coxsbazarshop.com
Home
Shop
Wishlist0

Call us: 09613-660510

লইট্টা শুটকি বেগুন ভুনা

লইট্টা শুটকি বেগুন ভুনা

লইট্টা শুটকি বেগুন ভুনা

অনেক সময় মাছ, মাংশ খেতে খেতে আর ভাল লাগে না। মুখ বদ্লানর জন্য শুটকি হলে কেমন হয়? যারা শুটকি খেতে ভালবাসেন, তাদের জন্য রয়েছে কয়েকটি শুটকি রেসিপি। আজ শেয়ার করছি আমাদের খুব পরিচিত লইট্টা শুটকি বেগুন ভুনা।
উপকরণঃ
৬ টা লইট্টা শুটকি
দেড় কাপ মোটা কিউব করে কাটা পিয়াজ
১০-১২ টার মত বড় বড় রসুনের কোয়া , মোটা কিউব করে কাটা
১ চা চামচ আদা বাটা
১ চা চামচ রশুন বাটা
১ তা তেজপাতা
৮/১০ টা গোল মরিচ
১/২ চা চামচ হলুদ গুড়া
১ চা চামচ মরিচ গুড়া (স্বাদ অনুযায়ী)
১/২ চা চামচ ভাজা জিরার গুড়া
৭/৮ টা আস্ত কাচা মরিচ
১/২ কাপ বেগুন
তেল
লবন , স্বাদ মত

প্রনালীঃ
১। হাল্কা গরম পানি দিয়ে শুটকি ভাল করে ধুয়ে নিন। মোটামুটি গরম (এক্দম ফুটন্ত নয়) পানি তে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
২। শুটকি কিউব করে কেটে নিন।
৩। তেল গরম হলে তেজপাতা আর গোল মরিচ দিয়ে পিয়াজ, কাটা রসুন দিয়ে ভাল করে ভাজুন।
৪। পিয়াজ, রশুন নরম হয়ে গেলে এক্তু পানি দিন। আদা, রশুন বাটা, হলুদ, মরিচ গুড়ো দিয়ে ভাল করে কষান। শুটকি দিন। আরেকটু কষিয়ে ১ কাপ এর মত পানি দিয়ে দিন।
৫। পানি একটু শুকিয়ে আসলে বেগুন,কাচা মরিচ
, আর লবন দিয়ে দিন।
৬।পানি শুকিয়ে , বেগুন সিধ্ধ হয়ে তেল উপরে উঠে আসলে ভাজা জিরার গুড়ো ছড়িয়ে দিন। মজাদার লইট্টা শুটকি বেগুন দিয়ে তৈরি।
টিপ্সঃ
১।শুটকি তে লবন একটু কম দেবেন।এক্বারে অনেক লবন দিবেন না, কারন শুটকি তে এম্নিতেই বেশ লবন থাকে…লাগলে পরে দেবেন।
২। শুটকি তে তেল, পিয়াজ, রশুন একটু বেশি লাগে।

লইট্যা মাছ- কোনটা খাবো!! তাজা নাকি শুটকি।

তাজা লইট্টা মাছ দিয়ে ঝুরি চাপ, ভুনা পাতুরি, ঝাল ইত্যাদি বিভিন্ন সুস্বাদু সব রেসিপি বানানাে হয় যা একবার খেল ভুলবেন না আপনি।  তবে উপকারিতার দিক থেকে বিচার করলে অবশ্য তাজা লইট্টা মাছের তুলনায় শুটকি মাছের গুণাগুণ অনেক বেশি। আসুন জেনে নেই লইটা তাজা ও শুটকি মাছের কিছু উপকারীতাঃ

★কড়া রােদে শুকানাের ফলে এই মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি তৈরি হয়ে যায় যা দাঁত হাড় ও নখের গঠন মজবুত করার জন্য অপরিহার্য।

★লইটা মাছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়ক এবং রক্তাল্পতার মােকাবিলা করে।

★লইট্যা মাছে প্রোটিনে ভরপুর, যখন মাছকে শুকানো হয় তখন এই প্রোটিনের পরিমান বেড়ে যায়, আর এই প্রোটিন আমাদের শরীরের টিস্যু গঠনে অনেক বড় ভুমিকা রাখে। (তবে কিছু রোগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করতে হয়, সেক্ষেত্রে পরিমিত পরিমাণ লইট্যা খাওয়া ভালো)

★এই মাছে উপকারী ওমেগা-৩ফ্যাটি এসিড আছে যা মানুষের শরীরের রক্তনালী কে পরিষ্কার রেখে হার্ট স্ট্রোকের ঝুকি কমায়

★লইট্যা শরীরের হরমোন, এনজাইম এবং বিভিন্ন ক্যামিকেলের ভারসাম্য রক্ষা করে

★ ক্লান্তি দুর্বলতা মাথাব্যথা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ,চোখের নিচে কালচে ভাব, চুল পড়ে যাওয়া, রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই তাজা মাছটি।

★মাংসপেশীর স্বাভাবিক সংকোচন-প্রসারণের সাহায্য করে এটি।

★তাছাড়া আয়োডিন সমৃদ্ধ হওয়ায় থাইরয়েড রোগীর জন্য এই মাছ খাওয়া উচিত।

★তাজা ও শুটকি দুই ধরনের মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি অত্যাবশ্যক মৌল উপাদান থাকায় অস্টিওপোরোসিস ও আর্থারাইটিস ইত্যাদি সমস্যা দূর করে
তাহলে এবার বলুন আপনি কেনো আর কিভাবে খাবেন লইট্যা বা Duck Fish.

চ্যাপা-বাসপাতি শুটকির বড়ার রেসিপি

চ্যাপা-বাসপাতি শুটকির বড়ার রেসিপি

চ্যাপা/বাসপাতি শুটকির বড়ার রেসিপি
আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার সাথে খুদভাত।

উপাদান ঃ১/ চ্যাপার শুটকি ৬-৭টি
বাসপাতি শুটকি হলে ৪ দিলেই হবে।
২/মাঝারি সাইজের আলু একটা (বড়া মচমচে করতে সাহায্য করে)
৩/রসুন ৫-৬ টা মাঝারি সাইজের
৪/পিয়াজ ৫টা মাঝারি সাইজের
৫/শুকনা মরিচ ১৫টা।(যে যেমন ঝাল খাবে তার উপর ডিপেন্ড করে)
৬/হলুদ গুড়া ১ চা চামচ
৭/ লবন ও তেল পরিমান মতো।
৮/লাউ,কচু,মিষ্টি কুমড়া যেকোন পাতা ৮টা

রান্না প্রণালীঃ
শুটকি,আলু, রসুন, পিঁয়াজ, শুকনা মরিচ পাটায় আধা বাটা করে বাটতে হবে।
তারপর কড়াইতে কম তেলে সব উপাদান গুলো দিয়ে ভাজতে হবে যেন পানি শুকিয়ে যায়।
ঠান্ডা হলে পাতার সাইজ অনুযায়ী ভর্তা গুলো পাতায় মুড়ে নিয়ে নিতে হবে।
তারপর ফ্রাইপেনে তেল গরম করে অল্প তাপে ভাজতে হবে যেন পুড়ে না যায়। একটু সময় নিয়ই ভাজা উচিত।
পাতার কালার যখন কালো আর হাত দিয়ে ধরলে বুঝতে পারবেন মচমচে ভাব এসেছে তখনই বুঝতে পারবেন মজাদার বড়া তৈরি আপনার জন্য ।

আমি সুবিধার জন্য ধাপে ধাপে ছবি দিয়ে দিচ্ছি।

ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি

ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি

ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি

আমরা কাঁচা চিংড়ি বা চিংড়ি শুটকি অনেকেই অনেক পছন্দ করি। যে যান মতো করে ভুনা, ভাজি, ভর্তা, চচ্চড়ি খেতে পছন্দ করি। তবে আজ আপনাদের চিংড়ি শুটকি নিয়ে একটি নতুন রেসিপি জানাবো। ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি। যার স্বাদ আপনার চিরচেনা রান্নাগুলো থেকে একটু ভিন্ন। আসুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে তৈরি করবেন ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি।

চিংড়ি শুটকি- পরিমাণ মতো

চিংড়ি শুটকি ভুনা করার জন্য যা যা উপকরণ লাগবে পেঁয়াজ, মরিচ, ধনিয়া, জিরা, আদা-রসুন বাটা, তেল, লবণ, – পরিমাণ মতো

ভিন্নতার জন্য- কাচামরিচ/শুকনা মরিচ(দেশি) ধনেপাতা, পেঁয়াজ পরিমাণ মতো। (ধনেপাতার পরিমাণ একটু বেশি লাগবে)

প্রণালি :

প্রথমে চিংড়ি শুটকি নিজের মতো করে সাইজ করে এবং পরিষ্কার করে নিন।

তারপর শুটকি খুব ভালো মতো গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন ধুয়ে নিন। (যেনো বালি না থাকে)

তারপর কুসুম গরম পানিতে, অথবা স্বাভাবিক পানিতে শুটকি ভিজিয়ে রাখুন। ১-৩ ঘণ্টা।(যত বেশি ভিজিয়ে রাখা যায় তত ভালো) (হালকা কুশুম গরম পানিতে ভিজালে তাড়াতাড়ি ভেজানো হয়)

তারপর পানি থেকে ছেকে তুলে রেখে দিন।

তারপর আপনি যেভাবে চিংড়ি শুটকি ভুনা করেন ঠিক একই নিয়মে ভুনা করে নিন। যদি ঝাল কম খান তাহলে কাঁচা মরিচ একেবারে কম দিন (কারণ পরে আরো মরিচ মিশাতে হবে)

পানি শুকিয়ে তেল উপরে উঠে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন।

ভিন্নতার জন্য-১

আলাদা পাত্রে খুব মিহি কুঁচি করে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা কেটে নিন। তারপর এই তিনটি উপকরণ অল্প সরিষার তেল দিয়ে হাতে কচলে নিন (খুব বেশি নরম করা যাবেনা) কচলানো মসলা রান্না করা চিংড়ি শুটকির সাথে মিশিয়ে দিন।

ভিন্নতার জন্য-২

আলাদা পাত্রে খুব মিহি কুঁচি করে পেঁয়াজ এবং ধনেপাতা কেটে নিন। তারপর মিষ্টি জাতীয় শুকনা মরিচ তেলে ভেজে নিন(বগুড়ার মরিচ হলে চলবে না কারণ বগুড়ার মরিচে শুধু ঝাল থাকে। কিন্তু স্বাদ, ঘ্রাণ কিছুই থাকে না)(শুকনা মরিচ মেশানোর কারণ হচ্ছে শুকনা মরিচ ভেজে গুঁড়ো করে দিলে স্বাদ ও ঘ্রাণ বেশি ভালো হয়) তারপর এই তিনটি উপকরণ অল্প সরিষার তেল দিয়ে হাতে কচলে (খুব বেশি নরম করা যাবেনা) কচলানো মসলা রান্না করা চিংড়ি শুটকির সাথে মিশিয়ে দিন।

এরপর গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন, ভিন্ন স্বাদে কাঁচা পেঁয়াজে চিংড়ি শুটকি।

Back to Top
//
আমাদের কাষ্টোমার কেয়ার সব সময় আপনার সেবায়!
👋 অর্ডার কিংবা যেকোন তথ্য পান!
Product has been added to your cart