রূপচাঁদা শুটকির ভর্তা
লইট্টা শুটকি বেগুন ভুনা
ছুরি শুটকি ভুনা রেসিপি
শুটকি রেসিপি
লটিয়া শুঁটকি ভর্তা
সরিষার তেল দিয়ে করা ঝাল ঝাল শুঁটকি ভর্তা সাদা ভাতের সঙ্গে খেতে কার না ভাল লাগে, ভর্তা মানে খাবার আগে জিবে জল আসা। তাই আজকে লটিয়া শুঁটকি ভর্তা রেসিপি নিয়ে আবারও হাজির হয়ে গেলাম।
উপকরণঃ-
শুঁটকি- ৮টি
লবণ- স্বাদ মতো
সরিষার তেল- ৪ টেবিল চামচ
শুকনা মরিচ- ২টি
কাঁচামরিচ- ৭/৮টি
রসুন- ১০ কোয়া
পেঁয়াজ- ২টি
ধনেপাতা- ২ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালিঃ-
পেঁয়াজ ও রসুন ছোট করে কাটুন। ধনেপাতা কুচি করে নিন। শুঁটকি পরিষ্কার করে ছোট ছোট করে টুকরা করে কাটুন। ভালো করে ধুয়ে ১০ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন শুঁটকির টুকরা।
চুলায় প্যান বসিয়ে ২ টেবিল চামচ সরিষার তেল গরম করে সামান্য লবণ দিয়ে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি বাদামি করে ভাজুন।
ভাজা পেঁয়াজ ও রসুন একটি বাটিতে উঠিয়ে একই প্যানে আরও ২ টেবিল চামচ সরিষার তেল দিন। মিডিয়াম আঁচে শুঁটকির টুকরা বাদামি করে ভাজুন। হালকা বাদামি থাকতে থাকতে তুলে নিন। অতিরিক্ত ভাজলে শক্ত হয়ে যাবে। এবার শুকনা মরিচ টেলে সামান্য লবণ দিয়ে মেখে নিন। এরপর একে একে ভেজে রাখা সব উপকরণগুলো হাত দিয়ে ভর্তা করুন। একদম ভেঙে ফেলবেন না শুঁটকি। ধনেপাতা কুচি দিয়ে মেখে বাটিতে সাজিয়ে পরিবেশন করুন শুঁটকি ভর্তা।
রূপচাঁদা শুঁটকি ভুনা রেসিপি
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
রূপচাঁদা শুঁটকি ১টি
পেঁয়াজকুচি ২ কাপ
তেল পরিমাণ মতো
আদাবাটা পরিমাণ মতো
আপনার ঝাল সহ্য করার ক্ষমতার উপর মূলত নির্ভর করবে কতটুকু কাঁচামরিচ ব্যবহার করবেন এই রান্নায়, তবুও ৫ থেকে ৬টা কাঁচামরিচ দেওয়া উচিত, রান্নাটাকে সুস্বাদু করার জন্য
রসুনকুচি আধা কাপ
টমেটোকুচি আধা কাপ
ধনেগুঁড়া ১/২ চা-চামচ
মরিচগুঁড়া ৩ চা-চামচ
হলুদগুঁড়া দেড় চা-চামচ
লবণ স্বাদ মতো
পদ্ধতিঃ
রূপচাঁদা শুঁটকি প্রথমে পরিষ্কার করে ধুয়ে, অন্তত ২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে শুঁটকির সাথে থাকা বালি ও ময়লাগুলো ঝরে যাবে। ভিজিয়ে রাখার পর শুঁটকি নরম হয়ে এলে ছোট ছোট করে কেটে নিন। এবার প্যানে পরিমাণ মত তেল দিন। তেল গরম হলে তাতে পেঁয়াজকুচি, রসুনকুচি, সামান্য আদাবাটা, ধনেগুঁড়া, মরিচ, হলুদ, তেল, লবণ, কাঁচামরিচ আর টমেটো কুচি সহ সব মসলা ভালো করে আস্তে আস্তে ভেজে নিন। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে এবং হালকা বাদামী বর্ণ ধারণ করলে তাতে রূপচাঁদা শুঁটকি দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজতে থাকুন। এবার অল্প পানি দিয়ে ভালো করে কষিয়ে ঢেকে দিন। কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে দেখুন, যদি পানি কমে তরকারিটা মাখা মাখা হয়, তাহলে তাতে কাঁচামরিচ দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
সবশেষে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। উপভোগ করুন মজাদার রূপচাঁদা শুঁটকি মাছের ভুনা!
মলা শুটকি ভর্তা রেসিপি
প্রথমে চুলায় একটি প্যান বসিয়ে নিতে হবে ।
এরপর এর ভিতর পরিমাণ মত সরিষার তেল দিয়ে দিতে হবে।
তেলটা হালকা গরম হয়ে আসলে এর ভিতর এক কাপ পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিতে হবে।
এবার পেয়াজ গুলো হালকা নরম করে ভেজে নিতে হবে।
পেয়াজগুলো হালকা করে ভেজে এর ভিতর কয়েক টুকরো রসুন কুচি দিয়ে দিতে হবে।
এখন এই দুটি উপকরণ ভালোভাবে নেড়ে দিতে হবে।
পেয়াজ ও রসুন গুলো নরম করে ভেজে তুলে নিতে হবে।
এরপর আবার এর ভিতর হালকা তেল দিতে হবে।
এবার এর ভিতর কয়েকটি শুকনো ঝাল দিয়ে দিতে হবে।
এখন তেলের সাথে মরিচগুলো নেড়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে।
এরপর প্যানের ভিতর কয়েকটি ধনে পাতা দিয়ে নেড়ে ভেজে নিতে হবে।
এখন এটাকে প্যান থেকে তুলে নিতে হবে।
তারপর এর ভিতর হালকা তেল দিয়ে গরম করে নিতে হবে।
এখন শুটকি মাছ গুলো হালকা ধুয়ে নিয়ে প্যান এর ভিতর দিয়ে দিতে হবে।
এবার শুটকি মাছগুলো ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে।
এখন ব্লেন্ডারে প্রথমে শুটকি মাছগুলো দিয়ে দিতে হবে।
এরপর পেয়াঁজ ও রসুন এর ভাজি গুলো দিয়ে দিতে হবে।
তারপর শুকনো ঝাল ও ধনিয়া পাতা ভাজি করা গুলো ব্লেন্ডারে দিয়ে দিতে হবে।
এরপর ব্লেন্ডারের ভিতর স্বাদমত লবণ দিয়ে দিতে হবে।
এখন ব্লেন্ডারের উপরের ঢাকনা দিয়ে দিতে হবে।
এরপর এটিকে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
এটাকে কয়েকবার ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
এটা ভর্তা করার জন্য ভালোভাবে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
এই ব্লিন্ড যত মিহি হবে তত এটা খেতে ভালো লাগবে।
এবার এটিকে তুলে একটা প্লেটে পরিবেশন করতে হবে।
এটাকে সাজানোর জন্য এর পাশে কয়েকটা শুকনো ঝাল দেওয়া যেতে পারে।
এর পাশে আর ও কয়েকটি পেয়াজ ও রসুন এর টুকরো দিয়ে দিতে হবে।
এর উপর দিয়ে কয়েকটি ধনিয়া পাতা দিয়ে সাজিয়ে নিতে হবে।
এটা খেতে কিন্তু সত্যই অসাধারন। আপনার চাইলে খুব সহজে এই রেসিপিটি বাসায় স্বল্প সময়ে করে নিতে পারবেন।
লইট্টা শুটকি বেগুন ভুনা
লইট্টা শুটকি বেগুন ভুনা
অনেক সময় মাছ, মাংশ খেতে খেতে আর ভাল লাগে না। মুখ বদ্লানর জন্য শুটকি হলে কেমন হয়? যারা শুটকি খেতে ভালবাসেন, তাদের জন্য রয়েছে কয়েকটি শুটকি রেসিপি। আজ শেয়ার করছি আমাদের খুব পরিচিত লইট্টা শুটকি বেগুন ভুনা।
উপকরণঃ
৬ টা লইট্টা শুটকি
দেড় কাপ মোটা কিউব করে কাটা পিয়াজ
১০-১২ টার মত বড় বড় রসুনের কোয়া , মোটা কিউব করে কাটা
১ চা চামচ আদা বাটা
১ চা চামচ রশুন বাটা
১ তা তেজপাতা
৮/১০ টা গোল মরিচ
১/২ চা চামচ হলুদ গুড়া
১ চা চামচ মরিচ গুড়া (স্বাদ অনুযায়ী)
১/২ চা চামচ ভাজা জিরার গুড়া
৭/৮ টা আস্ত কাচা মরিচ
১/২ কাপ বেগুন
তেল
লবন , স্বাদ মত
প্রনালীঃ
১। হাল্কা গরম পানি দিয়ে শুটকি ভাল করে ধুয়ে নিন। মোটামুটি গরম (এক্দম ফুটন্ত নয়) পানি তে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
২। শুটকি কিউব করে কেটে নিন।
৩। তেল গরম হলে তেজপাতা আর গোল মরিচ দিয়ে পিয়াজ, কাটা রসুন দিয়ে ভাল করে ভাজুন।
৪। পিয়াজ, রশুন নরম হয়ে গেলে এক্তু পানি দিন। আদা, রশুন বাটা, হলুদ, মরিচ গুড়ো দিয়ে ভাল করে কষান। শুটকি দিন। আরেকটু কষিয়ে ১ কাপ এর মত পানি দিয়ে দিন।
৫। পানি একটু শুকিয়ে আসলে বেগুন,কাচা মরিচ
, আর লবন দিয়ে দিন।
৬।পানি শুকিয়ে , বেগুন সিধ্ধ হয়ে তেল উপরে উঠে আসলে ভাজা জিরার গুড়ো ছড়িয়ে দিন। মজাদার লইট্টা শুটকি বেগুন দিয়ে তৈরি।
টিপ্সঃ
১।শুটকি তে লবন একটু কম দেবেন।এক্বারে অনেক লবন দিবেন না, কারন শুটকি তে এম্নিতেই বেশ লবন থাকে…লাগলে পরে দেবেন।
২। শুটকি তে তেল, পিয়াজ, রশুন একটু বেশি লাগে।
লইট্যা মাছ- কোনটা খাবো!! তাজা নাকি শুটকি।
তাজা লইট্টা মাছ দিয়ে ঝুরি চাপ, ভুনা পাতুরি, ঝাল ইত্যাদি বিভিন্ন সুস্বাদু সব রেসিপি বানানাে হয় যা একবার খেল ভুলবেন না আপনি। তবে উপকারিতার দিক থেকে বিচার করলে অবশ্য তাজা লইট্টা মাছের তুলনায় শুটকি মাছের গুণাগুণ অনেক বেশি। আসুন জেনে নেই লইটা তাজা ও শুটকি মাছের কিছু উপকারীতাঃ
★কড়া রােদে শুকানাের ফলে এই মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি তৈরি হয়ে যায় যা দাঁত হাড় ও নখের গঠন মজবুত করার জন্য অপরিহার্য।
★লইটা মাছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়ক এবং রক্তাল্পতার মােকাবিলা করে।
★লইট্যা মাছে প্রোটিনে ভরপুর, যখন মাছকে শুকানো হয় তখন এই প্রোটিনের পরিমান বেড়ে যায়, আর এই প্রোটিন আমাদের শরীরের টিস্যু গঠনে অনেক বড় ভুমিকা রাখে। (তবে কিছু রোগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করতে হয়, সেক্ষেত্রে পরিমিত পরিমাণ লইট্যা খাওয়া ভালো)
★এই মাছে উপকারী ওমেগা-৩ফ্যাটি এসিড আছে যা মানুষের শরীরের রক্তনালী কে পরিষ্কার রেখে হার্ট স্ট্রোকের ঝুকি কমায়
★লইট্যা শরীরের হরমোন, এনজাইম এবং বিভিন্ন ক্যামিকেলের ভারসাম্য রক্ষা করে
★ ক্লান্তি দুর্বলতা মাথাব্যথা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ,চোখের নিচে কালচে ভাব, চুল পড়ে যাওয়া, রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই তাজা মাছটি।
★মাংসপেশীর স্বাভাবিক সংকোচন-প্রসারণের সাহায্য করে এটি।
★তাছাড়া আয়োডিন সমৃদ্ধ হওয়ায় থাইরয়েড রোগীর জন্য এই মাছ খাওয়া উচিত।
★তাজা ও শুটকি দুই ধরনের মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি অত্যাবশ্যক মৌল উপাদান থাকায় অস্টিওপোরোসিস ও আর্থারাইটিস ইত্যাদি সমস্যা দূর করে
তাহলে এবার বলুন আপনি কেনো আর কিভাবে খাবেন লইট্যা বা Duck Fish.