০১। আলু ভর্তা:
আলু আধা কেজি সিদ্ধ করে চটকে নিন। এবার পাত্রে ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে শুকনা মরিচ ভেজে পেঁয়াজ কুঁচি দিন। পেঁয়াজ বাদামী রং হলে পেঁয়াজ মরিচ লবণ দিয়ে চটকে আলু দিন এবার ধনেপাতা কুঁচি দিয়ে মেখে ভর্তা বানিয়ে নিন।
০২। বেগুন ভর্তা:
উপকরণ: বড় গোলবেগুন ১টি, সরিষা বাটা ১ চা চামচ, নারকেল মিহি বাটা ২ চা চামচ, টমেটো কুঁচি১ কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি আধা কাপ, মেথি আধা কাপ, রাধুনী সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুঁচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালী: বেগুনের গায়ে তেল মাখিয়ে পুড়িয়ে নিন। এবার পানিতে রেখে খোসা ছাড়িয়ে মেখে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে মেথি ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি দিন। পেঁয়াজ একটু নরম হলে টমেটো সরিষা, নারকেল, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে বেগুন দিন। কড়াইয়ের তলা ছেড়ে এলে এবং একটু আঠালো হলে নামিয়ে নিতে হবে।
০৩। মসুর ডালের ভর্তা:
উপকরণ: মসুর ডাল ১ কাপ, পানি ৩ থেকে সাড়ে ৩ কাপ, রসুন কুঁচি আধা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ চা চামচ, লবণ আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ ফালি ২টি, তেল ১ চা চামচ।
প্রণালী: সব উপকরণ দিয়ে ডাল সিদ্ধ করতে হবে। ঘন থকথকে হলে নামাতে হবে।
০৪। টমেটো ভর্তা:
উপকরণ: ছোট টমেটো ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ মিহি কুঁচি ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ ২টা, ধনেপাতা কুঁচি ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি ১ চা চামচ, সরষের তেল ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।
প্রণালী: শুকনা মরিচ তাওয়ায় টেলে বিচিসহ গুঁড়ো করে নিতে হবে। টমেটোর গায়ে তেল লাগিয়ে তাওয়ার ওপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে চুলায় তুলে সব দিক সমানভাবে পুড়িয়ে নিতে হবে। ঠাণ্ডা হলে খোসা ছাড়িয়ে চটকে পেঁয়াজ, মরিচ, লবণ, তেল, চিনি, লেবুর রস, ধনেপাতা দিয়ে মেখে ভর্তা করতে হবে।
০৫। টাকি মাছের ভর্তা:
উপকরন: টাকিমাছ ১ কাপ,পেঁয়াজ,স্লাইস ৩ টে.চা ,আদা,রসুন,বাটা ১ চা. চা,পেঁয়াজ পাতা ২ টে. চা ,জিরা,বাটা ১ চা. চা,রসুন,ছেঁচা ২ টে. চা,ধনে,বাটা ১ চা. চা ,লবণ,স্বাদ অনুযায়ী,হলুদ,বাটা ১/২ চা. চা ,মরিচ,বাটা ১ /২ চা. চা
প্রনালী: মাছ সিদ্ধ করে কাটা বেছে ১ কাপ মেপে নাও।,তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা বাদামী রং করে ভেজে বাটা মসলা ও সামান্য পানি এবং রসুন দিয়ে কষাও। কষানো হলে পেয়াজপাতাসহ কচি পেঁয়াজ দিয়ে নাড়। মাছ দিয়ে নেড়ে নেড়ে ভাজ। লবণ দাও। মাছ হালুয়ার মতো তাল বাঁধলে নামাও। মাছ যেন ঝুরি এবং শুকনা না হয়।এর পর আপনি চাইলে হাত দিয়ে গোল গোল বল বানিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার টাকি মাছের ভাজা ভর্তা।
০৬। কালিজিরা ভর্তা:
উপকরণ: কালিজিরার আধা কাপ, রসুনের কোয়া ২ টেবিল-চামচ, কাঁচামরিচ ৮টি, পেঁয়াজ কুঁচি ৪ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, সরিষার তেল ২ টেবিল-চামচ।
প্রণালী: রসুন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কাঠখোলায় টেলে নিতে হবে। তেল বাদে সব উপকরণ পাটায় বেটে তেল দিয়ে মেখে ভর্তা করুন।
০৭। আলু ডিম ভর্তার রেসিপি :
উপকরণ: ডিম ২টি, আলু ১টি (মাঝারি সাইজের), কাঁচামরিচ কুঁচি ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুঁচি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুঁচি ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালী: আলু এবং ডিম সেদ্ধ করে নিন। খোসা ছাড়িয়ে আলু এবং ডিম আলাদাভাবে চটকে নিন। এবার পেঁয়াজ কুচি, লবণ এবং আধা চা চামচ সরিষার তেল দিয়ে ডিম ও আলু ভালোভাবে মেখে ভর্তা তৈরি করুন।
০৮। পালংশাক ভর্তা:
উপকরনঃ পালংশাক ২০০ গ্রাম , কাঁচা মরিচ/ শুকনা মরিচ ভাজা ৫ থেকে ৬ টি পেয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ। লবণ ও সরিষার তেল -নিজের পছন্দ মত।
প্রনালীঃ প্রথমে পালংশাক ভাল করে ধুয়ে বড় করে কেটে যে কোন পাত্রে সিদ্ধ করে নিন। শাক সিদ্ধ হয়ে গেলে পেয়াজ কুচি, মরিচ ও লবণ হাত দিয়ে চেটকিয়ে মিহি করুন। তারপর সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে পরিবেশন করুন। শীতের দিনে গরম গরম ভাতের সাথে শাক ভর্তা অনেক সুস্বাদু লাগে।
০৯। লাউশাক ভর্তা:
উপকরণ: লাউয়ের পাতা ৬-৭টা, নারকেল কুড়ানো ৪ চা চামচ, সরিষা ২ চা চামচ, সেদ্ধ কাঁচামরিচ ২টা, প্রয়োজনমতো লবণ।
প্রণালী: লাউশাক ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করুন। শাকের সাথে কাঁচামরিচও সেদ্ধ করুন। শাক সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার নারকেল কুড়ানো, সরিষা, লবণ, সেদ্ধ করা শাক ও কাঁচামরিচসহ পাটায় পানি ছাড়া বেটে ভর্তা তৈরি করুন।
১০। কাচকি মাছ ভর্তা
উপকরণ: কাচকি মাছ এক কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ২ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৪টি, ধনেপাতা কুঁচি ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালী: কাচকি মাছ ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। কাচকি মাছ, পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি, কাঁচামরিচ অল্প তেলে কড়াইতে হালকাভাবে ভাজুন। ভাজা হলে লবণ ও ধনেপাতা দিয়ে পাটায় বেটে ভর্তা তৈরি করুন।
১১। করল্লার ভর্তা
করল্লা ধুয়ে খুব মিহি করে কুঁচি করে নিন। এবার করল্লা কুচি চটকে নিয়ে পেঁয়াজ, কাচা মরিচ, লবন এবং তেল দিয়ে ভর্তা তৈরি করুন।
১২। ছুরি শুঁটকি ভর্তার রেসিপি :
উপকরণ: ছুরি শুঁটকি ছোট করে কাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি ২ কাপ, শুকনা মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, চিনি আধা চা চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, তেল আধা কাপ, আদা বাটা আধা চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, তেজপাতা ১টি, কাঁচামরিচ চার টুকরা করে কাটা ৬টি।
প্রণালী: শুঁটকি ভালো করে ধুয়ে সিদ্ধ করে বেটে নিতে হবে। তেল গরম করে আদা-রসুন দিয়ে ভালো করে ভুনে শুঁটকি দিয়ে ভুনতে হবে। হলুদ, ধনে, মরিচের গুঁড়া, তেজপাতা, লবণ দিয়ে মাঝারি আঁচে ৮-১০ মিনিট ভুনে পেঁয়াজ দিয়ে ভুনতে হবে। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে চিনি, লেবুর রস, কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামাতে হবে।
১৩। ধনেপাতার চাটনি:
উপকরণ: টাটকা ধনেপাতা বড় ২ আঁটি, রসুন ২ কোয়া, তেঁতুল ১ টেবিল চামচ। কাঁচামরিচ ১টি, চিনি, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালী: ধনেপাতার কচি ডগা ও পাতা বেছে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। ধনেপাতা, রসুন, কাঁচামরিচ, তেঁতুল, লবণ ও চিনি সব একসঙ্গে মিশিয়ে মিহি করে কেটে নিন। সামান্য ঝাল, মিষ্টি ও টকটক স্বাদ হবে।
১৪। সরিষা ভর্তা:
উপরকণ: লাল সরিষা ৪ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ১টি, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালী: সরিষা ভালো করে বেছে ধুয়ে কাঁচামরিচ এবং লবণ দিয়ে শিলপাটায় বেটে নিন।
১৫। কাঁচকলা ও ইলিশ মাছের ভর্তা:
উপকরণ : কাঁচকলা ২টি (মাঝারি), ভাজা ইলিশ মাছ ২ টুকরা (কাঁটা ছাড়ানো), শুকনো মরিচ ভাজা ২টি, কাঁচামরিচ কুচি ২টি, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ২ চা চামচ, লবণ স্বাদ মতো।
প্রণালি : কাঁচকলা ডুবো পানিতে সেদ্ধ করুন। কলার খোসা ছাড়িয়ে চটকে রাখুন। এবার ইলিশ মাছ, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, লবণ ও তেল একসঙ্গে মাখুন। মাখা হলে কাঁচকলা দিয়ে ভালো করে মেখে গরম গরম পরিবেশন করুন।
১৬। কচু নারকেল ভর্তা:
উপকরণ : কচু কিমা ১ কাপ, নারকেল বাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ ভাজা ৩-৪টি, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি অল্প পরিমাণ, লবণ স্বাদ মতো।
প্রণালি : প্রথমে এক টুকরো কচুকে পুড়িয়ে বা সেদ্ধ করে ভালো করে মাখিয়ে কিমা তৈরি করুন। একটি ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচি, শুকনা মরিচ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে তাতে কচু কিমা ও নারকেল বাটা দিয়ে নামিয়ে নিন। এবার পুদিনাপাতা কুচি ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে গরম ভাতে পরিবেশন করুন মুখরোচক কচু নারকেল ভর্তা।
১৭। থানকুনি পাতার ভর্তা:
উপকরণ : থানকুনি পাতা ১ কাপ, কাঁচামরিচ ২টি, রসুনের কোয়া ২টি, লবণ স্বাদ মতো, তিল ২ টেবিল চামচ, কালিজিরা ১ চা চামচ।
প্রণালি : সব একসঙ্গে বেটে (সব পাতা ধুয়ে পানি মুছে নিতে হবে) ভর্তা তৈরি করতে হবে। এরপর গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
১৮। পেঁয়াজ পাতা ভর্তা:
উপকরণ: ১ ইঞ্চি লম্বা করে কাটা পেঁয়াজ পাতা ২ কাপ,সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ,পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ,শুকনামরিচ ২টি,কাশুন্দি ১ চা চামচ,লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালী: ফ্রাই প্যান অথবা কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ পাতা ছেড়ে দিয়ে অল্প আঁচে ২-৩ মিনিট নাড়ুন। পেঁয়াজপাতা নরম হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার শুকনামরিচ, পেঁয়াজ কুচি ও লবণ ভালোভাবে ডলে পেঁয়াজ পাতা ও কাশুন্দি দিয়ে হালকাভাবে মেখে ভর্তা তৈরি করুন। গরম ভাতের সাথে এই ভর্তা খেতে মজা ।
১৯। লাউ এর সিলকা ভর্তা :
উপকরণ: লাউ এর সিলকা-৩ কাপ, শুকনা মরিচ পোড়ানো-৪/৫টি, লবণ-পরিমাণ মতো, ধনে পাতা-সিকি কাপ, পিঁয়াজ কুচি-সিকি কাপ, সরিষার তেল-২ টেঃ চামচ।
প্রণালী: লাউ-এর সিলকা ধুয়ে পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এবার তেলের মধ্যে লাউ এর সিলকা ভেজে নিন। শুকনা মরিচ ভেজে নিন, পিঁয়াজ ভেজে নিন। ধনে পাতা কুচি করে নিন। এবার লাউ এর সিলকা, শুকনা মরিচ, পিঁয়াজ কুচি, ধনে পাতা কুচি সব এক সাথে পাটায় মিহি করে বেটে নিন। হয়ে গেল লাউ এর সিলকা ভর্তা।
২০। চিনাবাদাম ভর্তার রেসিপি :
উপকরণ: চিনাবাদাম ভাজা (খোসা ছাড়া) ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ ৪-৫টি, ধনেপাতা কুচি ১ আঁটি, সরিষার তেল ১ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: কাঁচামরিচ কাঠখোলায় টেলে নিতে হবে। বাদামের লাল খোসা ঘষে তুলে ফেলে, পাটায় বেটে নিতে হবে। কাঁচামরিচ বেটে নিতে হবে। এবার তেলের সঙ্গে পেঁয়াজ, লবণ, ধনেপাতা কুচি চটকে বাদাম ও কাঁচামরিচ বাটা দিয়ে মাখাতে হবে।গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।