coxsbazarshop.com
Home
Shop
Wishlist0

Call us: 09613-660510

পোড়া বেগুন , আলু দিয়ে লইট্টা শুঁটকির ভুনা

পোড়া বেগুন , আলু দিয়ে লইট্টা শুঁটকির ভুনা

উপকরণঃ- লইট্টা শুঁটকি  (৩ পিস), বেগুন (১ টা, বড় ), আলু (৬ টা, ছোট), রসুন কুচি (সিকি কাপ), পেঁয়াজ (১/২ কাপ), লাল মরিচের গুঁড়া (১ চা চামচ), হলুদ গুঁড়া (১ চা চামচ), ধনে গুঁড়া (১ চা চামচ),  কাঁচা লঙ্কা (৪-৫ টা), তেল (সিকি কাপ),  লবণ

প্রণালীঃ- শুঁটকি মাছগুলাকে টেলে নিতে হবে। তারপর তাতে গরম পানিতে সুন্দর করে ধুয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে ১০ মিনিটের মতন। সেদ্ধ শেষে শুঁটকি থেকে কাটা বেছে আলাদা করে রাখুন।  অন্য দিকে বেগুনের গায়ে ও আলুর গায়ে হালকা তেল মাখিয়ে আগুনে পুড়িয়ে নিন, ৩-৪ মিনিটের মতন। পোড়ানো বেগুন আর আলুগুলাকে ছোট ছোট পিস করুন। একটা প্যানে তেল গরম করি। তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একটু ভাজুন। নরম হতে থাকলে তাতে সেদ্ধ করা শুঁটকি দিয়ে ভাজুন। ২ মিনিট ভাজার পরে তাতে সব গুঁড়া মশলা দিয়ে ১ বার কষিয়ে নিন।

সিকি কাপ পানি দিয়ে তাতে প্রথমে পোড়া পিস করা আলু দিন। অল্প আঁচে আলুটা সেদ্ধ হতে দিন। আলু সেদ্ধ হলে পোড়া পিস করা বেগুন দিয়ে আরও কিছুক্ষন সেদ্ধ হতে দিন। ঝোল শুকিয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করি।

শুঁটকি দিয়ে কচু রান্নার রেসিপি

শুঁটকি দিয়ে কচু রান্নার রেসিপি

উপকরনঃ

 শুঁটকী মাছ – ৬০- ৭০ গ্রাম ( আপনি যেকোনো শুঁটকি দিতে পারেন। এখানে লইটটা শুঁটকি দেয়া হয়েছে)
  • কচু – ২৫০ গ্রাম
  • পেঁয়াজ বাটা- ৫ চা চামচ
  • রসুন বাটা- ২ চা চামচ
  • আদা বাটা- ২ চা চামচ
  • হলুদের গুঁড়া- ১ চা চামচ
  • জিরার গুঁড়া- ১ চা চামচ
  • কাঁচা মরিচ- ১০-১২ টি অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী ( মাঝখান থেকে চিরে দিন)
  • তেল- আনুমানিক ১/২ কাপ
  • লবন- ১ চা চামচ অথবা আপনার স্বাদ অনুযায়ী
পদ্ধতিঃ
  • শুঁটকি মাছ ১ ইঞ্চি লম্বা করে কেটে গরম পানিতে ১০ মিনিট এর মত ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভাল করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। কচুর খোসা ভাল করে ফেলে ধুয়ে নিন। ছোট টুকরা করে কেটে নিন।

পাত্রে তেল গরম করে এর মধ্যে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরার গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। যখন মশলা থেকে তেল আলাদা হয়ে যাবে তখন কচু দিয়ে ভাল করে নাড়ুন। এরপর শুঁটকি দিয়ে সাবধানে নাড়ুন যাতে শুঁটকি ভেঙে না যায়। ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। এরপর ২ কাপ উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ফুটিয়ে তুলুন।

  • পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১৫-২০ মিনিট অথবা কচু সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। সাদা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
শুটকির সিলেটীয় পদ্ধতির একটি নতুন রেসিপি!

শুটকির সিলেটীয় পদ্ধতির একটি নতুন রেসিপি!

কম বেশি সব জেলাতেই শুটকি মাছ খাওয়া হয়। মাছ যখন বেশি পাওয়া যায় তখন কিছু বেশি মাছ কিনে শুটকি তৈরি করা হয় অথবা অনেকেই শুটকি কিনেই আনেন বাজার থেকে । দেশীয় আঞ্চলিক রান্না “শুটকির শিরা“। আজকের টিপসটি সিলেটীয় অঞ্চলের রান্না। শুটকির শিরা বলতে শুটকির ঝোলকে বোঝানো হয়েছে। দারুন সুস্বাদু এই রান্নাটির রেসিপি জেনে নেয়া যাকঃ

শুটকির শিরাঃ যা প্রয়োজনঃ কচি মুলা– ১/২ কেজি (এক আঁটি শাকের ডালসহ মূলা ব্যবহার করতে পারেন) ছোটো গোল আলু– ২ কাপ (আলু ছিলে চার ফালি করা) চ্যাপা/সিদল শুটকি– ৬-৭ টি ছোটো চিংড়ি– ১ কাপ পেঁয়াজ বাটা– ২ টে চামচ রসুন বাটা– ২ টে চামচ হলুদ গুঁড়া– ১/৪ চা চামচ মরিচ গুঁড়া– ১/২ চা চামচ চেরা কাঁচামরিচ– ৭-৮ টি তেল– পরিমাণমতো লবণ– স্বাদমতো

প্রস্তুত প্রণালি: ফুটন্ত গরম পানিতে মূলা ভাপ দিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। চ্যাপা শুটকি ধুয়ে মিহি করে বেটে নিন। প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ-রসুন বাটা কষিয়ে অল্প পানি দিয়ে গুঁড়া মসলা ও শুটকি কষিয়ে নিন। মসলা কষানো হলে আলু দিয়ে আবার কিছুক্ষণ কষান। আলু প্রায় সেদ্ধ হয়ে গেলে মূলা ও চিংড়ি মিশিয়ে ঝোলের জন্যে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে কাঁচামরিচ মিশিয়ে দিন। সব কিছু সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এর শিরা বা ঝোল! ঝোলটাই খেতে বেশী মজা! গরম ভাতের সাথে খেতে তো– আহ!!

শুটকি চিংড়ী বাটায় মিষ্টি কুমড়ো-চিংড়ী ভুনা রেসিপি

শুটকি চিংড়ী বাটায় মিষ্টি কুমড়ো-চিংড়ী ভুনা রেসিপি

আজকের রেসিপি আয়োজনে রয়েছে শুটকি চিংড়ী বাটায় মিষ্টি কুমড়ো-চিংড়ী ভুনা রেসিপি।  কি ভাবে তৈরি করবেন দারুন মজার এই রেসিপিটি । খুব সহজে এবং তাড়াতাড়ি এই পদটি তৈরি করা যায়। চলুন জেনে নিই, কী কী উপকরণ লাগবে এই রেসিপিতে এবং কীভাবে তৈরি করবেন শুটকি চিংড়ী বাটায় মিষ্টি কুমড়ো-চিংড়ী ভুনা রেসিপি।

উপকরন

মিস্টি কুমড়ো ১ ফালি (খোসা কাচা/সবুজ)
চিংড়ী শুটকি ১ টেবিল চামচ
পেয়াজ কুচি ৬ টা
রসুন কোয়া – আস্ত ১টি রসুন (ছোট)
রসুন বাটা ১টা ছোট
হলুদ গুড়া ১/৪ চা চামচ
ধনেপাতার মুল শিকড় ১ টেবিল চামচ
শুকনো মরিচ ৬-৮টা
কাঁচামরিচ ৪/৫টা
চিনি/লবন স্বাদমতো
তেল পরিমানমতো

> চিংড়ী শুঁটকি শুকনো খোলায় টেলে ১০-১৫ মিনিট হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।

> শুকনো মরিচ ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

> পেয়াজ, রসুন ও ধনেপাতার মুল ধুয়ে পরিস্কার করে, শুকনো মরিচ ও চিংড়ী শুটকি দিয়ে একত্রে পেস্ট করে নিন।

> মিষ্টি কুমড়ো খোসাসহ মাঝ বরাবর দুভাগ করে কেটে, লম্বা করে ১/৪ ইঞ্চি পুরু ও ৬-৮ ইঞ্চি লম্বা করে পিস করে নিন।

> চিংড়ী মাছ পরিস্কার করে ধুয়ে লবন ও হলুদ মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখুন।

>> প্যানে তেল গরম করে মসলা-চিংড়ী পেস্ট ও হলুদ দিয়ে অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানো হলে মিস্টি কুমড়া দিন। খুব

ভালোভাবে মিস্টি কুমড়া কষিয়ে পরিমান মতো পানি দিন, লবন দিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন।

> কুমড়া প্রায় সেদ্ধ হয়ে আসলে ভাজা চিংড়ী মাছ ও কাঁচামরিচ ফালি দিন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। সবকিছু সেদ্ধ হয়ে তেল ছেড়ে আসলে নামিয়ে নিন।

>> নামানোর আগে একটু চিনি দেবেন (অপশানাল)।

শুটকি মাছের "বড়া" তৈরি করতে জানেন কি?

শুঁঁটকি মাছের “বড়া” তৈরি করতে জানেন কি?

শুঁটকি মাছ দিয়ে সাধারণত দুটো আইটেমই রাঁধা হয়- ভুনা ও ভর্তা। যদি বলি শুঁটকি মাছ দিয়ে দারুণ সুস্বাদু বড়াও হয়? তাও যেনতেন শুঁটকি নয়, শুঁটকি প্রেমীদের একান্ত পছন্দের লইট্টা শুঁটকি দিয়ে খুব সহজে তৈরি করতে পারবেন মজাদার বড়া। গরম ভাতের সাথে অসাধারণ লাগে এই খাবারটি। আর নতুন ধরণের এই পদ তৈরি করে চমকে দিতে পারবেন সবাইকে।

উপকরণ-

– লইট্টা শুটকি ২ কাপ (ছোট ছোট টুকরা কেটে গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে ছেচে নেয়া ২ কাপ) – সেদ্ধ আলু ১/২ কাপ – পিঁয়াজ কুচি ১ কাপ – কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ – রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ – মরিচ গুঁড়ো ১/২- ১ চা চামচ – ভাজা জিরা গুঁড়ো ১ চা চামচ – লবণ স্বাদ মত – চিনি ১/২ চা চামচ – কর্ন ফ্লাওয়ার ১-২ টেবিল চামচ – ধনে পাতা কুচি ( ইচ্ছা ) – তেল ভাজার জন্য

প্রণালি-

  • -শুটকি মাছ,সেদ্ধ আলু,কর্ন ফ্লাওয়ার সহ বাকি সব মশলা একসাথে মাখিয়ে নিন।
  • -চুলায় তেল গরম করুন। মাঝারি আঁচে বেশি করে গরম করবেন।
  • -ছোট ছোট বড়া তৈরি করে লালচে সোনালি করে ভেজে তুলুন।
  • -পরিবেশন করুন গরম ভাত, লেবু ও কাঁচা মরিচের সাথে।
রেসিপি: লইট্টা শুঁটকি কষা

রেসিপি: লইট্টা শুঁটকি কষা

কড়াইয়ে পড়লে গন্ধে পাড়া ছাড়া হতে হয়, কিন্তু পাতে পড়লে শুধু হাপুস-হুপুস শব্দ ৷ শুঁটকি মাছ ব্যাপারটা এমনই ৷ কথায় বলে বাঙাল বাড়িতে শুঁটকি মাছ ছাড়া রান্না কিসের? কিন্তু শুঁটকি মাছের স্বাদে অনেক ঘটি বাঙালিকেও মজতে দেখা গিয়েছে ৷ আর যারা আজও এ স্বাদে বঞ্চিত তাদের জন্য রইল এই রেসিপি ৷ দেখে নিন কীভাবে রাঁধবেন- লইট্টা শুঁটকি কষা

উপকরণ:

লইট্টা শুঁটকি- ২০০ গ্রাম

পেঁয়াজ কুচি- ৪ কাপ

রসুন- দেড় কাপ (মোটা করে কুচোনো)

টমেটো বাটা- ১ কাপ

হলুদ গুঁড়ো- ১ চা-চামচ

লাল লঙ্কা গুঁড়া- ২ চা-চামচ

আদা বাটা- ১ চা-চামচ

রসুন বাটা ১ চা-চামচ

নুন- স্বাদ অনুযায়ী

চিনি- দেড় চা-চামচ

কালো মরিচ গুঁড়ো- ২ চা-চামচ

তেল ১ কাপ

প্রণালী: প্রথমে শুঁটকি মাছকে গরম জলে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে মাছগুলো তিন থেকে চারটে টুকরো করে নিন ৷ তারপর আরো একবার গরম জলে ভাল করে ধুয়ে নিয়ে জল ঝরিয়ে মাছগুলো সামান্য থেঁতো করে নিন, যাতে মাঝের মোটা কাঁটাটা বেরিয়ে আসে ৷ কাঁটাগুলো ফেলে দিয়ে মাছটি সরিয়ে রাখুন ৷

এবার গ্যাসে কড়া বসিয়ে তাতে সামান্য তেল দিয়ে গরম করুন ৷ তেল গরম হলে তাতে ২ কাপ কুচোনো পেঁয়াজ ও সামান্য নুন দিয়ে ভাজতে থাকুন ৷ পেঁয়াজগুলো মজে এলে বাকি পেঁয়াজ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভেজে চিনি, টমেটো বাটা, রসুন বাটা এবং লাল লঙ্কা গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। তেল বেরিয়ে এলে সামান্য জল ও নুন দিয়ে নাড়তে থাকুন ৷

এবার মরিচ ও রসুন কুচো বাদে অন্যান্য মশলা দিয়ে শুঁটকি মাছগুলো দিয়ে দিন ৷ এবার ভাল করে কষাতে থাকুন ৷ মশলা শুকিয়ে এলে তাতে সামান্য জল মেশাতে থাকুন যাতে নীচটা কড়ায় লেগে না যায় ৷ খানিক বাদে রসুন কুচি ও কালো মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে নাড়িয়ে চাড়িয়ে একটু জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন ৷ ভাল করে ফুটে উঠলে পাঁচ-সাত মিনিট পর ঢাকা খুলে আঁচ কমিয়ে দিন ৷ জল মরে মাখা মাখা হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে পাঁচ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন ৷ এরপর গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন লইট্টা শুঁটকি কষা ৷ বাজি রেখে বলা যায় পাতে একটাও ভাতের দানা পড়ে থাকবে না ৷

মজাদার শুটকি মাছ রান্নার রেসিপি

মজাদার শুটকি মাছ রান্নার রেসিপি

উপকরণ: ১/২ কেজি মাংসের শুঁটকি, ১/২ কাপ পেঁয়াজ কুচি (মোট করে কাটা), ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজ বাটা, ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা, ১ টেবিল চামচ আদা বাটা, ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো, ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো, ১/২ চা চামচ জিড়া বাটা ( গুঁড়োও দিতে পারেন), ২ টা কাঁচা মরিচ (গন্ধের জন্য), ৩ টা এলাচ, ৩ টা দারুচিনি টুকরো, ৩-৪ টা তেজপাতা, ১/৩ কাপ তেল, লবণ পরিমান মতো

প্রণালি: শুঁটকিগুলো গরম পানিতে ধুয়ে নিন। প্রেসার কুকারে সামান্য পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। ৮-৯ টা সিটি দিলে নামিয়ে নিন ও চালনিতে পানি ঝড়িয়ে নিন। একটা প্যানে তেল দিয়ে গরম মসলা গুলো দিয়ে গন্ধ ছড়ানো পর্যন্ত ভেজে নিন। পেঁয়াজ কুচি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভেজে সব মসলা দিয়ে কসিয়ে নিন। শুটকি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। ১ কাপ পানি দিয়ে/স্টক দিয়ে ঢেকে দিন। পানি শুকিয়ে তেল উপরে ভেসে উঠলে নামিয়ে নিন। একদম ভুনা মাংসের স্বাদ পাবেন।

বেগুন দিয়ে কেচকি শুঁটকি

বেগুন দিয়ে কেচকি শুঁটকি

ইরি চালের মোটা ভাত আর ছোট বেগুন দিয়ে কেচকি শুঁটকি ভুনা ! ঝাল বোম্বাই মরিচ কচলে এক গামলা ভাত । হ্যাপি লাঞ্চ টাইম, তাই নয় কী? চলুন জেনে নিই বেগুন দিয়ে কেচকি শুঁটকি ভুনা রেসিপি নিয়ে বিস্তারিত।
বেগুন দিয়ে কেচকি শুঁটকি রান্নার উপকরণ-
কেচকি শুঁটকি ১ কাপ ( ধুয়ে নিয়ে প্যান এ হালকা টেলে নেয়া )
ছোট বেগুণ টুকরা হাফ কাপ পরিমাণ
রশুন কুচি ১ কাপ ( একটু মোটা করে কুচি করা )
পেয়াজ কুচি দেড় কাপ
হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ ( ঝাল কম খেতে চাইলে কম করে দিতে পারেন)
ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ
তেল ১/৪ কাপ
লবন স্বাদমত
বেগুন দিয়ে কেচকি শুঁটকি রান্নার প্রণালীঃ
প্রথমে প্যান এ তেল দিয়ে এতে পেয়াজ কুচি দিন। মিডিয়াম আঁচে পেয়াজ তা নরম হবার আগ পর্যন্ত রান্না করুন। এখন রশুন কুচি দিয়ে রান্না করুন ৩ থেকে ৪ মিনিট । এখন সব গুঁড়া মশলা দিয়ে নাড়াচাড়া করে অল্প পানি দিয়ে মশলা কষিয়ে নিন । এবার টেলে রাখা শুঁটকি দিয়ে নাড়াচাড়া করে আরেকটু কষিয়ে নিন । এতে বেগুন টুকরা , স্বাদ অনুযায়ী লবন , কয়েকটা কাঁচামরিচ আর ১/৪ কাপ পানি দিয়ে ঢাকনা লাগিয়ে মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন আরও ১০ থেকে ১২ মিনিট ,তরকারিতে তেলটা উপরে উঠে আসলে নামিয়ে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন এই বেগুন দিয়ে কেচকি শুঁটকি ভুনা !
লইট্টা শুটকি বেগুন ভুনা

লইট্টা শুটকি বেগুন ভুনা

মাংশ খেতে খেতে আর ভাল লাগে না। মুখ বদ্লানর জন্য শুটকি হলে কেমন হয়? যারা শুটকি খেতে ভালবাসেন, তাদের জন্য রয়েছে কয়েকটি শুটকি রেসিপি। আজ শেয়ার করছি আমাদের খুব পরিচিত লইট্টা শুটকি বেগুন ভুনা।
উপকরণঃ
৬ টা লইট্টা শুটকি
দেড় কাপ মোটা কিউব করে কাটা পিয়াজ
১০-১২ টার মত বড় বড় রসুনের কোয়া , মোটা কিউব করে কাটা
১ চা চামচ আদা বাটা
১ চা চামচ রশুন বাটা
১ তা তেজপাতা
৮/১০ টা গোল মরিচ
১/২ চা চামচ হলুদ গুড়া
১ চা চামচ মরিচ গুড়া (স্বাদ অনুযায়ী)
১/২ চা চামচ ভাজা জিরার গুড়া
৭/৮ টা আস্ত কাচা মরিচ
১/২ কাপ বেগুন
তেল
লবন , স্বাদ মত

প্রনালীঃ
১। হাল্কা গরম পানি দিয়ে শুটকি ভাল করে ধুয়ে নিন। মোটামুটি গরম (এক্দম ফুটন্ত নয়) পানি তে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
২। শুটকি কিউব করে কেটে নিন।
৩। তেল গরম হলে তেজপাতা আর গোল মরিচ দিয়ে পিয়াজ, কাটা রসুন দিয়ে ভাল করে ভাজুন।
৪। পিয়াজ, রশুন নরম হয়ে গেলে এক্তু পানি দিন। আদা, রশুন বাটা, হলুদ, মরিচ গুড়ো দিয়ে ভাল করে কষান। শুটকি দিন। আরেকটু কষিয়ে ১ কাপ এর মত পানি দিয়ে দিন।
৫। পানি একটু শুকিয়ে আসলে বেগুন,কাচা মরিচ
, আর লবন দিয়ে দিন।
৬।পানি শুকিয়ে , বেগুন সিধ্ধ হয়ে তেল উপরে উঠে আসলে ভাজা জিরার গুড়ো ছড়িয়ে দিন। মজাদার লইট্টা শুটকি বেগুন দিয়ে তৈরি।
টিপ্সঃ
১।শুটকি তে লবন একটু কম দেবেন।এক্বারে অনেক লবন দিবেন না, কারন শুটকি তে এম্নিতেই বেশ লবন থাকে…লাগলে পরে দেবেন।
২। শুটকি তে তেল, পিয়াজ, রশুন একটু বেশি লাগে।

ট্র্যাডিশনাল শুঁটকি বানানোর ৩ টি সেরা রেসিপি

ট্র্যাডিশনাল শুঁটকি বানানোর ৩ টি সেরা রেসিপি

শুঁটকি মাছের নাম শুনলে অনেকের জিভে জল আসে, অনেকে আবার নাক সিটকোন। তা আপনার ভালো, খারাপ যাই লাগুক না কেন, অনেক খাদ্য রসিকের কাছে কিন্তু এর কদরই আলাদা। হ্যাঁ, অবশ্যই এর বানানোর অনেকগুলো পদ্ধতি আছে। আর এই মাছ খাওয়ার পুরোনো ঐতিহ্যও আছে। মোদ্দা কথা হল, আজ আমরা এমনই ঐতিহ্যশালী শুঁটকি মাছের কিছু রেসিপির খবর দেবো। আসুন, দেখা যাক।

১. শুঁটকি মাছের ভর্তা

এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। লইট্যা শুঁটকি ভর্তা নামেও এটি পরিচিত। আসুন, দেখে নিই এটি বানানোর পদ্ধতি।

উপকরণ

শুঁটকির কাটা টুকরো ১৫-২০ টা, পেঁয়াজ কুচি ২ টো, প্রয়োজন মতো ধনে পাতা, রসুন কুচি ৭-৮ কোয়া, কতটা ঝাল খাবেন সেই অনুযায়ী কাঁচা লঙ্কা ও শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, সর্ষের তেল বেশী পরিমাণে, স্বাদ মতো নুন, হলুদ গুঁড়ো, প্রয়োজন মতো তেল।

পদ্ধতি

সবার প্রথমে আপনাকে শুঁটকি মাছ টুকরো করে কাটার পরে গরম জলে বেশ কিছুক্ষণ গরম করে নেবেন। তারপর ঠান্ডা জলে বেশ কয়েকবার ধুয়ে নেবেন। আসলে এই মাছের গায়ে প্রচুর ধুলো জমে থাকে। তাই যতক্ষণ না ধুলো পরিষ্কার হয়, ধুতে থাকুন। ভালো করে পরিষ্কার করে নেওয়ার পরে এবারে আসল রান্না শুরু করুন।

প্রথমে কড়াইয়ে পরিমাণ মত তেল নিন, এরপর ওই তেলে একে একে পেঁয়াজ, রসুন কুচি, কাঁচা লঙ্কা, প্রয়োজন মতো নুন, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিন। তবে শুঁটকি মাছ শুকোনোর সময় নুন ব্যবহার করা হয়। এই জন্য নুনের পরিমাণ নিয়ে সচেতন থাকুন। যতক্ষন না লালচে রঙ আসে, ভাজতে থাকুন। এরপর কড়াইয়ে শুঁটকিগুলো ছেড়ে দিন। এবারে হাতা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন। খানিক জল দিন কড়াইয়ে। তারপর আঁচ কমিয়ে কড়াইটি দশ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন। এরপর আবার ভালো করে হাতা দিয়ে নাড়াতে থাকুন। বাড়তি জলটা শুকিয়ে ফেলুন। তারপর ওপরে ধনে পাতা ছড়িয়ে দিয়ে আরো কিছুক্ষণ হাতা দিয়ে ঘেঁটে নিন। ব্যাস, আপনার শুঁটকির ভর্তা তৈরি। সাধারণত শুঁটকি ভর্তায় পেঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা এগুলো বেশি ব্যবহার করা হয়, তবে আপনি আপনার স্বাদ অনুযায়ী পরিমাণ স্থির করে নিন।

২. শুঁটকি বাটা

উপকরণ

শুঁটকি মাছ ১৫-২০ টা, পেঁয়াজ ২ টো, রসুন ৭-৮ কোয়া, পরিমাণ মতো নুন, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, গুঁড়ো হলুদ।

পদ্ধতি

প্রথমে শুঁটকি মাছ কেটে নিয়ে গরম জলে সেদ্ধ করার পর ঠান্ডা জলে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবারে কাঁটা বেছে ফেলুন। মাছগুলোকে ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিন। এরপর আগে থেকে কেটে রাখা পেঁয়াজ, কাটা রসুন এগুলোকেও ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিন। মাছের পেস্টের সাথে এই পেস্টটিকে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবারে কড়াইয়ে বেশ খানিকটা তেল নিন। তেলটি গরম হওয়ার পরে তার মধ্যে এই মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এবারে বেশ কিছুক্ষণ হাতা দিয়ে নেড়ে নেওয়ার পরে পরিমাণ মতো নুন দিন।

আরও কিছুক্ষণ হাতা দিয়ে ঘেঁটে নেওয়ার পরে স্বাদ বুঝে পরিমাণ মতো শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো দিন। তবে এ ক্ষেত্রে ঝাল একটু বেশী হলে বরং খেতে ভালোই লাগে। এরপর খানিকটা গুঁড়ো হলুদ দিন। এবারে পুরো জিনিসটা বেশ কিছুক্ষণ হাতা দিয়ে ঘাঁটতে থাকুন। বাড়তি তেল যেন না থাকে দেখবেন। আর কড়াইয়ের সাথে যাতে না আটকে ধরে, তাই শেষ পর্যন্ত আপনাকে হাতা দিয়ে ঘেঁটে যেতে হবে। ব্যাস, হয়ে গেলে নামিয়ে নিন আর চেখে দেখুন। আপনার শুঁটকি বাটা প্রস্তুত।

৩. বেগুন, আলু দিয়ে শুঁটকি

উপকরণ 

শুঁটকি মাছ ২০ টুকরো, বেগুন অর্ধেক ডুমো ডুমো করে কাটা, আলু ১ টা ডুমো ডুমো করে কাটা, রসুন ৭-৮ টা কুচি করা , কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ বড় ১ টা কুচি করা, ধনে গুঁড়ো ১/২ চামচ, হলুদ গুঁড়ো, নুন, তেল।

পদ্ধতি

একটু বেশী করে তেল নিন কড়াইয়ে, গরম হলে তাতে পেঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা এগুলো দিয়ে দিন। একইভাবে একটু লালচে রঙ এলে তাতে নুন দিয়ে নিন পরিমাণ মত। এরপর জল দিন। ধনে গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো এগুলো দেওয়ার পর শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে মশলাটাকে ভালো মতো কষিয়ে নিন। কষানো হয়ে গেলে বেগুন আর আলু দিয়ে দিন কড়াইয়ে। এবারে ভালো করে হাতা দিয়ে নেড়ে নিন। তারপরে শুঁটকিটা দিয়ে দিন এর মধ্যে। তারপরে আঁচ হালকা করে দিয়ে ঢেকে রাখুন ও সেদ্ধ হতে দিন। মাঝে কয়েকবার ঢাকনা সরিয়ে দেখে নিন বেগুন, আলু এগুলো সেদ্ধ হল কিনা। হয়ে গিয়ে থাকলে নামিয়ে নিন। আপনার খাবার তৈরি।

বুঝতেই পারছেন খুব যে পরিশ্রম এতে করতে হবে তাও নয়। অনেক কম পরিশ্রমে যে কোনও দিন আপনি এই ট্র্যাডিশনাল রান্নাগুলো ঘরে বসে চেখে দেখতেই পারেন। তাই যান আজই বাজার থেকে কিনে আনুন শুঁটকি। আর সপরিবারে এর বিভিন্ন রেসিপি উপভোগ করুন।

Back to Top
//
আমাদের কাষ্টোমার কেয়ার সব সময় আপনার সেবায়!
👋 অর্ডার কিংবা যেকোন তথ্য পান!
Product has been added to your cart