ভাবে করি যাতে ধুলাবালি ও বিষ থাকেনা।
- বাজারের শুটকিতে অধিক লাভের আশায় অনেক বেশী পরিমাণে লবন ব্যবহারের ফলে বেশী লবন ভাব থাকে। কিন্তু আমরা লবন ব্যবহার করি না। তায় ওজনে হালকা হয় স্বাদও ভাল থাকে।
- বাজারের শুটকিতে মাছের উপর মাছি না বসার জন্য এবং পরবর্তিতে মাছে পোকা আকৃমণ ঠেকানোর জন্য কৃষিজ কীটনাশক (এন্ডো সালফার) ও ডিডিটি ব্যবহার করা হয়। যা মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনে। কিন্তু আমাদের সেলুলয়েড ও নেট দ্বারা আবৃত স্থানে শুকানো হয় বলে কোন প্রকার মাছি, পোকা ও ধুলাবালি মাছের উপর বসতে পারে না বলে বিষাক্ত কৃষিজ কীটনাশক ও ডিডিটি ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।
- বাজারের শুটকির আদ্রতার পরিমাণ অনেক বেশী প্রায় 30-40%, কিন্তু আমাদের শুটকির আদ্রতা 10-15%
- বাজারের শুটকিতে তৈল ও চর্বির পরিমাণ 10-15%, আমাদের শুটকিতে তৈল ও চর্বির পরিমাণ 5-8%
খাদ্য হিসাবে শুটকি :
বাংলাদেশে অনেক এলাকায় শুঁটকি মাছ খাওয়ার প্রবণতা আছে। রুপচাঁদা, লইট্টা, ছুরি, ছোট চিংড়ি, গজার, পুঁটি, কাঁচকি ইত্যাদি মাছ শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। এটি বেশ জনপ্রিয় পদ। কথা হলো শুঁটকি মাছ কি খাওয়া খারাপ, নাকি এতে কোনো উপকারিতা আছে?
শুঁটকি মাছে তাজা মাছের তুলনায় আমিষ, প্রোটিন ও খনিজ লবণের পরিমাণ অনেক বেশি। ক্যালসিয়াম ও লৌহের পরিমাণও অনেক। ছোট চিংড়ির শুঁটকিতে লৌহের পরিমাণ বেশি। রক্ত স্বল্পতা ও গর্ভবতী নারীরা এটি খেলে উপকারই পাবেন। যাঁরা দুধ খেতে পারেন না বা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে, তাঁরা প্রোটিনের বিকল্প উৎস হিসেবে মাঝে মাঝে শুঁটকি খেতে পারেন।
জেনে নিই কোন ধরনের শুঁটকিতে কী উপাদান আছে?
প্রতি ১০০ গ্রামে আমিষ, প্রোটিন ও খনিজ লবণ
ছোট চিংড়ির শুঁটকি: ৬২ দশমিক ৪ গ্রাম প্রোটিন, ৩৫৩৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩৫৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ২৮ গ্রাম লৌহ ও ২৯২ ক্যালরি।
ছুরি শুঁটকি: ৭৬ দশমিক ১ গ্রাম প্রোটিন, ৭৩৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৭০০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৪ দশমিক ২ মিলিগ্রাম লৌহ, ৩৮৩ ক্যালরি।
টেংরার শুঁটকি: ৫৪ দশমিক ৯ গ্রাম প্রোটিন, ৮৪৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৪০০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৫ মিলিগ্রাম লৌহ ও ২৫৫ ক্যালরি।
লইট্টার শুঁটকি: ৬১ দশমিক ৭ গ্রাম প্রোটিন, ১৭৮১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২৪০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ২০ মিলিগ্রাম লৌহ ও ২৯৫ ক্যালরি।
ফাইস্যা মাছের শুঁটকি: ১১ গ্রাম প্রোটিন, ১১৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৪৭৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১৮ মিলিগ্রাম লৌহ ও ৩৩৬ ক্যালরি।
সতর্কতা
* বাজারের শুঁটকিতে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের সময় প্রচুর লবণ দেওয়া হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগীদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।
* বাত ও কিডনির রোগীদের বেশি শুঁটকি খাওয়া উচিত নয়।
* যাঁদের কিডনিতে ক্যালসিয়াম পাথর হওয়ার ঝুঁকি আছে, তাঁরাও শুঁটকি এড়িয়ে চলবেন।
* ইদানীং শুঁটকি সংরক্ষণে ক্ষতিকর কীটনাশক ডিডিটি-জাতীয় উপাদান দেওয়া হয়। তাই রান্নার আগে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে বারবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন।
* বাড়িতে শুঁটকি সংরক্ষণ করতে হলে মাঝে মাঝে কড়া রোদে দেবেন
Reviews
There are no reviews yet.